কাজী সোহাগ পাইকগাছা: ‘শুনতি পাচ্ছি আমাগের এলাকায় ‘রাজকন্যা’ আসবেন। সুযোগ পালি তাঁর কাছে আমাগের সমস্যার কথাগুলি বলব। নোনাপানিতি আমরা কী পরিমাণ কষ্টে আছি তাঁকে বুঝানোর চিষ্টা করব। আর জানতি চাবো আমাগের গাঙের নোনা দূষণ কাটানোর কোনো উপায় আছে কিনা।’ এভাবেই বলছিলেন খুলনার কয়রা উপজেলার মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের নয়ানি গ্রামের সুফিয়া খাতুন (৪০)। তিনি জেনেছেন, জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) শুভেচ্ছাদূত হিসেবে সুইডিশ রাজকন্যা ভিক্টোরিয়া আসবেন এলাকায়। তাদের গ্রামের প্রায় দুই হাজার মানুষের খাবার পানির উৎস রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিংয়ের উপকারভোগীদের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি। এ জন্য আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়েছেন সুইডিশ রাজকন্যার সঙ্গে কী কথা বলবেন সুফিয়া। প্রায় ৪১ হাজার জনসংখ্যার এ ইউনিয়নের ১২ গ্রামের মানুষের সুপেয় পানির সংকট দীর্ঘদিনের। বছরের তিন মাস বৃষ্টির পানিতে চললেও বাকি ৯ মাস অনেক কষ্ট সহ্য করতে হয়। খাবার পানি নিরসনে ইউনিয়নের ভাগবা, সাতহালিয়া, মহেশ্বরীপুর ও নয়ানি গ্রামে চারটি রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টার স্থাপন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ১ হাজার ৬০০ উপকারভোগী কার্ড সিস্টেমের মাধ্যমে ছয় মাস খাবার পানি সংগ্রহ করতে পারেন। বাকি ছয় মাস এসব উপকারভোগীকেও ড্রামপ্রতি ৬০ টাকা দিয়ে খাবার পানি কিনতে হয়। তবে ঘরগৃহস্থালিসহ অন্যান্য কাজ নদীর নোনা পানি দিয়েই সারতে হয়। এতে সারা বছর তাদের স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগতে হয়।
১৮ থেকে ২১ মার্চ ইউএনডিপির শুভেচ্ছাদূত হিসেবে বাংলাদেশ সফর করবেন সুইডিশ রাজকন্যা ভিক্টোরিয়া। তাঁর সফরের অংশ হিসেবে ১৯ মার্চ কয়রা সফরের কথা রয়েছে। তিনি উপজেলার মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের নয়ানি যজ্ঞ মন্দিরের মাঠে রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিংয়ের উপকারভোগীদের সঙ্গে কথা বলবেন। এ উপলক্ষে চলছে সাজ সাজ রব।
Leave a Reply