স্টাফ রিপোর্টার: সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের শহীদ সামাদ স্মৃতি ময়দানে চলা জম-জমাট লটারি নামক জুয়া এখনও চলছে তবে একটু ভিন্ন কৌশলে। ইজিবাইকে বিক্রি না করে সকাল থেকে মেলা চত্ত্বরে উচ্চস্বরে মাইকের শব্দে পুরো এলাকা প্রকম্পিত করে লটারি, লটারি, পুরাই মাথা নষ্ট মামা, ওঠাও বাচ্চা ওঠাও, খুশি তো এসব চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে চলছে লটারি বিক্রি। বন্ধ হয়নি অশ্লীল নাচ।
বুধবার (১৮ জানুয়ারি) রাতে সার্কাসের মঞ্চে নাচানো হয়েছে চিত্র নায়িকা নাসরিনকে। সার্কাস দেখতে এসে এই অশ্লীল নাচও দেখছে শিশু-কিশোরেরা।
মাঠের পাশে অবস্থিত সরকার অনুমোদিত ডাঃ হযরত আলী ক্লিনিক। ওই ক্লিনিকে বর্তমানে ২/৩ জন সিজারিয়ারসহ বিভিন্ন রোগি ভর্তি রয়েছে। সরকার অনুমোদিত ক্লিনিকের দেওয়াল ঘেষে কিভাবে দিনরাত উচ্চস্বরে মাইক বাজিয়ে মেলা চলতে পারে সেটি নিয়ে হতবাগ সূধীমহল।
বুধবার রাতে সরেজমিন গেলে দেখা যায়, পুরো মাঠে মানুষ আর মানুষ। সার্কার প্যান্ডেলের মধ্যে কোন চেয়ার খালি নেই। শত শত মানুষ চারদিকে ঘিরে আছে। মঞ্চের মধ্যে চলছে অশ্লীল নাচ। যার কারণে পরিবার নিয়ে আসা অনেকেই পড়ছে বিপাকে। মাঠের আরেক পাশে চলছে লটারি নামক জুয়া। প্রতিদিন রাত ১০টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কেডিআরএস নামক একটি ইউটিউবসহ ডিস লাইনের মাধ্যমে চটকদার শিরোনাম দিয়ে প্রচারিত হচ্ছে লটারির প্রচার।
স্থানীয় হাবিবুর রহমান, আনিছুর রহমান, মোজাফফার হোসেন, মনিরুল ইসলাম জানান, আব্দুল জব্বার, রশিদ, ফারুক, আনিসুরসহ অনেকেই বলেন সার্কাসের নামে অশ্লীল নাচ আর লটারি নামক জুয়া বন্ধ হোক। দিন দিন এলাকার যুব সমাজ বিপথে চলে যাচ্ছে। লটারি জুয়ার কারণে এলাকায় চুরিসহ বিভিন্ন অপকর্ম বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ভাড়াশিমলা ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল হাসান নাঈম জানান, আমি এটার সম্পূর্ণ বিরোধী। আমার এলাকার যে সব মানুষ দিনমজুর তারা প্রতিদিন ২০০/৩০০
টাকা দিয়ে মোটরসাইকেলের নেশায় পড়ে টিকিট কিনছে। যার কারণে পারিবারিকভাবে তাদের সংসারে অশান্তি বাঁধছে। আমি সাংবাদিকদের মাধ্যমে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি অতিদ্রুত এটি যেন বন্ধ হয়। আমাদের নাকের ডগায় বসে সাধারণ মানুষের রক্ত চুষে যারা খাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। এর জন্য যদি কোন লিখিত বা স্বশরীরে কোন দপ্তরে হাজির হতে হয় তাতেও রাজি। তিনি আরো বলেন, কিছু মানুষ এটিকে সমর্থন করছে, আমি তাদেরকে বলবো তারা যেন এটিকে সমর্থন না করে ঘৃণার চোখে দেখে।
কালিগঞ্জে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রহিমা সুলতানা বুশরা জানান, সার্কাসের নামে অশ্লীল নাচের বিষয়টি আমি জানি না। তবে লটারির বিষয়টি জানান পর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মেলা চত্ত্বরে এখনও লটারি চলছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন বিষয়টি আমি দেখছি।
Leave a Reply