শিবপুর প্রতিনিধি: উনিশ এবং বিশ শতকের যতগুলো বাঙালি কবি তাদের স্ব-স্ব প্রতিভার মাধ্যমে মুসলিম সমাজকে জাগ্রত করেছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম ওয়াজেদ আলী। এই সময়টি ছিল বাঙালি মুসলমানদের যাগ্রতকাল। ওয়াজেদ আলীর ছিলেন সমাজ ও দেশের মঙ্গল কামনায় মুক্তি ও চিন্তাশীল মানের প্রবণতা মানুষ। ওয়াজেদ আলী ১৮৯৬ সালে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁশদা গ্রামে সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন । তার পিতার নাম মুন্সী মোহাম্মদ ইব্রাহিম এবং মাতার নাম শামসুন নেছা। রাজেন্দ্র নাম স্কুলের পড়া শেষ করে পার্শ্ববর্তী স্কুল থেকে কৃতিত্বের সাথে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন তিনি। পরবর্তীতে কলকাতায় বঙ্গবাসী কলেজ থেকে পড়াশোনা শেষ করেন রাজনীতি, অর্থনীতি, শিক্ষা ,ধর্ম, ভাষা সাহিত্য প্রবন্ধ রচনা করেন। স্বদেশ ও সমাজ বিশ্ব নিহতের আন্তরিক ছিল তাঁর রচনার মূল চালিকাশক্তি। জীবনের শেষ ২০ বছর তিনি তার নিজ গ্রাম বাঁশদহায়ে সময় কাটান। তার জীবন দৃষ্টান্ত মূল নিয়ামক ছিল সামাজিক কল্যাণ বোর্ড তিনি আধুনিক শিক্ষার অগ্রগতি হিসেবে কাজ করেন। তিনি যুক্তি ও বুদ্ধি নির্বিচার প্রবণতা চিন্তার ক্ষেত্রে গতিশীলতা এনে দেয়। সাহিত্য একাডেমীর প্রয়োজনে সাহিত্য সাহিত্যিক ওয়াজেদ আলী ও আজিজুর নেছা স্মৃতি আলোচনা করতে গিয়ে প্রধান অথিতি সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ আসাদুজ্জামান বাবু বলেন মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী ও আজিজুর নেছা শুধুই এদেশের বউ নয়, তারা সারা বিশ্বের গর্ব। এবং অহংকার, গুণীজনের কদর না করলেও গুণীজন জন্মায় না। তিনি আরো বলেন স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম স্বাস্থ্য সচিব রুহুল কুদ্দুসের জন্মই এই বাঁশদহা ইউনিয়নে। সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে সদর উপজেলা পরিষদ আয়োজন করতে হবে আগামীর মোঃ ওয়াজেদ আলীর স্মরণসভা।
বিশেষ অতিথি ভারতের বিখ্যাত চিত্রকর, কবি,সাহিত্যিক শ্যামল সানা বলেন সেই সময়ের একজন অসম্প্রদায়িক ব্যক্তি ছিলেন সূর্যের আলো নয় তিনি সাহিত্যে মোঃ ওয়াজেদ আলীর। বিচরণ ছড়িয়ে দিয়েছেন সারা বাংলাদেশে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহি অফিসার ফাতেমা-তুজ-জোহরা বলেন ছাত্র-ছাত্রীদের সাহিত্য চর্চা করতে হবে। সমাজের নতুন প্রজন্মের ছাত্র-ছাত্রীরা লেখাপড়া থেকে অনেক দূরে সরে গেছে। আমি সাহিত্যিক ওয়াজেদ আলীর বাসভবনে দাঁড়িয়ে কথা বলতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। মনের খোরাক সাহিত্যিক ওয়াজেদ আলীর প্রবন্ধ সমলতা। তিনি আরো বলেন স্বাধীনতার মাসে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশকে এগিয়ে যেতে নিয়ে যেতে হবে। বঙ্গবন্ধুর ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ উপহার দিতে হবে। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি অহিদ হাসান,এ সময় বিভিন্ন স্কুল কলেজ মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক ,সহকারী শিক্ষক এবং ছাত্র-ছাত্রীরা উপস্থিত ছিলেন বাঁশদা ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার আহসান উদ্দিন এবং এলাকার বীর মুক্তিযুদ্ধাগন। উপস্থিত থেকে সাহিত্যিক ওয়াজেদ আলীর জীবনের উপর কুইজ প্রতিযোগিতা অংশ গ্রহন করে প্রথম দ্বিতীয় তৃতীয় স্থান অধিকারী কে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আব্দুল হামিদ। সমস্ত অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সাতক্ষীরা সাহিত্য একাডেমীর প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক জনাব পল্টু বাসার।
Leave a Reply