1. nokhatronews24@gmail.com : ajkarsatkhiradarpan darpan : ajkarsatkhiradarpan darpan
  2. install@wpdevelop.org : sk ferdous :
সামেক হাসপাতালে ডায়ালাইসিস সেবা অব্যাহত রাখতে তৎপর স্বাস্থ্যমন্ত্রী - আজকের সাতক্ষীরা দর্পণ
মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:০১ অপরাহ্ন
১৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ খবর :
📰মহান বিজয়ের মাস শুরু📰ভালুকা চাঁদপুর পূর্ব পাড়া আহলে হাদিস জামে মসজিদের বিষয় নিয়ে আমার জবানবন্দি📰বেগম জিয়ার সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনায় কালিগঞ্জে প্রার্থনা📰কালিগঞ্জে দিনদুপুরে গৃহবধূ ও যুবক গুলিবিদ্ধ📰দেবহাটায় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া অনুষ্ঠান📰ফিজিশিয়ান স্যাম্পল বিক্রয়ের অভিযোগে ফার্মেসীকে জরিমানা📰সাতক্ষীরায় তারুণ্য নির্ভর নতুন বাংলাদেশ গঠনে এসো দেশ বদলাই’ শীর্ষক আলোচনা📰সাতক্ষীরা আদালতে নতুন ১৩ জন আইন কর্মকর্তা নিয়োগ📰সাতক্ষীরায় নতুন এসপি মোঃ আরেফিন জুয়েল’র যোগদান📰বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় সাতক্ষীরায় দোয়া অনুষ্ঠান

সামেক হাসপাতালে ডায়ালাইসিস সেবা অব্যাহত রাখতে তৎপর স্বাস্থ্যমন্ত্রী

আজকের সাতক্ষীরা দর্পণ ডেস্ক:
  • হালনাগাদের সময় : বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ, ২০২৪
  • ৭৪ সংবাদটি পড়া হয়েছে

আজকের সাতক্ষীরা দর্পণ ডেস্ক:  সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডায়ালাসিস মেশিন নষ্ট হওয়ায় মৃত্যু ঝুঁকিতে শতাধিক কিডনি রোগী। বুধবার থেকে এ হাসপাতালের পূর্বের মত ডায়ালাইসিস সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে কিডনি রোগীরা। নামমাত্র ২০০ টাকা ফি দিয়ে গরীব দুস্থ সাধারণ মানুষ ডায়ালাইসিস সেবা পেয়ে আসছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করে কিডনি রোগীদের ডায়ালাসিস সেবা একদিনের বেশি দেওয়া সম্ভব হবে না এমন নির্দেশনার মুখে চরম স্বাস্থ্য ঝুকির মধ্যে পড়েছেন শতাধিক রোগী। এ সংক্রান্ত একটি খবর বুধবার বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশ হলে সকাল থেকে সাতক্ষীরা-৩ আসনের সংসদ সদস্য, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম, সাতক্ষীরা সদর আসনের সংসদ সদস্য আশরাফুজ্জামান আশু, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য লায়লা পারভীন সেঁজুতিসহ সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষ সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তির পক্ষ থেকে সমস্যা সমাধানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করেন। সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য লায়লা পারভীন সেঁজুতি স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেনের সাথে কথা বলেন এবং দ্রুত সমস্যা সমাধানে মাননীয় মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এব্যাপারে সংসদ সদস্য লায়লা পারভীন সেঁজুতি মাননীয় মন্ত্রীকে একটি ডিও লেটারও প্রদান করেন। মাননীয় মন্ত্রী নিজেই এব্যাপারে খোজ খবর নেন এবং দ্রুত সমস্যা সমাধানের বিষয়ে আশ্বস্ত করেন।
এদিকে স্থানীয় জহুরুল কবীর জানান, “আমার স্ত্রীকে সপ্তাহে দুই দিন ডায়ালাইসিস করাতে হয়। জমিজমা সহায়-সম্পদ বিক্রি করে কিডনি আক্রান্ত স্ত্রীকে চিকিৎসা করিয়ে আসছি। ক্লিনিকে নিয়ে চিকিৎসা কারনোর মতো সামর্থ আমার নেই। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সপ্তাহে তিন সেশনে ১২ ঘন্টা করে নেওয়া কথা থাকলেও মেশিন স্বল্পতা ও রোগীর চাপের কারণে দুটি সেশনের ৪ ঘন্টা করে সপ্তাহে ৮ ঘণ্টা করে নেওয়া হয়। তারপরও দেওয়া হয় ৫ থেকে ৬ ঘন্টা। এমতাবস্থায় মঙ্গলবার সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ (সামেক) হাসপাতাল থেকে মোবাইল ফোনে জানানো হয়েছে বুধবার থেকে সপ্তাহে একবার কিডনি আক্রান্ত রোগিদের ডায়ালাসিস করানো হবে। সপ্তাহে ৪ ঘন্টা নেওয়া হলে অধিকাংশ রোগী টিকবে না। খবরটি শুনে তিনি ডুকরে কেঁদেছেন। এ যেন জীবন মৃত্যুর খবর। স্ত্রীকে বাঁচানোর জন্য তিনি জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের পদস্থ কর্মকর্তাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।
ব্রোজেন, মহিউদ্দিন, জয়নালসহ কয়েকজন রোগী বলেন, শতরোগীর জীবনকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়ে বন্ধপ্রায় সামেক হাসপাতালের কিডনি ডায়ালাইসিস ইউনিট। মঙ্গলবার ডায়ালাইসিস ইউনিট ইনচার্জ নমিতা রানী রোগীদের ফোন করে জানিয়ে দিয়েছেন বুধবার থেকে সপ্তাহে দু’টির পরিবর্তে একটি ডায়ালাইসিস করানো হবে। এব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি জানান, ১৯টি মেশিনের মধ্যে মাত্র দু’টি জোড়াতালি দিয়ে চলছে। তাই সপ্তাহে আর দুই অথবা তিনবার ডায়ালাইসিস দেওয়া হবে না। রাবেয়া, আসমাসহ কয়েকজন রোগী অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘ দেড় থেকে দুই বছর যাবৎ মেশিন মেরামতের কথা বলে আসলেও তিনি ‘চেষ্টা করছি’ বলে পরিচালকের রুম থেকে বের করে দেন।
সদরের ফিংড়ির একজন রোগী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, আমরা গত জানুয়ারি মাসে যখন মাত্র চারটা মেশিন চালু ছিলো তখন আমরা ক’জন রোগী নিয়ে পরিচালকের নিকট গেলে তিনি আমাদের ধমক দিয়ে বলেন, এখানে ঝামেলা করেন না, বাইরে যান। এরপর বের করে দেন। তিনি আরও বলেন, খুলনায় আবু নাসের হাসপাতালে যান। এর কিছুদিন যেতে না যেতেই আবার নরমল স্যালাইন শেষ হয়ে যায়। বর্তমানে আমাদের সপ্তাহে একটি করে ডায়ালাইজার ও একটি করে ব্লাডলাইন রিফিলকৃত (ওয়াশকৃত) নিতে হয়। এছাড়া রক্তের ইনজেকশন ইপোটিন (ইথ্রোপোয়েটিন), বি-ক্যান ফ্লুইট, সিরিঞ্জ ইত্যাদি কিনতে হয়। এরই মধ্যে গতকাল ডায়ালাইসিস ইউনিট ইনচার্জ নমিতা রানী ফোন করে জানান, বুধবার থেকে সপ্তাহে একটি করে ডায়ালাইসিস দেওয়া হবে। এখন মৃত্যুছাড়া আমাদের আর কিছু করার নেই। সাংবাদিকের কাছে কাঁদতে কাঁদতে শ্যামনগর বংশিপুরের আজিজ মোড়লের পুত্র জয়নাল (৩০) জানান, ‘আমার মা গ্রামে গ্রামে ও হাট-বাজারে ভিক্ষে করে আমার ডায়ালাইসিস খরচ চালায়। এখন যদি এখানে ডায়ালাইসিস বন্ধ করে দেয় তাহলে যেকোন সময় আমার মৃত্যু হবে। কারণ প্রাইভেটে ডায়ালাইসিস করানোর সামর্থ আমার নেই।’
এব্যাপারে জানতে চাইলে সাতক্ষীরা মেডিক্যাকল হাসপাতালের পরিচালক ডাক্তার শীতল চৌধুরী জানান, অদক্ষ ব্যক্তি দ্বারা মেশিন পরিচালনা করায় সব মেশিন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আমাদের মোট ডায়ালাইসিস মেশিন ১৯টি যার মধ্যে বর্তমানে তিনটি সচল আছে। নষ্ট মেশিনগুলো মেরামত প্রক্রিয়া কোন পর্যায়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, ‘এটাতো দীর্ঘ প্রসেসের ব্যপার মন্ত্রণালয়ে জানানো হয়েছে। মেরামতের জন্য কয়েক দফায় টেকনিশিয়ানও এসেছে কিন্তু খুচরা যন্ত্রাংশ না পাওয়া যাওয়ায় ঠিক করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে দ্রুত মেরামত করার চেষ্টা করছি।’ উল্লেখ্য, প্রলংকারী ঘুর্ণিঝড় আয়লার পর ২০১০ সালের ২৩ জুলাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করে শ্যামনগরে অনুষ্ঠিত এক জনসভায় সাতক্ষীরার মেডিকেল কলেজ স্থাপনের ঘোষণা দেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী পরের বছর ২০১১ সালে তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. আফম রুহুল হক এমপির প্রচেষ্ঠায় সাতক্ষীরায় ভাড়া বাড়িতে মেডিকেল কলেজের কার্যক্রম শুরু করা হয়। স্বল্প সময়ের ব্যবধানে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যাপক ভূমিকা রাখতে শুরু করে। বিগত করোনা মহামারীর সময় ঢাকা, চট্টগ্রাম, বরিশাল, খুলনাসহ দেশের বিভিন্নস্থান থেকে বহু মানুষ এখানে চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করে। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নানা অব্যবস্থাপনা ও অবহেলার কারনে সামেক হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা মান প্রশ্নের সম্মুখিন হয়। যারই ধারাবাহিকতায় কিডনি রোগীদের জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ ডায়ালাসিস মেশিনগুলো নষ্ট হয়ে যায়।
এব্যাপারে জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য লায়লা পারভীন সেঁজুতি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশের চিকিৎসা সেবার মনোন্নয়নে যে উদ্যোগ নিয়েছেন তার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। এই হাসপাতাল থেকে সাধারণ মানুষ যাতে সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা পেতে পারে সেব্যাপারে সবধরনের উদ্যোগ নেওয়া হবে। সাম্প্রতিক সময়ে ডায়ালেসিস মেশিনগুলো নষ্ট হওয়াসহ যেসব সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে সেগুলো আমরা সাতক্ষীরার ৫ জন সংসদ সদস্যসহ জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে সম্মিলিতভাবে সমাধান করবো।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্ট শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর :

সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি:

এম এ কাশেম ( এম এ- ক্রিমিনোলজি).....01748159372

alternatetext

সম্পাদক ও প্রকাশক:

মো: তুহিন হোসেন (বি.এ অনার্স,এম.এ)...01729416527

সম্পাদক ও প্রকাশক:

সিনিয়র নির্বাহী সম্পাদক :

© All rights reserved © 2020-2025
প্রযুক্তি সহায়তায়: csoftbd