নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ১৪ নং ফিংড়ী ইউনিয়নের ০৪ নং ওয়ার্ডের মাহফুজ মেম্বরের যোগসাজশে ফিংড়ী বাজারস্হ ০৪ মিষ্টির দোকানে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। সরেজমিনে জানা যায়- ফিংড়ী বাজারে ০৪টি মিষ্টির দোকান রয়েছে। যারা বহুদিন যাবত বাজারে সুনামের সহিত সকালের নাস্তা দুপুরের খাবার সন্ধা কালীন ভাজা এবং রকমারি মিষ্টি পরিবেশন করে আসছে। ঘটনার দিন (২১ শে মার্চ) সোমবার সন্ধায় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে চৌকিদার তরিকুল নিউ ঘোষ ডেয়ারির মালিক রবিন ঘোষকে বলে মাহফুজ মেম্বর তোমাকে ইউনিয়ন পরিষদে ডাকছে। রবিন ঘোষ জানান- আমি সাথে সাথে ইউনিয়ন পরিষদে যাই। তখন মাহফুজ মেম্বর বলে থানার তদন্ত ওসি কথা বলবে, এই বলে তার ব্যবহৃত মোবাইল থেকে (০১৩২১৬৮৯৯৯০) ওসির সাথে আমাকে কথা বলিয়ে দেয়। তখন ওসি আমাকে বলে – সামনে রমজান মাস, সব মিষ্টির দোকান বন্ধ থাকবে। যদি তুমি ৫০০০/ পাঁচ হাজার টাকা দাও তাহলে তোমার দোকানটা খোলা থাকবে। আর টাকা না দিলে দোকান বন্ধ করে দেবো। একই ভাবে প্রতারক মাহফুজ মেম্বার তন্নী হোটেলের মালিক তৈয়েবুর রহমান, আলিম হোটেল এন্ড রেষ্টুরেন্টের মালিক আব্দুল আলিম এবং বিপুল হোটেলের মালিক বিপুল ঘোষকে পরিষদে একই ভাবে উক্ত নাম্বরে কথা বলায় এবং বিকাশ যোগে টাকা পাঠাতে বলে।
এ ব্যাপারে থানায় যোগাযোগ করা হলে ওসি গোলাম কবির বলেন- নাম্বারটি কোনো পুলিশের নয় প্রতারক চক্রর হবে। এদিকে সাংবাদিকদের মিষ্টির দোকানদারগন ভিডিও সাক্ষাতকারে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন এবং চাঁদাবাজ চক্রের মুল হোতা মাহফুজের চাঁদাবাজির কবল থেকে মুক্তি ও নির্বিঘ্নে ব্যবসা পরিচালনার আকুতি জানিয়েছে।
এ ব্যাপারে মাহফুজ মেম্বরের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান- ঐ নাম্বরে আমি কথা বলিয়ে দিয়েছি একথা সত্য কিন্তু আমি তাদেরকে টাকা দিতে বলিনি। টাকার ব্যপারটা তিনি এড়িয়ে যান। ভুক্তভূগিগন ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ লূৎফর রহমানের নিকট গেলে তিনি ব্যপারটা আমলে না নিয়ে, ভূয়া বলে উড়িয়ে দেন এবং সাংবাদিকদের ভিডিও চিত্র ধারনে বাধা দেন।
সংবাদে আরো প্রকাশ থাকে যে, এই সেই দূর্নীতির মহানায়ক মাহফুজ মেম্বর যার নামে বহুবার তার বহু অপকর্মের রিপোর্ট বিভিন্ন সংবাদ পত্রে প্রকাশিত হলেও ফলপ্রসূ কোন শাস্তি তার হয়নি। মাহফুজ মেম্বর গোবরদাড়ী গ্রামের ০৮ নং ওয়ার্ডের প্রতিবন্ধী আলাউদ্দিন(২৫) এর নিকট থেকে এনজিও মাধ্যমে ঘর দেয়ার নাম করে পাঁচ বছর পূর্বে ৩০০০০/ ত্রিশ হাজার টাকা নেয়। অদ্যাবধি প্রতিবন্ধী আলাউদ্দিনের ঘর বা তার টাকা প্রতারক মাহফুজ ফেরত দেয়নি। প্রতিবন্ধী অসহায় ভ্যানচালক আলাউদ্দিন তার কষ্টার্জিত টাকা ফেরত পাওয়ার আশায় সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তি ও প্রশাসনের দ্বারেদ্বারে ঘুরছে। এই চাঁদাবাজ প্রতারক দূর্নীতির মহানায়কের কি আদৌ কোনো বিচার হবেনা? ফিংড়ীর গরীব মানুষেরা কি টাকা ফেরত পাবেনা? তার চাঁদাবাজি বন্ধ এবং গরীবের টাকা ফেরতের জন্য তাকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবী জানিয়েছে এলাকার সচেতন মহল।
Leave a Reply