ন্যাশনাল ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ ঘিরে আতঙ্কের প্রহর গুনছেন সকলে। দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে এই মুহূর্তে সুস্পষ্ট নিম্নচাপ রয়েছে। মঙ্গলবার (৯ মে) সন্ধ্যার মধ্যেই তা গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে বলে জানিয়েছে ভারতের আলিপুর আবহাওয়া দফতর। এর পর আরও শক্তি বাড়িয়ে বুধবার ঘূর্ণিঝড়ের জন্ম হতে পারে।খবর আনন্দ বাজারের।কোন পথ ধরে এগোবে ঘূর্ণিঝড়? সেদিকেই নজর রেখেছে হাওয়া অফিস।
ভারতের আলিপুরের বুলেটিন অনুযায়ী জানা গেছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যার মধ্যে গভীর নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে, তা আরও শক্তি বাড়িয়ে বুধবার দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং সংলগ্ন পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর, আন্দামান সাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। এর পর তা উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিক বরাবর এগোবে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এই পথ ধরেই এগোতে পারে ঘূর্ণিঝড়।
শুক্রবার দিক পরিবর্তন করতে পারে ‘মোখা’। বাঁক নিয়ে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিক বরাবর বাংলদেশ উপকূলের দিকে এগোবে। ১১ মে, বৃহস্পতিবার ঝড়ের সর্বোচ্চ বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১০০ কিমি। শুক্র এবং শনিবার ঝড়ের বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৩০ থেকে ১৪০ কিমি। সর্বোচ্চ বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৫০ কিমি।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ ঘণ্টায় প্রায় ২০০ কিলোমিটার বেগে আঘাত হানার আশঙ্কা করা যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু বিষয়ক পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ।
তিনি জানিয়েছেন, আগামী রোববার সকাল ৬টার পর অত্যন্ত তীব্র এই ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও মিয়ানমারে রাখানই রাজ্যের মংডু জেলার ওপর দিয়ে স্থল ভাগে আঘাত করতে পারে। মঙ্গলবার (৯ মে) দুপুরে তিনি এ আশঙ্কার কথা জানান। তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড় মোখা অত্যন্ত তীব্র ঘূর্ণিঝড় হিসাবে ঘণ্টায় ১৮০ থেকে ২০০ কিলোমিটার বেগে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের ওপর দিয়ে স্থল ভাগে আঘাত করার আশঙ্কা করা যাচ্ছে।
Leave a Reply