জিএম মামুন নিজস্ব প্রতিনিধি; ভেনামি চিংড়ি বাংলাদেশের বর্তমানে দেশের সাদা সোনা খ্যাত, উৎপাদন মুখী চিংড়ি বাংলাদেশে ভেনামি চিংড়ি উৎপাদিত অনেকগুলো কোম্পানি থাকা সত্ত্বেও দেশের একটি বৃহত্তর ভেনামী চিংড়ি উৎপাদিত কোম্পানির সিন্ডিকেটের কারণে উচ্চ বাজার মূল্যে কোণ ঠাসা হয়ে পড়েছে সাধারণ মৎস্য চাষিরা।
বাংলাদেশের মৎস্য খাতের উন্নয়নে ও বড় ধরনের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে এবং লক্ষ লক্ষ বেকার জনগোষ্ঠীর বেকারত্ব দূরীকরণে এই মাছটি অগ্রণী ভুমিকা পালন করতে পারে। সরকারি ভাবে সর্বাত্মক সহযোগিতা পেলে এই খ্যাত অনেক দুর এগিয়ে যেতে পারত।
এজন্যে দরকার সরকারি সহযোগিতায় বিদেশে রফতানির ব্যবস্থা করা, প্রশিক্ষিত চাষী তৈরী করা এবং সুলভ মূল্যে ভাইরাস মুক্ত পোনা নিশ্চিত করা।
বর্তমানে সুলভ মূল্যে ভাইরাস মুক্ত ভেনানী চিংড়িপোনা পাওয়া খুবই অনিশ্চিত। শুরু থেকে ভেনামি চিংড়ি মৎস্য প্রজেক্টে ছাড়ার ১৫ থেকে ২০ দিন পরে দুই থেকে তিন ইঞ্চি বড় হওয়ার সাথে সাথে অধিকাংশ প্রজেক্টে ভাইরাস লেগে মারা যায় এমনটাই প্রজেক্ট মালিকদের অভিযোগ। ২০২৪ সালের প্রথমে যখন এই মাছর চাষ শুরু হয় তখন এ মাছের কোনো মড়ক দেখা যায়নি, কিন্তু ২০২৫ সালের শুরু থেকেই মাছ চাষীদের চাহিদা মেটাতে ভাইরাস মুক্ত না করে। অধিক লাভের আশায় কোম্পানি ভাইরাস যুক্ত মাছ তড়িঘড়ি বাজারজাত করে এবং ভেনামী পোনা চাষ করে দেশের অধিকাংশ চাষিই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
ভেনামি চিংড়ির পোনা বর্তমানে চাষীদের চাহিদার উপর দাম উঠা-নামা করে। সিন্ডিকেটের ফসল হিসেবে প্রতি হাজার ভেনামি চিংড়ির পোনার মূল্য ১২ থেকে ১৩ শত টাকা। এই একই পোনা বছরের শুরুতে হাজার মাত্র ৳২০০ থেকে ৳৩০০ টাকায় চাষিদের কাছে বিক্রয় করা হয়েছিল। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে ভাইরাস মুক্ত ভালো মানের পোনা হাজার ৳২০০-৳৩০০ টাকায় বিক্রয় হয়, সাথে ৮০%-১০০% মর্টালিটি দেয়া হয় এবং হ্যাচারী কর্তৃপক্ষ চাষীদের প্রজেক্টে মাছ উৎপাদনের দায়িত্ব নিয়ে থাকে। অথচ বাংলাদেশের মৎস্য চাষিরা হতবাক
সামনে শীত আসতে শুরু করেছে, চড়া মূল্যে পোনা ছেড়ে চাষীরা কতটুকু-বা লাভবান হবে এটা নিয়ে তারা হতাশায় পড়েছে।
বর্তমান সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এবং মৎস্য উপদেষ্টার কাছে আকুতি জানিয়েছেন সাধারণ মৎস্য চাষিরা। দেশে ভেনামি পোনা উৎপাদিত মৎস্য হ্যাচারীর সিন্ডিকেট বেড়াজাল ভেঙে সুদক্ষ বিভিন্ন কোম্পানিগুলোর ভেনামি চিংড়ি পোনা উৎপাদনের সরকারিভাবে অনুমোদনের মাধ্যমে সাধারণ মৎস্য চাষীদের কাছে স্বল্পমূল্যে (SPF ভাইরাস মুক্ত) নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে মনিটরিংয়ের দাবি জানান।
ভেনামী চিংড়ি খাতকে যাতে দেশের প্রধান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের খাত হিসাবে দেশের অর্থনীতিতে অগ্রণী ভুমিকা রাখতে পারে। সেই সাথে উৎপাদিত ভেনামী চিংড়ি ইউরোপ ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রফতানির ব্যবস্থা করতে হবে,
ভারতের মত কম ও নায্যমূল্যে SPF (ভাইরাস মুক্ত) পোনা প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে হবে (৳২০০-৳৩০০ টাকার ভিতরে),এবং হ্যাচারী মালিকদের ভেনামী চাষীদের প্রজেক্টের নিশ্চিত উৎপাদনের দায়িত্ব নিতে হবে _এটা নিশ্চিত করতে হবে, অভিজ্ঞ অন্তত ৫-৭টি পোনা উৎপাদিত হ্যাচারীকে সহজ শর্তে এই ভেনামী চিংড়ি পোনা উৎপাদন ও মার্কেটিং এর অনুমতি প্রদান করতে হবে এবং প্রয়োজনে তাদেরকে আর্থিক সহযোগিতা করতে হবে,
ভেনামী চিংড়ি চাষীদের প্রশিক্ষণ ও সহজ শর্তে আর্থিক সহযোগিতার ব্যবস্থা করতে হবে।
Leave a Reply