1. nokhatronews24@gmail.com : ajkarsatkhiradarpan darpan : ajkarsatkhiradarpan darpan
  2. install@wpdevelop.org : sk ferdous :
সাংবাদিককে পেটানোর ঘটনায় ডাক্তার হাফিজুল্লাহসহ ৮ জনের নামে মামলা - আজকের সাতক্ষীরা দর্পণ
রবিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৫, ১১:৫২ পূর্বাহ্ন
১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ খবর :
📰সাতক্ষীরায় নতুন এসপি মোঃ আরেফিন জুয়েল’র যোগদান📰বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় সাতক্ষীরায় দোয়া অনুষ্ঠান📰সাতক্ষীরা সদরের খানপুরে পূর্ব শত্রুতার জেল ধরে সাঈদের বাড়িতে আগুন📰সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় প্রভাষক গোলাম আজম নিহত📰ধানের শীষ বিজয়ে ঐক্যবদ্ধ সাতক্ষীরা জেলা বিএনপি, ধানের শীষের বিজয়ে অপার সম্ভাবনা📰ভয় দেখিয়ে নয়, উদারতা দিয়ে মানুষের মন জয় করতে বলেছেন তারেক রহমান: জুয়েল📰কুলিয়ায় নীতি নির্ধারকদের সঙ্গে-নেতৃত্বাধীন অ্যাডভোকেসি সভা📰সাতক্ষীরা-২ আসনে আব্দুল আলিমের মনোনয়নের দাবীতে সড়ক অবরোধ করে মশাল মিছিল📰কালিগঞ্জে পুকুরে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু📰সমাজসেবা অফিসার শেখ সহিদুর রহমান নিজের অপকর্ম ঢাকতে, বিভিন্ন ব‍্যাক্তিদের দিয়ে মিথ্যা অভিযোগ

সাংবাদিককে পেটানোর ঘটনায় ডাক্তার হাফিজুল্লাহসহ ৮ জনের নামে মামলা

প্রতিবেদকের নাম :
  • হালনাগাদের সময় : মঙ্গলবার, ১১ মার্চ, ২০২৫
  • ৩৮ সংবাদটি পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে রুগী ভাগিয়ে বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়ার তথ্য সংগ্রহ করায় সাংবাদিককে পেটানোর ঘটনায় ডাক্তার মো. হাফিজুল্লাহসহ ৮ জনের নামে মামলা হয়েছে। সোমবার রাতে ভূক্তভোগী সাংবাদিক মনিরুল ইসলাম মনির দেওয়া আভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহন করে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। এর আগে শনিবার (৮ মার্চ) রাত সাড়ে দশটার দিকে সাতক্ষীরা শহরের ট্রমা সেন্টারে হামলার ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত ডাক্তার মো. হাফিজুল্লাহ সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের অর্থোপেডিক সার্জারির কনসালটেন্ট এবং সাতক্ষীরা ট্রমা সেন্টারের পরিচালক। হামলা শিকার সাংবাদিক মনির ইসলাম মনি, বাংলাদেশ প্রতিদিন এবং নিউজ টুয়েন্টিফোরের সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি। প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুর রহমান কলেজের প্রভাষক আমিনুর রহমান বলেন, হঠাৎ করেই দেখলাম ডাক্তার মোহাম্মদ হাফিজুল্লাহ তার স্টাফদের বলছে ট্রমা সেন্টারের সামনের গেট আটকে দিতে। এরপরেই ডাক্তারের নির্দেশে স্টাফরা ফিল্মি স্টাইলে সাংবাদিক মনিরের ওপর হামলা চালায়। তথ্য সংগ্রহ করায় ডাক্তারের নেতৃত্বে এমন মারধর মেনে নেওয়া যায় না।
হামলার শিকার সাংবাদিক মনিরুল ইসলাম মনি বলেন, তারাবির নামাজ শেষে সহকর্মীদের সঙ্গে ট্রমা সেন্টারে একটি রোগীকে দেখতে যাই। রোগী দেখে বাইরে বের হয়ে দেখি এক বৃদ্ধ মহিলা ভ্যানের ওপর শুয়ে কাতরাচ্ছে। এ সময় আমি তাদের কাছে জানতে চাই কী হয়েছে? রোগীর স্বজনরা জানায়, তারা বৃহস্পতিবার থেকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ছিল কিন্তু তিন দিনেও ট্রিটমেন্ট না পেয়ে হাসপাতালের লোকজনের পরামর্শে ট্রমা সেন্টার এসেছেন।
তিনি বলেন, তারা আমার কাছে সহযোগিতা চেয়ে আকুতি মিনতি করে। এক পর্যায়ে আমি সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অর্থোপেডিক সার্জারির বিভাগের প্রধান ডাক্তার প্রবীর কুমারের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলি। এ সময় রোগীর চিকিৎসা না পাওয়াসহ হাসপাতালের লোকজনের পরামর্শে রোগী বাইরে পাঠানোর বিষয়টি তাকে অবগত করি। প্রবীর কুমার বলেন এর আগেও ডাক্তার হাফিজুল্লাহর বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ আশায় তাকে সতর্ক করা হয়েছে। তিনি ভুক্তভোগী রোগীদের পুনরায় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেন এবং রোগীর স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন।
ভুক্তভোগী সদর উপজেলার ভালুকা চাঁদপুর এলাকার জুলেখা বেগমের ছেলে ইশার আলী গাজী জানান, আমার আম্মা কয়েক দিন ধরে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি। তবে কয়েকদিন ধরে কোনো প্রকার চিকিৎসা পাচ্ছিল না। আজ হাসপাতালের লোকজন আমাদেরকে বলে চিকিৎসা পেতে হলে ট্রমা সেন্টারে নিয়ে যেতে। তাই আমরা আমার বাবার ভ্যানে করে মাকে ট্রমা সেন্টারে নিয়ে যাই। তিনি বলেন, ট্রমা সেন্টারের সামনে আসার পরে আমার মায়ের কান্নাকাটি দেখে সাংবাদিক ভাই এগিয়ে আসে। আমরা সব ঘটনা খুলে বললে তিনি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বড় ডাক্তারের কাছে কল দেন। বড় ডাক্তার তার মোবাইল থেকে আমাদের সঙ্গে কথা বলে পুনরায় মেডিকেলে নিয়ে যেতে বলেন। এ জন্যই প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করে ট্রমা সেন্টারের ডাক্তার ও তার লোকজন সাংবাদিক ভাইয়ের ওপর আক্রমণ করে। তারা ট্রমা সেন্টারের সামনের গেট বন্ধ করে সাংবাদিক ভাইকে বেধড়ক মারধর করে। রোগীর আরেক স্বজন কাজল বেগম বলেন, আমরা সব ঘটনা বলে সাংবাদিক ভাইয়ের সাহায্য চাই। কিন্তু ট্রমা সেন্টারের ডাক্তারসহ তাদের লোকজন সাংবাদিক ভাই আমাদের সহযোগিতা করায় তাকে ব্যাপক মারধর করেছে। মারধর দেখে আমি ও আমার খালা ঠেকাতে গেলে আমাদের ওপরও মারপিট করে।
সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি শামিনুল হক বলেন, সাংবাদিকের উপর হামলার ঘটনার খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল তাকে উদ্ধার করে। পরবর্তীতে সোমবার রাতে ভূক্তভোগী সাংবাদিক মনিরুল ইসলাম মনির দেওয়া আভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহন করা হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তাকে আসামিদের গ্রেফতারের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্ট শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর :

সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি:

এম এ কাশেম ( এম এ- ক্রিমিনোলজি).....01748159372

alternatetext

সম্পাদক ও প্রকাশক:

মো: তুহিন হোসেন (বি.এ অনার্স,এম.এ)...01729416527

সম্পাদক ও প্রকাশক:

সিনিয়র নির্বাহী সম্পাদক :

© All rights reserved © 2020-2025
প্রযুক্তি সহায়তায়: csoftbd