নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা জেলা কালিগঞ্জ উপজেলা দিয়ে বহমান ভারত-বাংলাদেশের সীমানা নির্ধারণ কারী একটি নদীর নাম কালিন্দী নদী। এ কালিন্দী নদীর বুকে জেগে ওঠা বিশাল চরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখে প্রথম দর্শনেই মনে হবে এটা সুন্দরবন নয়তো! আসলেই এ যেন মিনি সুন্দরবন। কালিগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে ৭ মাইল দুরে প্রাকৃতিক ভাবে গড়ে ওঠা এই মিনি সুন্দর বনের নাম বাঁশ ঝাড়িয়া বন। বনটি চতুর্দিকে নদী বেষ্টিত। সুন্দর বনটি প্রায় ১শ একর জমি নিয়ে বিস্তৃত। বাঁশঝাড়িয়া এই বনটি ভ্রমন পিপাষু ব্যক্তিদের জন্য হতে পারে আকর্ষনীয় স্থান। এ বনে আছে সুন্দরী গাছ, বাইন গাছ, কেউড়া গাছ, সেগুন গাছ, কড়াই গাছ সহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ। বনের ভিতরে আছে বিভিন্ন প্রকারের রং বে-রঙ্গের পাখি। শীতের আমেজ শুরু হতেই বাঁশঝাড়িয়া বনে পাখির কল কাকুনিতে কোলাহল মুখোর পরিবেশ সৃষ্টি হয় অতিথি পাখির আগমনে। জানা যায় আনুমানিক ১৯২৬ সালে কালিগঞ্জ উপজেলাধীন বাঁশঝাড়িয়া মৌজার প্রায় ১শ একর জমি সীমান্ত নদী কালিন্দীতে বিলিন হয়ে যায়। এর প্রায় ১৫-১৬ বছর পরে ১৯৪৫ সালের প্রথম দিকে এনদীর বুকে জেগে ওঠে একটি বৃহত চর। চরটি বাঁশঝাড়িয়া চর নামে পরিচিতি হয়। স্বাভাবিক ভাবেই চরটিতে গজাতে থাকে নানান প্রজাতির গাছ। অন্যদিকে বাঁশঝাড়িয়া, মৌখালী, ড্যামারাইল ও খড়মি এলাকার বয় ও বৃদ্ধরা জানান বাঁশঝাড়িয়া চরের বন ভূমি বাংলাদেশেরই সম্পদ, ভারত এ চরটি দাবী করছে যা অযৌক্তিক সীমান্ত জরিপ এর মাধ্যমে বাঁশঝাড়িয়া বনভূমি টি বাংলাদেশেরই প্রমানিত হবে এ আত্মবিশ্বাস তাদের। এখানে হতে পারে সম্ভাবনাময় একটি পর্যটন কেন্দ্র। এছাড়া শুক্রবার সহ বিশেষ দিনগুলিতে ক্ষুধে এ মিনি সুন্দরবন দেখতে দূর দুরান্তের দর্শনার্থীদের ভিড় বাড়ছে এখানে। তথ্যঅনুসন্ধানে ও এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানা গেছে সুন্দরবনের মূল ভূখন্ড থেকে প্রায় দুইশত কিঃ মিঃ উত্তরে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার ধলবাড়ীয়া ইউনিয়নে সীমান্ত ঘেসে যাওয়া খরগ্রোত কালিন্দী বিস্তীর্ণ চরে জেগে উঠেছে এই বন। দিন দিন বনের আকার বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকারী ভাবে উদ্যোগ নিয়ে এটি পর্যটকদের দর্শনীয় হিসাবে পরিচিতি লাভ সহ সরকারী কোষাগারে অতিরিক্ত অর্থ যোগাড়ের মাধ্যম হতে পারে। স্থানীয় সচেতন ব্যক্তিদের দাবী এ বনটি দর্শনীয় ও পর্যটকদের সুবিধার্তে হোটেল-মোটেল ও রেষ্টুরেন্টের ব্যবস্থা করলে পর্যটকরা আগ্রহী হবে।
Leave a Reply