1. nokhatronews24@gmail.com : ajkarsatkhiradarpan darpan : ajkarsatkhiradarpan darpan
  2. install@wpdevelop.org : sk ferdous :
পাইকগাছায় নার্সারীতে গুটি কলম তৈরিতে ব্যস্ত মালিক ও শ্রমিকরা - আজকের সাতক্ষীরা দর্পণ
রবিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:০৪ অপরাহ্ন
১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ খবর :
📰সাতক্ষীরায় নতুন এসপি মোঃ আরেফিন জুয়েল’র যোগদান📰বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় সাতক্ষীরায় দোয়া অনুষ্ঠান📰সাতক্ষীরা সদরের খানপুরে পূর্ব শত্রুতার জেল ধরে সাঈদের বাড়িতে আগুন📰সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় প্রভাষক গোলাম আজম নিহত📰ধানের শীষ বিজয়ে ঐক্যবদ্ধ সাতক্ষীরা জেলা বিএনপি, ধানের শীষের বিজয়ে অপার সম্ভাবনা📰ভয় দেখিয়ে নয়, উদারতা দিয়ে মানুষের মন জয় করতে বলেছেন তারেক রহমান: জুয়েল📰কুলিয়ায় নীতি নির্ধারকদের সঙ্গে-নেতৃত্বাধীন অ্যাডভোকেসি সভা📰সাতক্ষীরা-২ আসনে আব্দুল আলিমের মনোনয়নের দাবীতে সড়ক অবরোধ করে মশাল মিছিল📰কালিগঞ্জে পুকুরে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু📰সমাজসেবা অফিসার শেখ সহিদুর রহমান নিজের অপকর্ম ঢাকতে, বিভিন্ন ব‍্যাক্তিদের দিয়ে মিথ্যা অভিযোগ

পাইকগাছায় নার্সারীতে গুটি কলম তৈরিতে ব্যস্ত মালিক ও শ্রমিকরা

প্রতিবেদকের নাম :
  • হালনাগাদের সময় : মঙ্গলবার, ৮ আগস্ট, ২০২৩
  • ৬৯ সংবাদটি পড়া হয়েছে

ইব্রাহীম সানা পাইকগাছা:

পাইকগাছায় নার্সারীগুলিতে গুটি কলম তৈরীতে ব্যস্ত সময় পার করছে মালিক ও শ্রমিকরা। বর্ষাকাল গুটি কলম তৈরী করার উপযুক্ত সময়। সাধারনত বৈশাখ থেকে শ্রাবন মাস গুটি কলম তৈরীর উপযুক্ত সময়। মাতৃগুণ বজায় রাখা, দ্রæত ফলন, রোগ প্রতিরোধে ক্ষমতা বাড়ানো এবং অধিক ফলন পেতে গুটিকলম ব্যবহার করা হয়। সম্পূর্ণ মাতৃগাছে গুণাগুন সমৃদ্ধ চারা করার জন্য গুটিকলম জনপ্রিয়। কাগজি লেবু, পেয়ারা, লিচু, জলপাই, ডালিম, করম চা, গোলাপ জামসহ বিভিন্ন গাছে গুটি কলম করা হয়।
উপজেলার গদাইপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে ছোট-বড় প্রায় ৫ শতাধিত নার্সারী গড়ে উঠেছে। যার উল্লেখযোগ্য সংখ্যা রয়েছে গদাইপুর গ্রামে। নার্সারীতে প্রায় ৫ লাখ গুটি কলম তৈরি করা হচ্ছে। বর্ষা মৌসুম শুরুতে চারা তৈরীর জন্য নার্সারী মালিক ও কর্মচারীরা গুটিকলম তৈরীতে ব্যস্ত হয়ে ওঠেছে। যে গাছের ডালে গুটি করা হবে সে ডালের বয়স কমপক্ষে ৬ মাস থেকে ২ বছর হতে হবে। গুটি কলম তৈরী করতে গাছের ডালের দুই ইঞ্চি মত ছাল পুরাটা গোল করে কেটে ফেলে জৈব সার মিশ্রিত মাটি দিয়ে কাঁটা অংশ ভাল করে বেঁধে গুটি করতে হবে। মাটির গুটি সবসময় ভিজা রাখতে হবে। মাটিতে পলিথিন দিয়ে শক্ত করে বেঁধে দিতে হবে। ১ মাসের মধ্যেই মাটির ভিতর থেকে শিকড় বেড় হয়। হিতামপুর গ্রামে অবস্থিত রজনীগন্ধা নার্সারীর মালিক সুকনাথ পাল জানান, এ বছর তার নার্সারীতে ২৫ হাজার গুটি কলমের চারা তৈরী করা হচ্ছে। এর মধ্যে মিস্টি জলপাই ১০ হাজার, মাল্টা ১০ হাজার, পেয়ারা ৩ হাজার ও লিচু ২ হাজার চারার গুটি কলম করা হচ্ছে।
গুটি কলম তৈরীতে অভিজ্ঞ নার্সারী কারিগরের দরকার হয়। গদাইপুর গ্রামের গুটি কলমের অভিজ্ঞ কারিগর হামিদ মোড়ল দৈনিক আজকের সাতক্ষীরা দর্পণকে বলেন, প্রতিটি গুটি দুই টাকা দরে তৈরী করছি। গোপালপুর গ্রামের গুটি কলমের অভিজ্ঞ কারিগর মোক্তার ও সালাম দর্পণকে বলেন, লেবু গুটি ২টাকা ও অন্য জাতের গুটি কলম ১ টাকা ৭০ পয়সা দরে তৈরী করছি। তাছাড়া দৈনিক মজুরী হিসাবে নার্সারীতে কাজ করে থাকে। গদাইপুর গ্রামের অবস্থিত সততা নার্সারীর মালিক অঞ্জনা রানী পাল জানান, তার নার্সারীতে বিভিন্ন জাতের প্রায় ৩০ হাজার গুটি কলম তৈরী করছেন। শ্রমিকের অভাবে কলম তৈরী করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তবে কলম তৈরীর সময় পার হয়ে গেলে এ মৌসুমের আর গুটি কলম তৈরী করা যাবে না। সে কারনে কলম তৈরীতে অধিক পয়সা খরচ হচ্ছে।
গদাইপুর নার্সারি মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কামাল সরদার দৈনিক আজকের সাতক্ষীরা দর্পণকে বলেন, চলতি মৌসুমে প্রায় ২শত কোটি টাকার চারা বিক্রির সম্ভাবনা রয়েছে। তার কাছে সব ধরণের চারাগাছ রয়েছে। তার উৎপাদিত চারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া শামসুল, আক্তার, রওসনারা, মিজানুর, নাসির, নজরুল, বিল্লালসহ নার্সারি মালিক তাদের উৎপাদিত চারা বিক্রি লাভবান হবেন বলে ধারণা করছেন।
পাইকগাছা উপজেলা নার্সারী মালিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অশোক কুমার পাল দৈনিক আজকের সাতক্ষীরা দর্পণকে বলেন, কলম তৈরীর শ্রমিক ঠিকমত না পাওয়ায় কারণে উচ্চ মূল্যে শ্রমিক নিয়ে কলম তৈরী করতে হচ্ছে। গদাইপুর এলাকার তৈরী কলম চারা বাংলাদেশের চট্টগ্রাম, দিনাজপুর, রংপুর, সিলেট, বরিশাল, কুমিল্লা, রাজশাহী সহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ হচ্ছে। বিগত বছরের তুলনায় চারার বাজার ভালো।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো: জাহাঙ্গীর আলম দৈনিক আজকের সাতক্ষীরা দর্পণকে বলেন, দেশের খাদ্য উৎপাদনে নার্সারির ভ‚মিকা অপরিসীম। পাইকগাছার নার্সারী শিল্প খুলনা জেলার শীর্ষ পর্যায়ে রয়েছে। এ এলাকার চারার মান ভালো। নার্সারী ব্যবসায়ীরা চারা বিক্রি করার জন্য আশানারুপ বাজার ধরতে পারায় তারা লাভবান হচ্ছে। নার্সারীতে উৎপাদিত চারা সবুজ বননায়নে উল্লেখযোগ্য ভ‚মিকা রেখেছে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করছে তেমনি দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্ট শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর :

সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি:

এম এ কাশেম ( এম এ- ক্রিমিনোলজি).....01748159372

alternatetext

সম্পাদক ও প্রকাশক:

মো: তুহিন হোসেন (বি.এ অনার্স,এম.এ)...01729416527

সম্পাদক ও প্রকাশক:

সিনিয়র নির্বাহী সম্পাদক :

© All rights reserved © 2020-2025
প্রযুক্তি সহায়তায়: csoftbd