স্টাফ রিপোর্টারঃ সদরের ১৪ নং ফিংড়ী ইউনিয়নের ০৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সৈয়দ আলী সরদারের পুত্র মাহফুজুর রহমানের (৪৫) প্রতারণার ফাঁদে জর্জরিত ফিংড়ীবাসী। সরেজমিনে জানা যায়- টাকা ছাড়া তার ওয়ার্ডের কেউ পাইনি বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, শিশুকার্ড কোনকিছুই।
একজমি দুইজনের নিকট বিক্রয় করে চার লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় এই প্রতারক মাহফুজ। দোনপারের আলমগির হোসেন আলম মাহফুজের নিকট থেকে জমি কিনে দখল না পেয়ে গ্রাম্য শালিস এবং চেয়ারম্যান এমনকি উপর মহলে জানিয়েও তার জমি কিম্বা দুই লক্ষ টাকা আজও ফেরত পাইনি।
উত্তর ফিংড়ীর বাবর আলী খার ছেলে আলমগির খার ফিংড়ী মাদ্রাসায় চাকরী দেয়ার নাম করে তার নিকট থেকে ৭০,০০০/ টাকা হাতিয়ে নেয়। কালিপদ সরকারের ছেলে হাজু (৪৫) এর জমি রেজি: জটিলতা দেখা দিলে প্রতারক মাহফুজ বলে এটা কোন ব্যাপার না, রেজিস্ট্রি করে দেবার নামে ২৫,০০০/ টাকা আত্নসাত করে বলে হাজু জানান। নরেন্দ্র সরকারের অসহায় মেয়ে পারুল (৫৫) কে জমি দেয়ার কথা বলে ২৫,০০০/ টাকা নিয়ে তালবাহানা শুরু করলে পারুল গ্রাম্য শালিস ডাকে সুচতুর মাহফুজ তখনও ছলনা করে অতপর ১০,০০০/ টাকা দিয়ে সে যাত্রায় রক্ষা পায়। সহায় সম্বলহীন নিরাপদ পাড়ুই কে সরকারী ঘর দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ৫০,০০০/ টাকা গ্রহন করে। কিন্তু তার ঘর আজও হয়নি। টাকা ফেরত চাইলে বিভিন্ন তালবাহানা করে সময় ক্ষেপন করে আসছে। মাহফুজের হিম্মত,সাহস কে বা কারা যুগাচ্ছে? তার এই খুটির জোর কোথায়? ফিংড়ীবাসী জানতে চাই। গ্রামের এতগুলো অসহায় হতদরিদ্র মানুষের টাকা আত্নসাত করে মাহফুজ কি এমনিতেই পার পেয়ে যাবে? তার কি কোন বিচার হবে না। মেম্বর মাহফুজ সরদার ২০১১/১২ সালে সরকারি চাল চুরির করে বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় জনতার হাতে ধরা পড়েন। পরে স্থানীয়রা তাকে থানা পুলিশে সোপর্দ করে। সরকারি চাল চুরির অপরাধে মাহফুজ মেম্বর কে হাজতবাস করতে হয়। সূত্র আরো জানায়, ধূর্ত ও প্রতারক মাহফুজ মেম্বরের প্রতারণার স্বীকার হয়েছেন এক পুলিশ সদস্য। তার কবল থেকে এক পুলিশ সদস্যও রেহাই পাননি। প্রতারণার সীকার পুলিশ কনস্টেবল এর নাম আব্দুল আলিম।
মাহফুজ মেম্বর এক সহযোগি বাবলু সরদারের মাধ্যমে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ থেকে বদলী করে সদর থানায় এনে দেওয়ার নামের পুলিশ কনস্টেবল আব্দুল আলিমের কাছ থেকে ৪৯ হাজার ৫০০ টাকা নেয় ওই প্রতারক চক্র। বদলী করাতে না পারায় পুলিশ কনস্টেবল আব্দুল আলিম স্থানীয় প্রভাবশালিদের সহযোগিতায় মিমাংসায় বসেন। পরে পুলিশ সদস্য কে ১৪ হাজার টাকা ফেরত দেয় তারা।
গ্রামের অসহায় অবহেলিত মানুষের পাশে কি প্রশাসন দাঁড়াবে না? মাহফুজকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে গরিব অসহায় মানুষের নায্য টাকা যেন তারা ফেরত পায় সে বিষয়ে জেলা প্রশাসক সহ প্রশাসনের সর্বস্তরের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন সচেতন ফিংড়ীবাসী।
(৪র্থ পর্ব দেখার জন্য চোখ রাখুন……………..?)
এবিষয়ে মাহফুজ মেম্বরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বিয়ষটি এরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
Leave a Reply