শিমুল হোসেন কালিগঞ্জ ব্যুরো চীফ: কালিগঞ্জে অভিনব কায়দায় সাতক্ষীরা এডিসি পরিচয়ে ক্লিনিকে মোবাইলের মাধ্যমে চাঁদবাজির চেষ্টাকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হস্তক্ষেপে রক্ষা পেয়েছে ২টি ক্লিনিক। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় জানা যায় গত ২৩ ফেব্রুয়ারি বুধবার বিকাল ৪.৩০ মিনিটে কালিগঞ্জ থানার জরুরী নং এ ০১৭১০০১১৯৭১ নং থেকে ফোন দিলে এসআই মনির হোসেন রিসিভ করেন।
এ সময় অজ্ঞাত পরিচয়ধারী ব্যক্তি নিজেকে এডিসি সাতক্ষীরা পরিচয় দিয়ে কথা বলে। এক পর্যায়ে এডিসি পরিচয়ধারী ব্যক্তি তার আত্মীয়কে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য কালিগঞ্জের ভালো ক্লিনিকের খবর নিতে থাকেন। ঐ পুলিশ অফিসার প্রথমে স্থানীয় ঝর্ণা ক্লিনিকের সন্ধান প্রদান করেন। তখন কথিত এডিসি তাকে জরুরী ভিত্তিতে ঐ ক্লিনিকে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রকৃত এডিসি মনে করে এসআই মনির হোসেন সাথে সাথে পার্শ্ববর্তী ঝর্ণা ক্লিনিকে গিয়ে মালিককে মুঠো ফোনটি ধরিয়ে দিলে প্রতারক কথিত এডিসি সুকৌশলে ক্লিনিকের বিভিন্ন খোঁজখবর নিয়ে তথায় তাৎক্ষণিক মোবাইল কোর্ট দিয়ে জরিমানার হুমকি প্রদান করে।
এক পর্যায়ে ক্লিনিক মালিকের কাছে ৩০,০০০/- টাকা চাঁদা দাবী করেন। ক্লিনিক মালিক প্রথমে ১০,০০০/- পরবর্তীতে ২০,০০০/- টাকা দেওয়ার কথা ফাইনাল করলে কথিত এডিসি এটি কাউকে না বলার জন্য বলেন। এ সময় প্রতারক তাকে টাকা পাঠানোর জন্য একটি নগদ একাউন্ট নং প্রদান করেন। যাহার নং-০১৬৮২০৬৪১৭৪। পরে একইভাবে কর্তব্যরত পুলিশ অফিসারকে বলেন এই ক্লিনিক ভালো না।
পাশ্ববর্তী আর একটি ক্লিনিকে যাওয়ার জন্য বলেন। তখন ঐ অফিসার লাইফ কেয়ার ক্লিনিকে যেয়ে ক্লিনিকের দায়িত্বরত হাবিবুর রহমানকে একইভাবে ফোন ধরিয়ে দেন। তখন হাবিবুরকে অজ্ঞাত পরিচয়ধারী ব্যক্তি নিজেকে এডিসি আশরাফুল বলে পরিচয় দেয় এবং ক্লিনিকের বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজখবর নেয়। এক পর্যায়ে সেই প্রতারক বলে তাকে ম্যানেজ করতে হবে নতুবা এখুনি ঐ ক্লিনিকে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবো।
এ সময় ক্লিনিক মালিক জাহাঙ্গীর হোসেনের সন্দেহ হলে তিনি বিষয়টি তৎক্ষনিক কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার খন্দকার রবিউল ইসলাম কে অবহিত করেন। বিষয়টি জেনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রতারক ও কথিত এডিসি আশরাফুলের সাথে ০১৭১০০১১৯৭১ নং এ রিং দিয়ে নিজের পরিচয় দিয়ে অজ্ঞাত এডিসির বিস্তারিত পরিচয় জানতে চাইলে প্রতারক তার মোবাইল নং টি বন্ধ করে দেয়।
বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার খন্দকার রবিউল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সম্প্রতি এ ধরণের প্রতারণা বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই যেকোন ব্যক্তির প্রকৃত পরিচয় যাচাই করে সকলকে সতর্কতার সাথে যে কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য এবং আগামীতে সজাগ থাকার জন্য উপজেলাবাসীকে আহবান জানান।
এ জাতীয় প্রতারণার বিরুদ্ধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করা হবে বলে জানান। এ বিষয়ে মোবাইল নং ২টি দিয়ে প্রকৃত প্রতারক কে সনাক্ত করার জন্য থানা পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
Leave a Reply