ন্যাশনাল ডেস্ক: ফের অনিবন্ধিত হাসপাতাল ও ক্লিনিক বন্ধে স্বাস্থ্য অধিদফতর মাঠে নামছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির। রোববার স্বাস্থ্য অধিদফতরের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান। আগামীকাল সোমবার থেকে এক সপ্তাহ ফের এই অভিযান চালানো হবে। তিন মাসে যারা নিবন্ধন পায়নি এমন হাসপাতালও তাদের কার্যক্রম চালাতে পারবে না। এছাড়া অনিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানে নিবন্ধিত কোনো চিকিৎসক যদি কাজ করেন তাদের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ডা. আহমেদুল কবির বলেন, আমরা তিন মাস সময় দিয়েছি। এর মধ্যে যারা নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেনি বা যারা আবেদন করেও নিবন্ধন পায়নি, তারা হাসপাতাল ও ক্লিনিক খোলা রাখতে পারবে না। সময় দেয়ার পরও কিছু প্রতিষ্ঠান লাইসেন্স করছে না। বারবার সতর্ক করার পরও কিছু প্রতিষ্ঠান এখনো প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংশোধন না করার ফলে আবেদন পেন্ডিং অবস্থায় আছে।
তিনি বলেন, পরবর্তীকালে অভিযান হবে যারা নিবন্ধিত হয়েছে তাদের কার্যক্রমের মান কেমন তা নিয়ে। এরপর নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানকে তিনটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হবে। তা আমাদের ওয়েবসাইটে দেয়া হবে। যাতে মানুষ জানতে পারে কোন হাসপাতাল কোন মানের।
তিনি বলেন, গত ২৬ মে অবৈধ হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ব্লাড ব্যাংকের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করি আমরা। ওই সময়ে ১ হাজার ৬৪১টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছে। ব্যবস্থা নেওয়ার ফলে নিবন্ধন পেয়েছে এক হাজার ৪৮৯ টি। এ ছাড়া নবায়ন করেছে ২ হাজার ৯৩০ টি। এতে সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে ২৫ কোটি ১৮ লাখ ৫২ হাজার ৮৬৭ টাকা।
আহমেদুল কবীর বলেন, দুঃখজনক ব্যাপার হলো, দীর্ঘ তিন মাস সময় দেওয়া হলেও এখনো প্রায় চার হাজার প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন করেনি। এর মধ্যে শর্তপূরণ না করায় নিবন্ধনের অপেক্ষায় ১ হাজার ৯৪৬টি এবং নতুন করে নিবন্ধন পেতে আবেদন করেছে দুই হাজার প্রতিষ্ঠান। তাই এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তিন মাস পর আবারও মাঠে নামতে যাচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এই তিন মাসে যারা নিবন্ধন পায়নি, এমন হাসপাতালও স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম চালাতে পারবে না।
তিন মাস সময় দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা তিন মাস সময় দিয়েছি। এই সুযোগ যারা নেয়নি এবং এর মধ্যে যারা নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেনি কিংবা যারা আবেদন করেও নিবন্ধন পায়নি, তারা হাসপাতাল কিংবা ক্লিনিক খোলা রাখতে পারবে না। যারা নিবন্ধন পায়নি তাদের কার্যক্রম এখনো ত্রুটিপূর্ণ।
Leave a Reply