মোঃ ফরিদ উদ্দিন শ্যামনগর প্রতিনিধি: “শেখ হাসিনার বাংলাদেশ ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ “এই শ্লোগানকে সামনে রেখে শ্যামনগর উপজেলায় বোরো মৌসুমে বাম্পার ফলন হয়েছে।
শতকরা ৭০% ভর্তুকিতে কৃষকদের মাঝে শ্যামনগর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ২০২১-২২ মৌসুমে সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রলল্পের মাধ্যমে ধান চাষ করে কৃষকরা সফল হয়েছেন। বোরো মৌসুমে শ্যামনগর উপজেলার সোনালী ধানে ভরে উঠেছে মাঠ কৃষকের মুখে হাসি ।বাতাসে দোলা খাচ্ছে মাঠের পর মাঠ পাকা আধা পাকা ধান। গ্রামের কৃষকরা আনন্দে বিমোহিত সোনালী ধান কাটছে কৃষক কৃষাণী সরকারের তরফ থেকে শ্যামনগর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তাদের সহযোগিতা কৃষকদের নিয়ে মাঠ দিবস বালাইনাশকের ব্যাবহার ইত্যাদি কর্মসূচির মাধ্যমে আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে সহযোগিতা এবার লক্ষ্যমাত্রা থেকে বেশি ধান উৎপাদন হয়েছে বলেন কৃষি কর্মকর্তা জনাব জামাল হোসেন তিনি জানান লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৯হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ২২হাজার হেক্টর জমিতে ধানের চাষ হয়েছে। শ্যামনগর উপজেলায় কৃষকদের মাঝে সর্বমোট ৪টি কম্বাইন্ড হারভেস্টার ও ২টি রিপার মেশিন ৮টি পাওয়ার ফ্রেসার মেশিন বিতরণ করা হয়েছে।
শ্যামনগর উপজেলার কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. জামাল উদ্দিন বলেন, কম্বাইন্ড হারভেস্টার যন্ত্রের মাধ্যমে কৃষক একই সাথে ধান কর্তন, মাড়াই, ঝাড়াই ও বস্তা ভর্তি করতে পারবেন। ফলে কৃষকের উৎপাদন খরচ অনেকাংশে কমে যাবে এবং কৃষকের আয় বাড়বে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
শ্যামনগর উপজেলায় কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে কীটনাশক ব্যবসায়ীদের নকল ও নিম্নমানের দেয়া ওষুধের কারণে কৃষকদের খরচের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে কিছু এলাকায় কৃষকদের জমির ধানক্ষেত নষ্ট
হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় অনেক জায়গায় ধান পাকার আগেই সাদা শীষ বাহির হচ্ছে একাধিক কোম্পানির ওষুধ ব্যবহার করেও কোন ফল পাওয়া যাচ্ছে না। সরকার যদি আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে কৃষক দের সহযোগিতা করেন এবং নোনা পানি তোলা বন্ধ করে দেয় শ্যামনগর উপজেলায় সোনার ফসলে ভরে যাবে কৃষক এবং কৃষি কর্মকর্তারা মনে করেন।
Leave a Reply