নিজস্ব প্রতিনিধি: লুটপাটের পর পেট্রোল ঢেলে বসত ঘরে আগুন দেয়ার ঘটনায় রিডা প্রাইভেট হাসপাতালের পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন (৩৫)সহ তিনজনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। গত ১৬ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার সাতক্ষীরার বিজ্ঞ দ্রুত বিচার আদালতের বিচারক উক্ত আদেশ দেন। এসময় পরিকল্পিতভাবে সংঘটিত ঐ ঘটনায় জড়িত অপর ১২ জনকে জামিন মুঞ্জুর করেন বিজ্ঞ আদালত।
কারাগারে যাওয়া অপর দুই আসামী যথাক্রমে আছাদুল্লাহ আছাদ আছু (২৪) ও ফয়সাল আমিন খান (৪০)। আব্দুল্লাহ ও আছাদুল্লাহ শ্যামনগর উপজেলা সদরের নকিপুর মাজাট ও ফয়সাল গোমানতলী গ্রামের বাসিন্দা। গত ৬ আগষ্ট বাড়িতে লুটপাটসহ আগুন দেয়ার ঘটনায় শ্যামনগর উপজেলার কাঁচড়াহাটি নন্দিগ্রামের গ্রামের সামছুর রহমান বাদি হয়ে মামলাটি করে। জানা যায় জমি-জমা নিয়ে বিরোধের জেরে উভয় পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন বিরোধ চলছিল। এক পর্যায়ে ৫ আগষ্টের পট পরিবর্তনের সুযোগ নিয়ে স্থানীয় বিএনপির দুই নেতার ইন্ধনে আব্দুল্লাহ লোকজন নিয়ে সামছুর রহমানের কাঁচড়াহাটি নন্দিগ্রামের বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় ব্যাপক লুটপাটের পর পেট্রোল ঢেলে উক্ত বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় দুস্কৃতিকারীরা। পরবর্তীতে খবর পেয়ে ১০ আগষ্ট সেনা সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোকে পুনরায় তাদের বসতঘরে উঠিয়ে দেয়। সামছুর রহমান জানান সেনা সদস্যদের সহায়তায় উদ্ধারের পর আগুন দেয়ায় থানার কার্যক্রম সচল না থাকার দরুন তারা অজ্ঞাতনামীয় ১২/১৪ জনসহ ২১ জনের নাম উল্লেখ করে সাতক্ষীরা আদালতে মামলা করে। পরবর্তীতে বিজ্ঞ আদালত পিবিআইকে মামলা তদন্তের দায়িত্ব দেয়ার পর সংস্থাটি ১৫ জনের সংশ্লিষ্টতা পেয়ে সম্প্রতি চার্জশীট প্রদান করে। সামছুর রহমানের ছোট ভাই আমজাদ মাঝির অভিযোগ বৃহস্পতিবার বিজ্ঞ আদালত অন্যদের জামিন মুঞ্জুর করলেও তিনজনের জামিন বাতিল করে কারাগারে প্রেরণ করে। পরবর্তীতে বাড়িতে খবর পৌছানোর পর থেকে আব্দুল্লাহর শ্যালক আসাদ, তুহিন ও রায়হানসহ আসামী পক্ষের লোকজন নানাভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। এমনকি সেনাবাহিনী ব্যারাকে ফিরে যাওয়ার পর তাদের বাড়িঘর মাটিতে মিশিয়ে দেয়ার হুমকি দিচ্ছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হুমায়ুন কবীর মোল্যা জানান হুমকি দিয়ে থাকলে ভুক্তোভোগীরা থানায় এসে সাধারণ ডায়েরী করতে পারে। তদন্তপুর্বক বিজ্ঞ আদালতের অনুমতি নিয়ে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply