মো: হাবিবুল্লাহ শহর প্রতিনিধি: খনন করা ড্রেনের মাটির স্তুপ এলাকাজুড়ে। আবার কোথাও কোথাও ইট, বালু, পাথরসহ বিভিন্ন নির্মাণসামগ্রী ও সরঞ্জাম ফেলে রাখা হয়েছে। এতে বিঘ্নিত হচ্ছে পথচারী ও ঘটছে দুর্ঘটনা, ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। সাতক্ষীরা পৌরসভাধীন ১ নং ওয়ার্ডের মুসা মসজিদ সংলগ্ন আজগর কন্ট্রাক্টারের বাড়ির সামনে ৬ ফুট চওড়া রাস্তায় ৩ ফুট চওড়া ঢাকনাবিহীন ড্রেন নির্মাণে এলাকাবাসীর চরম ভোগান্তিতে । এলাকাবাসীর কাজ চলমান অবস্থায় ও জনমানুষের ভোগান্তিতে ফেলে রেখে তারা ড্রেন নির্মান কাজ সমাপ্ত না করে বাজেট নাই বলে চলে যায় । এলাকাবাসী চরম ভোগান্তিতে পড়েছে।
কাটিয়া মাঠপাড়ায় ঈদগাহ্ সংলগ্ন রফিকুলের দোকানের পেছনে ঢাকনা বিহিন ড্রেন নির্মান হচ্ছে, রাস্তাটি ছোট হওয়ায় চলাচলের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এছাড়া যানবাহন চলাচলে ঝুঁকি তো আছেই। ড্রেনটি আলগা অবস্থায় রয়েছে। ৬ ফুট চওড়া রাস্তা থেকে ৩ ফুট চওড়া ড্রেন নির্মাণ করায় পথচারী ও যানবাহন চলাচল করতে পাছে না।
পৌরসভার ১নম্বর ওয়ার্ড এলাকাবাসিরা বলেন, পৌরসভা ড্রেন নির্মাণ করলেও ঢাকনা নির্মাণ করেনি। এতে করে পথচারী ও বাচ্চাদের জন্য মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। শিুশুরা খেলতে গিয়ে ড্রেনে পড়ে যাওয়ার মতো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। পথচারী ও যানবাহন চলাচল করতে পারবে না। ৩ ফুট চওড়া ড্রেনটির উপরের ঢাকনা অতি জুরুরী প্রয়োজন। তিনি আরও জানান, রাতে অনেক লাইট পোষ্টের বাল্ব জলে না, ওয়ার্ডে থাকে অন্ধকার। ওই সময় চলাচল করতে গিয়ে ঢাকনাবিহীন ড্রেনের কারণে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
অসাবধানতাবশত কোনো শিক্ষার্থী ড্রেন পড়ে গেলে বড় ধরণের ক্ষতি হয়ে যাবে। শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে ড্রেনে দ্রুত ঢাকনা নির্মাণের দাবি জানান কাটিয়া এলাকাবাসী।
মুসা মসজিদ এলাকাবাসী অনেকেই বলেন, বিভিন্ন কারণে মানুষ সড়কের পাশ দিয়ে হেঁটে যায়। ড্রেনের ওপরের ঢাকনা না থাকায় পথচারীরা স্বাচ্ছন্দ্যে হাঁটতে পার না। যে কোনো সময় পড়ে আহত হওয়ার আতঙ্ক নিয়ে চলতে হবে। ড্রেনের ঢাকনা খোলা থাকায় খুবই বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে।
অত্র এলাকার মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। বিষয়টি দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ড্রেনটির ঢাকনা /স্লাবের কোন বাজেট নেই।
Leave a Reply