1. nokhatronews24@gmail.com : ajkarsatkhiradarpan darpan : ajkarsatkhiradarpan darpan
  2. install@wpdevelop.org : sk ferdous :
করোনা ট্রাজেডিঃ বাল্যবিবাহ মুক্ত উপজেলা সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে বাল্যবিবাহের ভারে আক্রান্ত - আজকের সাতক্ষীরা দর্পণ
সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:৩১ অপরাহ্ন
১৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ খবর :
📰সাতক্ষীরায় নতুন এসপি মোঃ আরেফিন জুয়েল’র যোগদান📰বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় সাতক্ষীরায় দোয়া অনুষ্ঠান📰সাতক্ষীরা সদরের খানপুরে পূর্ব শত্রুতার জেল ধরে সাঈদের বাড়িতে আগুন📰সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় প্রভাষক গোলাম আজম নিহত📰ধানের শীষ বিজয়ে ঐক্যবদ্ধ সাতক্ষীরা জেলা বিএনপি, ধানের শীষের বিজয়ে অপার সম্ভাবনা📰ভয় দেখিয়ে নয়, উদারতা দিয়ে মানুষের মন জয় করতে বলেছেন তারেক রহমান: জুয়েল📰কুলিয়ায় নীতি নির্ধারকদের সঙ্গে-নেতৃত্বাধীন অ্যাডভোকেসি সভা📰সাতক্ষীরা-২ আসনে আব্দুল আলিমের মনোনয়নের দাবীতে সড়ক অবরোধ করে মশাল মিছিল📰কালিগঞ্জে পুকুরে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু📰সমাজসেবা অফিসার শেখ সহিদুর রহমান নিজের অপকর্ম ঢাকতে, বিভিন্ন ব‍্যাক্তিদের দিয়ে মিথ্যা অভিযোগ

করোনা ট্রাজেডিঃ বাল্যবিবাহ মুক্ত উপজেলা সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে বাল্যবিবাহের ভারে আক্রান্ত

প্রতিবেদকের নাম :
  • হালনাগাদের সময় : শনিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
  • ১০৩ সংবাদটি পড়া হয়েছে

আবু সাইদ,সাতক্ষীরা: দেশের সর্ব প্রথম বাল্যবিবাহ মুক্ত উপজেলা সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলা এখন বাল্য বিবাহের ভারে আক্রান্ত! করোনা কালীন সময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারনে অনেক মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্টনের শিক্ষার্থীর জীবন বাল্য বিবাহের কারনে অকালে ঝরে পড়েছে। “বাল্য বিবাহ একটি অভিশাপ ও সামাজিক ব্যাধি’- এ স্লোগান কে সামনে রেখে কালিগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন, জন প্রতিনিধি, সাংবাদিক, এনজিও প্রতিষ্ঠানসহ সমাজের সচেতন মহল কালিগঞ্জ উপজেলাকে বাল্যবিবাহ মুক্ত করার নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যান। এক পর্যায়ে ২০১৪ সালের ২৩ মার্চ তারিখে কালিগঞ্জ উপজেলা বাংলাদেশের মধ্যে সর্ব প্রথম “বাল্য বিবাহ মুক্ত” উপজেলা হিসাবে সরকারি ভাবে ঘোষিত হয়। তারই স্বীকৃতি স্বরূপ তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলহাজ্ব সৈয়দ ফারুক আহম্মেদ একই বছরের অক্টবর মাসে নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের তৎকালীন প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমের নিকট থেকে হোটেল সোনার গাঁও এ আয়োজিত একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে সম্মাননা ক্রেষ্ট গ্রহন করেন। বেশ কিছুদিন যাবৎ বাল্য বিবাহ মুক্ত উপজেলা হিসাবে মানুষ সুফল ভোগ করলেও সর্বনাশা মহামারী করোনা এ পরিস্থিতিকে পাল্টে দেয়। করোনা কালীন সময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারনে অনেক অবিভাবক তাদের স্কুল-কলেজ পড়ুয়া কোমল মতি সন্তানদের কে বিবাহ প্রদান করে। এ ক্ষেত্রে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে স্থানীয় ম্যারেজ রেজিষ্টার বর-কনে পক্ষের সহযোগীতায়, কতিপয় মতলব বাজ ও কিছু কুচক্রী মহলের যোগসাজসে, অতি গোপনে বাল্য বিবাহ সম্পন্ন করে। গত ২০২০ ও ২০২১ সালে উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নের ২৭৩টি গ্রামে অন্তত ১ হাজার বাল্য বিবাহ সংগঠিত হয়েছে। বেসরকারি নারী উন্নয়ন সংগঠন ‘বিন্দু’ এর নির্বাহী পরিচালক জান্নাতুল -মাওয়া এ প্রতিনিধিকে বলেন -উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নের মধ্যে ২৪ টি গ্রামে জরিপ পরিচালনা করে ২০২০ ও ২০২১ সালে ১০১ টি বাল্য বিবাহ সংগঠিত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০২০ সালে গোবিন্দপুর (ছোট) গ্রামের ৮ম শ্রেনী পড়–য়া (১৪) ৯ম শ্রেনী পড়–য়া (১৫), ২০২১ সালে কৃষ্ণনগর গ্রামের ৭ম শ্রেনী পড়–য়া (১৩), একই গ্রামের ৭ম শ্রেনী (১৪), রাজাপুর গ্রমের ১০ম শ্রেনীর (১৬), সোনাতলা গ্রামের ৮ম শ্রেনীর ছাত্রী (১৪) এদের বাল্য বিবাহ সম্পন্ন হয়েছে। অপরিণত বয়েসে বিয়ের পিঁড়িতে পা রেখে এ সকল কোমল মতি মেয়েদের জিবন অনিশ্চিত ভবিৎসতের দিকে ধাবিত হচ্ছে। অপরিণত বয়েসে স্বামী, সংসার ও সন্তানের দায়-দায়িত্ব গ্রহন এদের কাছে যেন স্বপ্নের মতো। তাছাড়া অনেক ক্ষেত্রে বাড়ছে দাম্পত্য কলোহ। এ বিষয়ে কালিগঞ্জ উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা অর্ণ্যা চক্রবর্তী বলেন বাল্য বিবাহের সঠিক পরিসংখ্যান আমার কাছে না থাকলেও তথ্যদাতাদের থেকে খবর পেয়ে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে আমরা যথাযথ ভ্থমিকা রেখেছি। ২০২১ সালে উপজেলায় ১৬ টি বাল্য বিবাহ বন্ধ করা হয়েছে। কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার খন্দকার মোঃ রবিউল ইসলাম বলেন ২০১৪ সালে স্বীকৃতি প্রাপ্ত বাল্য বিবাহ মুক্ত উপজেলা হিসাবে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে বর- কনে পক্ষের মুচালেকা গ্রহন সহ ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে আর্থিক জরিমানা আদায় করা হচ্ছে। তিনি বলেন করোনা কালীন সময় থেকে এ উপজেলায় বাল্য বিবাহ বেড়েছে। কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও মানবাধিকার কর্মী সুকুমার দাশ বাচ্চু বলেন- বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে প্রথম প্রয়োজন জনসচেতনতা। উপজেলা প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, ম্যারেজ রেজিষ্টার, গনমাধ্যমকর্মী, শিক্ষক ও সর্বপরি অভিভাবকমন্ডলীর স্বদিচ্ছা থাকতে হবে। তবে আমার জানামতে কিছু সংখ্যক অসাধু ম্যারেজ রেজিষ্টারের কারণেই এ উপজেলায় বাল্যবিবাহ বেশি হয়ে থাকে।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্ট শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর :

সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি:

এম এ কাশেম ( এম এ- ক্রিমিনোলজি).....01748159372

alternatetext

সম্পাদক ও প্রকাশক:

মো: তুহিন হোসেন (বি.এ অনার্স,এম.এ)...01729416527

সম্পাদক ও প্রকাশক:

সিনিয়র নির্বাহী সম্পাদক :

© All rights reserved © 2020-2025
প্রযুক্তি সহায়তায়: csoftbd