1. nokhatronews24@gmail.com : ajkarsatkhiradarpan darpan : ajkarsatkhiradarpan darpan
  2. install@wpdevelop.org : sk ferdous :
চলতি মাসেই পদ্মা সেতুতে আলো জ্বলবে - আজকের সাতক্ষীরা দর্পণ
রবিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:০৯ পূর্বাহ্ন
১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ খবর :
📰সাতক্ষীরায় নতুন এসপি মোঃ আরেফিন জুয়েল’র যোগদান📰বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় সাতক্ষীরায় দোয়া অনুষ্ঠান📰সাতক্ষীরা সদরের খানপুরে পূর্ব শত্রুতার জেল ধরে সাঈদের বাড়িতে আগুন📰সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় প্রভাষক গোলাম আজম নিহত📰ধানের শীষ বিজয়ে ঐক্যবদ্ধ সাতক্ষীরা জেলা বিএনপি, ধানের শীষের বিজয়ে অপার সম্ভাবনা📰ভয় দেখিয়ে নয়, উদারতা দিয়ে মানুষের মন জয় করতে বলেছেন তারেক রহমান: জুয়েল📰কুলিয়ায় নীতি নির্ধারকদের সঙ্গে-নেতৃত্বাধীন অ্যাডভোকেসি সভা📰সাতক্ষীরা-২ আসনে আব্দুল আলিমের মনোনয়নের দাবীতে সড়ক অবরোধ করে মশাল মিছিল📰কালিগঞ্জে পুকুরে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু📰সমাজসেবা অফিসার শেখ সহিদুর রহমান নিজের অপকর্ম ঢাকতে, বিভিন্ন ব‍্যাক্তিদের দিয়ে মিথ্যা অভিযোগ

চলতি মাসেই পদ্মা সেতুতে আলো জ্বলবে

প্রতিবেদকের নাম :
  • হালনাগাদের সময় : মঙ্গলবার, ১৭ মে, ২০২২
  • ৪৭ সংবাদটি পড়া হয়েছে

ন্যাশনাল ডেস্ক: পদ্মা সেতুতে মোট ৪১৫টি ল্যাম্পপোস্ট বসানো হয়েছে। এর মধ্যে মূল সেতুতে ৩২৮টি, জাজিরা প্রান্তের উড়ালপথ (ভায়াডাক্ট) ৪৬টি, মাওয়া প্রান্তের ভায়াডাক্টে ৪১টি ল্যাম্পপোস্ট বসানো হয়েছে। গত ১৮ এপ্রিল এসব ল্যাম্পপোস্ট ও এর মধ্যে বাতি লাগানোর কাজ শেষ হয়। এরপর পুরো সেতুতে কেবল টানা হয়েছে। গত বছর ২৫ নভেম্বর মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে প্রথম ল্যাম্পপোস্ট বসানোর কাজ শুরু হয়েছিল। সব মিলিয়ে চলতি মে মাসের মধ্যেই সেতুতে আলো জ্বালানোর জন্য পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আর পদ্মা সেতু চালু হচ্ছে জুনেই। চূড়ান্ত না হলেও সম্ভাব্য উদ্বোধনের তারিখ হিসেবে ২৫ জুন আলোচনায় রয়েছে। বহুল প্রতীক্ষার এই সেতু উদ্বোধনের প্রস্তুতি চলছে পুরোদমে। এর মধ্যে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজনে সেতু বিভাগ ১৮টি উপকমিটি গঠন করেছে। সেতু বিভাগ সূত্র বলছে, জুনের শেষ সপ্তাহে সেতু উদ্বোধনের বিষয়টি চূড়ান্ত। তবে উদ্বোধনের দিন হিসেবে কোন তারিখ বেছে নেওয়া হবে-এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে অনানুষ্ঠানিকভাবে জেনে নেওয়ার দায়িত্ব নিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। প্রধানমন্ত্রীর মৌখিক সম্মতি পাওয়ার পর আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের দিন-তারিখ ঠিক করে অনুমোদনের জন্য সারসংক্ষেপ পাঠানো হবে। সে অনুযায়ী উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র তৈরি, মঞ্চ প্রস্তুত এবং অন্যান্য প্রস্তুতিমূলক কাজ শেষ করা হবে।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা ২৫ জুন সেতু উদ্বোধনের সম্ভাব্য তারিখ ধরে এগোচ্ছেন। দু-এক দিনের মধ্যেই বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে যাবে।
সরকারি সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্ত থেকে সেতু উদ্বোধন করে গাড়িতে চড়ে সেতু পার হয়ে শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে যাবেন। সেখানে আরেক দফা আনুষ্ঠানিকতায় অংশ নেবেন। পরে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কাঁঠালবাড়িতে জনসভা করার কথা রয়েছে। এর মধ্যে গত রোববার সেতু বিভাগের কর্মকর্তা ও প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় নিয়োজিত স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) কর্মকর্তারা প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
সেতু বিভাগ সূত্র জানায়, সেতুটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের জন্য ম্যুরাল ও ফলক নির্মাণের কাজ চলছে। মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে ৪০ ফুট উচ্চতার দুটি ম্যুরাল নির্মিত হচ্ছে। দুটি ম্যুরালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিকৃতি থাকবে। এর পাশে নির্মাণ করা হচ্ছে উদ্বোধনী ফলক।
উদ্বোধনের বিষয়ে জানতে চাইলে সেতু বিভাগের সচিব মো. মনজুর হোসেন বলেন, ৩০ জুনের মধ্যে পদ্মা সেতু চালু হবে, এটা ধরেই এগোচ্ছেন তারা। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি পেলেই আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের তারিখ ঘোষণা করা হবে।
এদিকে মঙ্গলবার পদ্মা সেতুতে পারাপারে যানবাহনের শ্রেণিভেদে টোলহার প্রকাশ করেছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পেয়েই টোলহারের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। সরকার নির্ধারিত হার অনুসারে, পদ্মা সেতু পাড়ি দিতে মোটরসাইকেলের টোল হবে ১০০ টাকা। কার-জিপের টোল ৭৫০ টাকা। বড় বাসের টোল দিতে হবে ২ হাজার ৪০০ টাকা। মাঝারি ট্রাক পারাপারে লাগবে ২ হাজার ৮০০ টাকা। এই সেতু দিয়ে অটোরিকশা, হিউম্যানহলার কিংবা নসিমন-করিমন চলতে দেওয়া হবে না। গত ২৮ এপ্রিল পদ্মা সেতুর জন্য টোলহার প্রস্তাব করে অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পাঠায় সেতু মন্ত্রণালয়। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের অনুমোদনের পর আজ তা প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করা হয়।
প্রজ্ঞাপন অনুসারে, সেতু বিভাগ থেকে যে টোলহার প্রস্তাব করা হয়েছিল, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর তা হুবহু অনুমোদন দিয়েছে। সরকারের নির্ধারণ করা টোলের হার অনুসারে, বর্তমানে ফেরিতে পদ্মা নদী পার হতে যে টাকা লাগে, সেতু পার হতে তার চেয়ে গড়ে দেড় গুণ বেশি টাকা খরচ করতে হবে। আর দ্বিতীয় দীর্ঘতম বঙ্গবন্ধু সেতুর টোলের সঙ্গে তুলনা করলে তা হবে প্রায় দ্বিগুণ।
৩০ মের মধ্যে পদ্মা সেতুতে বিদ্যুৎসংযোগ পাওয়া যাবে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে ৩১ মে বা ১ জুন থেকে রাতে সেতুর ল্যাম্পপোস্টগুলো আলো ছড়াবে। ১৫ মে মুন্সিগঞ্জ পল্লি বিদ্যুৎ সমিতিকে পদ্মা সেতুতে বিদ্যুৎসংযোগ দেওয়ার জন্য চিঠি দেয় পদ্মা সেতু প্রকল্প কর্তৃপক্ষ। চিঠিতে বলা হয়, ৩০ জুনের মধ্যে পদ্মা সেতুর কাজ শেষ হবে এবং এর মধ্যে যানবাহন চলাচলের জন্য সেতুটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। এ লক্ষ্যে মূল সেতুতে ৮০ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ ৩০ মের মধ্যে সরবরাহ করতে হবে। এই বিদ্যুৎসংযোগের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে জমা দেওয়া হয়েছে। একই দিন একইভাবে শরীয়তপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকেও চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে প্রকল্প সূত্র জানিয়েছে।
এর মধ্যে দাওয়াত দেওয়ার দায়িত্বে নিয়োজিত কমিটি দাওয়াত কার্ডের নকশা ও সজ্জার কাজ শুরু করে দিয়েছে। মনোরম ভেন্যু, সাজসজ্জা, আসন ব্যবস্থাপনা ও অতিথিদের অভ্যর্থনার জন্য রয়েছে কমিটি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভিডিও প্রদর্শনী থাকবে। অতিথিদের মাওয়া ও জাজিরা-দুই পাড়েই আপ্যায়নের ব্যবস্থা করা হবে। আর এই কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য কমিটি করা হয়েছে। এ ছাড়া করোনাকালে স্বাস্থ্য সুরক্ষা, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা এবং ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার জন্য দুই পাড়েই একাধিক কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সেতু বিভাগের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিসভার সদস্য, বিশিষ্ট রাজনীতিক ছাড়াও বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকেরা উপস্থিত থাকবেন। পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরুর আগে থেকেই এই প্রকল্প দেশে-বিদেশে আলোচিত। এ জন্য অনুষ্ঠান যতটা সম্ভব আকর্ষণীয় করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। পদ্মা সেতু চালু হলে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১৯টি জেলা সরাসরি সারা দেশের সঙ্গে যুক্ত হবে। আগেই ঢাকা-ভাঙ্গা রুটে এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের ফলে এই পথে যাতায়াতের সময় কমে এক ঘণ্টায় নেমে আসবে বলে সওজের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
প্রকল্পের অগ্রগতি প্রতিবেদন অনুসারে, এপ্রিল পর্যন্ত মূল সেতুর কাজ এগিয়েছে ৯৮ শতাংশ। নদীশাসনের কাজের অগ্রগতি ৯২ শতাংশ। সব মিলিয়ে পদ্মা সেতু প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি ৯৫ শতাংশ।
পদ্মা সেতুর (মূল সেতু) দৈর্ঘ্য ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার। দুই প্রান্তের উড়ালপথ ৩ দশমিক ৬৮ কিলোমিটার। সব মিলিয়ে সেতুর দৈর্ঘ্য ৯ দশমিক ৮৩ কিলোমিটার। এটি পদ্মা নদীর দুই পাড়কে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া ও শরীয়তপুরের জাজিরা দিয়ে সরাসরি যুক্ত করবে। পদ্মা সেতু প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্ট শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর :

সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি:

এম এ কাশেম ( এম এ- ক্রিমিনোলজি).....01748159372

alternatetext

সম্পাদক ও প্রকাশক:

মো: তুহিন হোসেন (বি.এ অনার্স,এম.এ)...01729416527

সম্পাদক ও প্রকাশক:

সিনিয়র নির্বাহী সম্পাদক :

© All rights reserved © 2020-2025
প্রযুক্তি সহায়তায়: csoftbd