1. nokhatronews24@gmail.com : ajkarsatkhiradarpan darpan : ajkarsatkhiradarpan darpan
  2. install@wpdevelop.org : sk ferdous :
ভোমরায় চাঁদাবাজ চক্রের দৌরাত্ম্যে পাসপোর্টযাত্রীরা নাকাল - আজকের সাতক্ষীরা দর্পণ
মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:০৪ পূর্বাহ্ন
১৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ খবর :
📰মহান বিজয়ের মাস শুরু📰ভালুকা চাঁদপুর পূর্ব পাড়া আহলে হাদিস জামে মসজিদের বিষয় নিয়ে আমার জবানবন্দি📰বেগম জিয়ার সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনায় কালিগঞ্জে প্রার্থনা📰কালিগঞ্জে দিনদুপুরে গৃহবধূ ও যুবক গুলিবিদ্ধ📰দেবহাটায় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া অনুষ্ঠান📰ফিজিশিয়ান স্যাম্পল বিক্রয়ের অভিযোগে ফার্মেসীকে জরিমানা📰সাতক্ষীরায় তারুণ্য নির্ভর নতুন বাংলাদেশ গঠনে এসো দেশ বদলাই’ শীর্ষক আলোচনা📰সাতক্ষীরা আদালতে নতুন ১৩ জন আইন কর্মকর্তা নিয়োগ📰সাতক্ষীরায় নতুন এসপি মোঃ আরেফিন জুয়েল’র যোগদান📰বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় সাতক্ষীরায় দোয়া অনুষ্ঠান

ভোমরায় চাঁদাবাজ চক্রের দৌরাত্ম্যে পাসপোর্টযাত্রীরা নাকাল

প্রতিবেদকের নাম :
  • হালনাগাদের সময় : শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪
  • ৪৮ সংবাদটি পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিনিধি: লাগেজপণ্য বাণিজ্যের উপর বিপুল পরিমাণ ট্যাক্স (কর) ফাঁকির অভিযোগ উঠেছে ভোমরা কাস্টমস যাত্রী ব্যাগেজ চেকপোস্ট অফিসের বিরুদ্ধে। চেকপোস্ট অফিসের কর্তাদের দায়িত্বহীনতা আর চরম অবহেলার সুযোগে দিনের পর দিন বাড়ছে ট্যাক্স ফাঁকির প্রবণতা। দায়িত্বহীনতার সুযোগ কাজে লাগিয়ে লাখপতি হচ্ছে স্থানীয় চাঁদাবাজরা। পাশাপাশি আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে ভারত থেকে আসা পাসপোর্টধারী লাগেজ ব্যবসায়ীরা। অবৈধ চাঁদা বাণিজ্য বহাল রাখতে নেওয়া হয়েছে নিষ্কণ্টক ও নিরাপদ ব্যবস্থা। স্থানীয় চাঁদাবাজদের সঙ্গে রয়েছে ভারতীয় লাগেজ ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের চুক্তিভিত্তিক আর্থিক সখ্যতা। কাস্টমস ও অন্যান্য প্রশাসনিক ঝামেলা মেটাতে চাঁদাবাজদেরকে দিতে হয় মোটা অংকের টাকা।
সীমান্তের একাধিক গোপন সূত্রে জানা যায়, ভারতীয় লাগেজ ব্যবসায়ীদেরকে বাধ্যতামূলক মাথাপিছু ২৫শ’ টাকা চাঁদা দিতে হয় সিন্ডিকেটকে। পাসপোর্টধারি ভারতীয় নাগরিক লাগেজ ব্যবসায়ী শিল্পী সাংবাদিকদের জানান, স্থানীয় চাঁদাবাজ ও দালালদের অত্যাচারে আমরা নাকাল। মাথাপিছু চাঁদার টাকা না দিলে পোহাতে হয় চরম দুর্ভোগ। আমাদেরকে দেখানো হয় প্রশাসনের ভয়ভীতি। যে কারণে চাঁদাবাজ ও দালালদের কাছে হয়ে পড়েছি জিম্মি। এই চাঁদাবাজ সিন্ডিকেট এড়িয়ে আমরা কিছুই করতে পারিনা। আরো জানান, কাস্টমস-এ যে ট্যাক্স পরিশোধ করে লাগেজ পণ্য ছাড়করণের সদিচ্ছা থাকলেও চাঁদাবাজদের কারণে পারিনা। ভারতীয় আরেকজন লাগেজ ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম জানান, আমরা লাগেজ পণ্যের ট্যাক্স ফাঁকি দিতে চাই না। আমরা সরাসরি কাস্টমসে গিয়ে ট্যাক্স পরিশোধ করে পণ্য ছাড় করাতে চাই। কিন্তু চাঁদাবাজ সিন্ডিকেটের ভয়ে আমরা তা করতে পারি না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ভারতীয় পাসপোর্টধারী লাগেজ ব্যবসায়ী জানান, কাস্টমসহ অন্যান্য প্রশাসনের ম্যানেজ করার দায়িত্ব নাকি স্থানীয় চাঁদাবাজ সিন্ডিকেটের। তারা নাকি চাঁদাবাজি টেন্ডার নিয়েছে। এমন অভিযোগ তুললো চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে। স্থানীয় সূত্র জানায়, এ চাঁদাবাজ সিন্ডিকেট এ রয়েছে শক্তিশালী মোবাইল নেটওয়ার্ক। প্রশাসনের নজর এড়াতে সার্বক্ষণিক ব্যবহার করা হয় এই মোবাইল নেটওয়ার্ক। ইমিগ্রেশন জিরো পয়েন্ট থেকে কাস্টমস এলাকার অভ্যন্তর পর্যন্ত থাকে মোবাইল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে যোগাযোগ। সতর্কাবস্থায় দায়িত্ব পালন করে চাঁদাবাজ সিন্ডিকেটের সদস্যরা। লাগেজ পণ্য পাচারের জন্য আইসিপি চেকিং পয়েন্টে সম্মুখস্ত স্থানে প্রস্তুত থাকে প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেল, ইজিবাইক ও ব্যাটারিচালিত ভ্যান। লোক দেখানো কিছু লাগেজ পণ্য নিয়ে যাওয়া হয় কাস্টমস চেকপোস্টে। নামমাত্র কিছু পণ্যের ট্যাক্স পরিষদের পর লাগেজ পণ্যের বিশাল চালান পাচার করা হয় বিভিন্ন যানবাহ ব্যবহার করে। চুরি করে পণ্য পাচারের লক্ষ্যে বন্দরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর এলাকায় রাখা হয় সতর্ক দৃষ্টি। প্রশাসনের চোখ এড়াতে রাস্তার মোড়ে মোড়ে থাকে মোবাইল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থা। নিরাপদে পণ্যপাচারের দায়িত্বে রয়েছে চাঁদাবাজচক্রের সদস্য মজিবর রহমান। সে নবাদকাটি গ্রামের মৃত অহেদ বক্সের ছেলে। লাগেজ ব্যবসায়ীদের নিরাপদ গন্তব্য স্থানে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে চাঁদাবাজ সিন্ডিকেটের পক্ষ থেকে। একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, বেশিরভাগ লাগেজ পণ্য চুরি করে পাচার করা হয় সন্ধ্যাকালীন সময়ে। চাঁদাবাজ সদস্যরা এ সময়টিকে পাওয়ার অপেক্ষায় থাকে। তবে সন্ধ্যাকালীন সময়ে লাগেজ পণ্য পাচারের বিষয়টি কাস্টমস যাত্রী ব্যাগেজ অফিস কর্তৃপক্ষের কর্ণগোচর হয়। এ ব্যাপারে কাস্টমস যাত্রী ব্যাগেজ অফিসের দায়িত্বশীল রাজস্ব কর্মকর্তা মইনুল ইসলাম বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার পদক্ষেপ নিয়েছেন। এদিকে প্রকাশ্য দিবালোকে মদ্যপান ও চাঁদাবাজির অভিযোগে ভোমরা ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট থেকে মদখোর ও চাঁদাবাজ রবিউল ইসলাম ও আজিজকে বের করে দেয় ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ। কিন্তু চাঁদাবাজ সিন্ডিকেটের মূলহোতা জাকিরসহ অন্যান্য চাঁদাবাজরা রয়ে গেছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্ট শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর :

সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি:

এম এ কাশেম ( এম এ- ক্রিমিনোলজি).....01748159372

alternatetext

সম্পাদক ও প্রকাশক:

মো: তুহিন হোসেন (বি.এ অনার্স,এম.এ)...01729416527

সম্পাদক ও প্রকাশক:

সিনিয়র নির্বাহী সম্পাদক :

© All rights reserved © 2020-2025
প্রযুক্তি সহায়তায়: csoftbd