মুজাহিদ সাতক্ষীরা: বিপদে পড়েছেন সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার পারুলিয়া ইউনিয়নের উত্তরপাড়া গ্রামের প্রায় শতাধিক পরিবার। জমিসংক্রান্ত প্রতারণা, ব্যক্তির, সরকারি জমি ও পুকুর দখল, তার অন্যায় ও জুলুমের বিরুদ্ধে কথা বললেই নিরীহ মানুষকে মারধর এসবে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী।
আবদারের বিরুদ্ধে কথা বললেই গ্রামবাসীকে হামলার শিকার হতে হচ্ছে। স্থানীয়ভাবে আবদার রহমান ‘মামলাবাজ’ হিসাবে পরিচিত। সে দেবহাটা উত্তর পারুলিয়া গ্রামের গাজী বাড়ির বসিন্দা। এবং তার যতো কূ-কর্মের সহযোগী ০২ নং পারুলিয়া ইউনিয়নের ০৩ নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার আবুল কাসেম গাজী।
এ ঘটনায় মামলাবাজ আবদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সহকারী পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ দেয়ার প্রস্তুতি নিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসীরা।
বুধবার দুপুরে সরেজমিন উত্তর পারুলিয়া মৃধাপাড়া এলাকায় সাংবাদিকদের উপস্থিতি দেখে ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর নারী-পুরুষরা জড়ো হতে থাকে। তারা নিজেদের জমি প্রতারণা ও মারধর করে গোপন টর্চারসেলে নির্যাতনের বিবরণ প্রতিবেদককে জানান।
এ সময় উত্তর পারুলিয়া গ্রামের মৃত্যু সাবুর আলী গাজীর ছোট ছেলে মুরগী ব্যাবসায়ী হাফেজ তরিকুল ইসলাম (৪০), মুজিবুর রহমানের ছেলে মাহিম আনোয়ার (২৪), মুনছুর আলী গাজীর ছেলে হাফেজ রোকনুজ্জামান (৩৫), ব্যাবসায়ী শিমুল হোসেন (৩০) সহ ২০ জন জানান, আবদার রহমান খুব খারাপ ও মামলাবাজ। সবার সঙ্গে ঝগড়ায় লিপ্ত।
মোঃ মুনছুর আলী গাজী বলেন, পারুলিয়া মৌজার ৫৭৬১ নং ডিপি খতিয়ানে ১৫০৮৬ নং হালে ১২ শতক জমি আমার ক্রয়সূত্রে খরিদ করা। উক্ত জমিতে পাকা স্থাপনা তৈরি করতে গেলে আবদার রহমান সহ তার পৌষ্য সন্ত্রাসী বাহিনী কতৃক হামলার শিকার হতে হয়েছিল। দখল বুঝে নিতে গেলে মারধর করছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আবদার রহমান বলেন, আমি বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষ আপনারা আমার মান ইজ্জত নিয়ে টানাহেঁচড়া করবেন না।
সংবাদে উল্লেখিত অভিযুক্ত আবুল কাসেম গাজী এপ্রতিবেদক কে সংবাদ টি প্রকাশ না করার জন্য বলেন।
০২ নং পারুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক বাবু বলেন, আবদার রহমানের বিরুদ্ধে জমিসংক্রান্তসহ কয়েকটি অভিযোগ আমি শুনেছি। উভয় পক্ষকে পরিষদে ডেকে বিষয় টা দেখবো।
দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মো. সেখ মাহমুদ হোসেনের নাম্বারে ফোন দিলে আলাপ কলটি গ্রহণ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
সহকারী পুলিশ সুপার (দেবহাটা সার্কেল) এসএম জামিল আহমেদ বলেন, ঘটনাটি কেউ আমাদের জানায়নি। ভুক্তভোগীরা লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অপরাধীকে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
Leave a Reply