1. nokhatronews24@gmail.com : ajkarsatkhiradarpan darpan : ajkarsatkhiradarpan darpan
  2. install@wpdevelop.org : sk ferdous :
সুন্দরবনে বাড়ছে সুপেয় পানির সংকট, প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীর গতি - আজকের সাতক্ষীরা দর্পণ
মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:২৯ পূর্বাহ্ন
১৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ খবর :
📰মহান বিজয়ের মাস শুরু📰ভালুকা চাঁদপুর পূর্ব পাড়া আহলে হাদিস জামে মসজিদের বিষয় নিয়ে আমার জবানবন্দি📰বেগম জিয়ার সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনায় কালিগঞ্জে প্রার্থনা📰কালিগঞ্জে দিনদুপুরে গৃহবধূ ও যুবক গুলিবিদ্ধ📰দেবহাটায় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া অনুষ্ঠান📰ফিজিশিয়ান স্যাম্পল বিক্রয়ের অভিযোগে ফার্মেসীকে জরিমানা📰সাতক্ষীরায় তারুণ্য নির্ভর নতুন বাংলাদেশ গঠনে এসো দেশ বদলাই’ শীর্ষক আলোচনা📰সাতক্ষীরা আদালতে নতুন ১৩ জন আইন কর্মকর্তা নিয়োগ📰সাতক্ষীরায় নতুন এসপি মোঃ আরেফিন জুয়েল’র যোগদান📰বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় সাতক্ষীরায় দোয়া অনুষ্ঠান

সুন্দরবনে বাড়ছে সুপেয় পানির সংকট, প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীর গতি

প্রতিবেদকের নাম :
  • হালনাগাদের সময় : শনিবার, ১২ মার্চ, ২০২২
  • ৮৩ সংবাদটি পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিনিধি: সুন্দরবনে পানি সংকট দেখা দিয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সুন্দরবন সংলগ্ন অঞ্চলে বাড়ছে খাবার পানির তীব্র সংকট। সুপেয় পানির অভাবে মানবেতর জীবনযাপন করছেন সাধারণ মানুষসহ প্রাণীকূল। একই সঙ্গের প্রাকৃতিকভাবে গড়ে ওঠা মিঠা পানির জলাধারগুলো শুকিয়ে যাওয়ায় বনের প্রাণীদেরও পানির সংকট দেখা দিয়েছে। সরকার নানা উদ্যোগের কথা বললেও বাস্তবে টাকার অভাবে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন চলছে খুবই ধীর গতিতে। এমনই এক পরিস্থিতি প্রতি বছরে ১৪ ফেব্রুয়ারি দেশে পালিত হয় সুন্দরবন দিবস। সূত্রে জানা যায় সুন্দরবনের পানি সংকট কাটাতে ৮৪টি পুকুর খনন ও পুনঃখনন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। সুন্দরবনে রয়েল বেঙ্গল টাইগার, হরিণসহ ৩৭৫ প্রজাতির বন্যপ্রাণীর বসবাস। এই প্রকল্পের আওতায় বন্যপ্রাণীর দীর্ঘদিনের সুপেয় মিঠা পানির চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ বনজীবী ও পর্যটকদের খাবার পানির জন্য ৪টি নতুন পুকুর খনন ও ৮০টি পুকুর পুনঃখনন করার কথা। জলবায়ু ট্রাস্প ফান্ডের অর্থায়নে ৪ কোটি ৯৮ লাখ টাকা ব্যয়ে এসব পুকুরের মধ্যে ৭০টিতে নির্মাণ করার কথা পাকা ঘাট। পুরাতন পুকুরগুলো ঝড়-জলোচ্ছ¡াসে ভরাট হয়ে যাওয়ায় বছরের পর বছর ধরে বাঘ-হরিণসহ বন্যপ্রাণী সাধারণত সুপেয় পানি সংকটের মধ্যে থাকে। এই প্রকল্পের পরিচালক ও বন সংরক্ষক (সিএফ) মিহির কুমার জানান, সুন্দরবনে এ প্রকল্প ৩টির কাজ শেষ হলে ইকোট্যুরিজমের উন্নয়ন ও দীর্ঘদিন ধরে বাঘ-হরিণসহ বন্যপ্রাণীর সুপেয় পানি সমস্যার বহুলাংশের সমাধান হবে। অবকাঠামোগত সমস্যা অনেক কমে আসার পাশাপাশি ম্যানগ্রোভ বনের প্রাণপ্রকৃতি নিয়ে ইকোলজিক্যাল মনিটরিং সিস্টেমের মাধ্যমে গবেষণা করে সমস্যা সমাধান করা সহজতর হবে। প্রকল্পটি চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে শেষ হবার কথা থাকলেও শেষ হবে কিনা তা অনিশ্চিত। কারণ এই প্রকল্পের অর্থছাড়ের বিলম্ব হচ্ছে। এখন পর্যন্ত এক চতুর্থতাংশ টাকা ছাড় হয়েছে। এতে বড় জোর ২৫ ভাগ কাজ হতে পারে। এ বিষয়ে মিহির কুমার বলেন, আমাদের ৮০টি পুকুর খনন ও পুনঃখনন কাজের ২৫ ভাগের মতো হয়েছে। এখনও কাজ চলমান। তবে কাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ করতে হলে দ্রুত অর্থছাড় প্রয়োজন। এই বিষয়ে জানতে চাইলে বাপার (বাংলাদেশে পরিবেশ আন্দোলন) সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল বলেন, সুন্দরবন বরাবরই অবহেলার জায়গায়। শুধু সুপেয় পানি নয় সবক্ষেত্রেই এর প্রাণ ও প্রতিবেশ রক্ষায় সরকারের নেওয়া বেশিরভাগ প্রকল্পের অবস্থা এমনই। তিনি বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরেই সুন্দরবন বাঁচানোর আন্দোলন করে আসছি। কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র্রগুলোর জন্য কয়লা যখন নদী দিয়ে আনা হবে তখনও নদীর পানি দূষণের শিকার হবে। সুন্দরবনকে বাঁচাতে হলে আসলে একটি সমন্বিত পরিকল্পনা করা জরুরি। প্রতিটি ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছ্বাসে ক্ষতবিক্ষত হয়ে মায়ের মতো উপকূলের কোটি-কোটি মানুষকে নিরাপদে রাখলেও সুন্দরবন এখন নিজেই ভালো নেই। জলবায়ুর পরিবর্তনে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি, পরিবেশ দূষণ, ম্যানগ্রোভ এই বনের জীববৈচিত্র্য ধ্বংসকারী চোরা শিকারি ও কাঠ পাচারকারীদের কারণে এর অস্তিত্ব এখন সংকটে। বনবিভাগ বলছে, তারা আধুনিক প্রযুকিত নির্ভর স্মার্ট প্যাট্রোলিংসহ সুন্দরবনের প্রাণপ্রকৃতি সুরক্ষায় চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এদিকে ‘ভালোবাসা দিবসে সুন্দরবনকে ভালোবাসি’ স্লোগানে সুন্দরবন দিবস উপলক্ষে সাতক্ষীরায় প্রতিবছর মানববন্ধন হয়। ১৪ই ফেব্রুয়ারি সুন্দরবনকে জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার আহবা ন জানিয়ে আসছে সাতক্ষীরার বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সহ সুশিল সমাজ, সুন্দরবনের টিকে থাকার ওপর দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের বেঁচে থাকা, অর্থনৈতিক অগ্রগতি, সমৃদ্ধি বহুলাংশে নির্ভরশীল। সুন্দরবন উপকূলীয় অঞ্চলের প্রাকৃতিক সুরক্ষাকবচ। তাই যেকোনো মূল্যে আমাদের প্রাকৃতিক এই সুরক্ষা দেয়ালকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। সেই সঙ্গে সুন্দরবনের ক্ষতি হয়, এমন যেকোনো কর্মকান্ড থেকে সরে আসার আহŸানও জানান সেচ্ছাসেবীরা দীর্ঘদিন।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্ট শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর :

সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি:

এম এ কাশেম ( এম এ- ক্রিমিনোলজি).....01748159372

alternatetext

সম্পাদক ও প্রকাশক:

মো: তুহিন হোসেন (বি.এ অনার্স,এম.এ)...01729416527

সম্পাদক ও প্রকাশক:

সিনিয়র নির্বাহী সম্পাদক :

© All rights reserved © 2020-2025
প্রযুক্তি সহায়তায়: csoftbd