আব্দুল কাদের, নিজস্ব প্রতিনিধি: কালিগঞ্জ উপজেলার হিজলা চন্ডিপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক যৌতুক লোভী আব্দুস সবুর কে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। মামলা ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায় ২০০১ সালের ১২ অক্টোবরে উপজেলার গণপতি গ্রামের শেখ রেজাউল ইসলামের কন্যা রওশন আরা এর সাথে দেবহাটা উপজেলার হাদীপুর গ্রামের শেখ অজিহার রহমানের পুত্র আব্দুস সবুরের সাথে বিবাহ হয়। বিবাহের সময় আব্দুস সবুরের দাবীকৃত মটরসাইকেল, টেলিভিশন, ফ্রিজ, স্বর্ণের আংটি ও স্বর্ণের চেইন এবং নগদ অর্থ প্রায় ৩লাখ ৫০ হাজার টাকা যৌতুক হিসাবে প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে আব্দুস সবুরের ও রওশন আরার দাম্পত্য জীবনে রাজিন আহমেদ (১৩) ১টি পুত্র সন্তান জন্মগ্রহন করে। তার পর হইতে যৌতুক লোভী স্কুল শিক্ষক আব্দুস সবুর আবারো ২ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবী করে। রওশন আরার পিতা অস্বচ্ছল হওয়ায় যৌতুকের টাকা দিতে না পারায় বিভিন্ন সময় মারপিট ও খুন জখমের হুমকি দিয়ে আসিতেছিল। এক পর্যায়ে স্কুল শিক্ষক আব্দুস সবুর চলতি বছরের জানুয়ারীর ২ তারিখে স্ত্রীকে বেধড়ক মারপিট করিলে তাকে কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। ভুক্তভোগী রওশন আরা কালিগঞ্জ থানায় ১৪/০১/২০২২ তারিখে স্কুল শিক্ষক আব্দুস সবুরের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করে। মামলা থেকে রেহায় পেতে আব্দুস সবুর উচ্চ আদালতে উপস্থিত হয়ে অগ্রিম ৬ সপ্তাহের জামিন নিয়ে আসে। ০৬/০৪/২০২২ তারিখে সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে বিজ্ঞ আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করে। এছাড়াও স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন নারী কেলেঙ্কারী ও মেয়েদের বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ২য় বিবাহ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
Leave a Reply