ডালিম রেজা কেশবপুর থেকে: উপযুক্ত রক্ষণাবেক্ষণ ও সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার অভাব এবং বাজারে প্লাষ্টিক সামগ্রীর দাপটে চারুশিল্পের চাহিদা দিন-দিন কমে যাওয়ার কারণে হারিয়ে যেতে বসেছে বেত ও বাাঁশের তৈরী চারুশিল্প। তাই যশোরের কেশবপুরে প্রসিদ্ধ বাঁশ শিল্পীরা তাদের ভাগ্যের উন্নয়ের জন্য বাপদাদার রেখে যাওয়া ঐতিহ্যবাহী পেশা ছেড়ে বেছে নিচ্ছে অন্য পেশা। উপযুক্ত দক্ষতা ও প্রশিক্ষণ না থাকায় অন্য পেশায় তাদের ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটাতে পারছে না।
ফলে তাদের মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে। বাহারি ও মন কাড়া রকমারী প্লাষ্টিক সামগ্রী বাজার দখল করার কারণে বেত ও বাাঁশের তৈরী জিনিসের প্রতি মানুষ দিন দিন আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। ফলে আধুনিক ও যান্ত্রিক যুগের সাথে পালা দিয়ে টিকে থাকা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে।যে কারণে চারুশিল্পীরা বাপদাদার রেখে যাওয়া পেশা ছেড়ে বেছে নিচ্ছে নতুন পেশা।
যে কারণে চারুশিল্পীরা বাপদাদার রেখে যাওয়া পেশা ছেড়ে বেছে নিচ্ছে নতুন পেশা। যে পেশায় তারা একেবারে আনাড়ী। ফলে কেশবপুরের বেত ও বাঁশ শিল্পীরা এখন মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে। উপজেলার সাগরদাঁড়ী, কোমরপোল, ভেরচী, শেখপুরা, গোপসেনা, ধর্মপুর, বালিয়াডাঙ্গা, দেউলি, শ্রীরামপুরও খতিয়াখালি গ্রামের প্রায় এক হাজার পরিবার বেত ও বাঁশ শিল্পের সঙ্গে জড়িত।
যারা বাঁশ দিয়ে তৈরী চাটাই, কুলা, ঝুড়ি, ডালা, চালুন, খাঁচা, খারই, মোড়া, ডরি, ধামা, পেলেসহ বিভিন্ন ধরনের টুকরি-সাজিসহ হরেক রকম দ্রব্যসামগ্রী তৈরী করে স্থানীয় বাজারে বাজারজাত করত। কিন্তু বর্তমানে এ পেশায় বাঁশ ও বেতের যোগান না থাকা এবং প্লাষ্টিক সামগ্রীর দাপটে চারু শিল্পের চাহিদা প্রায় শেষ হয়ে গেছে। এ পেশার সাঙ্গে জড়িত মান্দার দাশ (৩৪), সুকুমার দাশ (৩৮), দুলাল দাশ (৩৯), জালাল গাজী (৪২) সোহারাব (৩৪) স্বপন দাশ (৩২) ও বিপুল দাশ(২৭) সহ অনেকেই বলেন, প্রয়োজনীয় কাঁচামাল সরবরাহ ও সরকারী পৃষ্টপোষকতা না থাকায় এবং বাজারে বাহারী প্লাষ্টিক সামগ্রীর দাপটে চারুশিল্পের ভগ্নদশা। চালিতাবাড়িয়ার গ্রামের পাচু দাস বলেন, এ পেশায় থেকে আমাদের সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম এম আরাফাত হোসেন দৈনিক আজকের সাতক্ষীরা দর্পণকে বলেন, বেত ও বাাঁশের তৈরী চারুশিল্প আমাদের দেশের প্রাচীন ঐতিহ্য এই শিল্পকে রক্ষা করতে সরকারের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। তবে এই শিল্পের সঙ্গে জড়িতদের কোন সংগঠন থাকলে ও তারা সহযোগিতা চাইলে এবিষয়ে সরকার আন্তরিক।
Leave a Reply