আশাশুনি প্রতিনিধিঃ আশাশুনি উপজেলার আনুলিয়া ইউনিয়নের বিছট ও প্রতাপনগর ইউনিয়নের রুইয়ার বিলে খোলপেটুয়া নদী ও কপোতাক্ষ নদের গ্রোতের চাপে বেড়ীবাঁধে ভয়াবহ ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। প্লাবনের শঙ্কায় রাত জেগে পার করছে এলাকাবাসী। বাঁধ রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ড রিং বাঁধ ও বালির বস্তা ফেলে কাজ শুরু করেছে।আনুলিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা বিকাশ চন্দ্র সরকার জানান, গত কয়েক দিন ধরে খোলপেটুয়া নদীর অব্যাহত ভাঙনে বিছট গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মোক্তার হোসেনের বাড়ি সংলগ্ন বেড়িবাঁধে ভয়াাবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। সোমবার (১০ অক্টোবর) দুপুরের জোয়ারে প্রায় ১৫০ ফুট বেড়িবাঁধ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। পরিস্থিতি বিবেচনা করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে বালির বস্তা দিয়ে রিং বাঁধ নির্মাণ করে আপাতত ঝুঁকি এড়ানো হয়েছে। অন্যদিকে প্রতাপনগরের রুইয়ারবিল গ্রামের নওয়াব আলী সরদারের মৎস্য ঘের সংলগ্ন এলাকায় কপোতাক্ষ নদের পানির তোড়ে বেড়িবাঁধে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। প্রায় ২০০ ফুট বেড়িবাঁধ ইতিমধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। দ্রুত বাঁধ রক্ষায় এগিয়ে না এলে আবারো ভয়াবহ পরিনতি ঘনিয়ে আসার শঙ্কা বিরাজ করছে।এব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসও আলমগীর হোসেন সাংবাদিকদের জানান, বিছট গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধের পাশ দিয়ে রিং বাঁধ নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। সোমবার রাত দু’টা পর্যন্ত ঠিকাদার জাকির হোসেন ও এসও আলমগীর নিজে উপস্থিত থেকে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় রিং বাঁধ দিয়ে এলাকা ঝুঁকিমুক্ত রাখা হয়েছে। রুইয়ারবিলে ভাঙন এলাকায় গতবছর ঠিকাদার নিয়োগ দেয়া হলেও তিনি কাজ না করায় সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় নতুন ঠিকাদার নিয়োগ দিয়ে সেখানে বালির বস্তা দিয়ে ডাম্পিংয়ের কাজ শুরু করা হয়েছে। এছাড়া কাকবাসিয়া খেয়াঘাট থেকে চেউটিয়া বেড়ীবাঁধের প্রায় ২২০ মিটার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাঁধের কাজের জন্য বরাদ্দ হয়েছে। দ্রæত কাজ শুরু হবে বলে তিনি জানান।আনুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল কুদ্দুস ও প্রতাপনগর ইউপি চেয়ারম্যান হাজী আবু দাউদ ঢালী জানান, ঠিকাদারদের গাফিলতির কারণে আমরা প্রতিনিয়ত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। টেঁকসই বাঁধ নির্মাণ করে দক্ষিণাঞ্চলের দুর্ভোগ কমাতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।
Leave a Reply