1. nokhatronews24@gmail.com : ajkarsatkhiradarpan darpan : ajkarsatkhiradarpan darpan
  2. install@wpdevelop.org : sk ferdous :
সাতক্ষীরার অধিকাংশ ইটভাটা গড়ে উঠেছে জনবসতি এলাকার ফসলি জমিতে: পরিবেশ অধিদপ্তরের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ - আজকের সাতক্ষীরা দর্পণ
মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:১৯ অপরাহ্ন
১৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ খবর :
📰মহান বিজয়ের মাস শুরু📰ভালুকা চাঁদপুর পূর্ব পাড়া আহলে হাদিস জামে মসজিদের বিষয় নিয়ে আমার জবানবন্দি📰বেগম জিয়ার সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনায় কালিগঞ্জে প্রার্থনা📰কালিগঞ্জে দিনদুপুরে গৃহবধূ ও যুবক গুলিবিদ্ধ📰দেবহাটায় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া অনুষ্ঠান📰ফিজিশিয়ান স্যাম্পল বিক্রয়ের অভিযোগে ফার্মেসীকে জরিমানা📰সাতক্ষীরায় তারুণ্য নির্ভর নতুন বাংলাদেশ গঠনে এসো দেশ বদলাই’ শীর্ষক আলোচনা📰সাতক্ষীরা আদালতে নতুন ১৩ জন আইন কর্মকর্তা নিয়োগ📰সাতক্ষীরায় নতুন এসপি মোঃ আরেফিন জুয়েল’র যোগদান📰বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় সাতক্ষীরায় দোয়া অনুষ্ঠান

সাতক্ষীরার অধিকাংশ ইটভাটা গড়ে উঠেছে জনবসতি এলাকার ফসলি জমিতে: পরিবেশ অধিদপ্তরের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ

প্রতিবেদকের নাম :
  • হালনাগাদের সময় : শুক্রবার, ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
  • ৫৯ সংবাদটি পড়া হয়েছে

মোঃ তুহিন হোসেন/ মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন অরকো: দেশের দক্ষিণ পশ্চিম কোনের উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরায় জন ঘনবসতি পূর্ণ ফসলি জমিতে বেড়েই চলেছে ইটভাটা। ক্রমেই নষ্ট হচ্ছে তিন ফসলি জমি। জেলা সদরসহ সাতটি উপজেলায় অন্তত ২০০টি ইটভাটা রয়েছে, যার ৭০ শতাংশই স্থাপিত হয়েছে জনবসতি পূর্ণ ফসলি জমিতে। আবার এসব অবৈধভাবে গড়ে তোলা ইটভাটার অধিকাংশের পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রসহ বৈধ কাগজ পত্র না থাকা শর্তেও কিছু অসাধু কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে বহাল তবিয়তে ইটভাটা চালিয়ে আসছে। মৃত্তিকা ও পরিবেশ বিষেশজ্ঞদের দাবি- ফসলি জমিতে যে হারে ইটভাটা স্থাপন হচ্ছে তাতে পরিবেশ যেমন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে, তেমনি মাটির উর্বরতা হারিয়ে ফসলহানির শঙ্কাও দেখা দিয়েছে। ফসলি জমি রক্ষায় ব্যবস্থা না নিলে আগামীতে পরিবেশ বিপর্যয় ঘটবে বলেও মনে করেন তারা।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কয়েকটি ইটভাটা ঘুরে দেখা গেছে, বেশির ভাগ ইটভাটা ফসলি জমি ও জনবসতি এলাকায় স্থাপিত হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলার দহকুলা এলাকায় সানি ব্রিক্স, বেতলা গ্রামে এসবি ব্রিক্স,রামচন্দ্র পুর গ্রামের বিআরবি ব্রিকস, ছয়ঘরিয়া গ্রামে ঠিকানা ব্রিক্স, স্টার ব্রিক্স ও সনি ব্রিক্স রয়েছে। এসব ভাটার একেকটি ৩০-৩৫ বিঘা জমি দখল করে রেখেছে। ভাটার চারিদিকে রয়েছে বোরো ধান, সরিষা, আম, কলাসহ বিভিন্ন ফলের বাগান। কথা হয় দহকুলা গ্রামের সানি ইটভাটার স্বত্বাধিকারী আব্দুল খালেকের সঙ্গে। ফসলি জমি ও জনবসতি এলাকায় ইটভাটা কীভাবে করলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ২৫-৩০ বছর আগে ইটভাটা স্থাপন করা হয়েছে। তখন কোনো আপত্তি বা সমস্যা হয়নি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দেখে শুনেই অনুমোদন দিয়েছে। তাছাড়া নির্মাণকাজের জন্য ইট তৈরির প্রয়োজনও তো রয়েছে। তাহলে ইটভাটা করব কোথায়? আরো অনেকেই ফসলি জমিতে ইটভাটা করেছে।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের আঞ্চলিক ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) শামছুন্নাহার রতœা দৈনিক আজকের সাতক্ষীরা দর্পণ এর প্রতিবেদককে বলেন, ইটভাটার কারণে সাতক্ষীরায় ফসলি জমি কমে যাচ্ছে। তাছাড়া জমির উপরিভাগের মাটি কেটে নেয়ায় উর্বরতা কমছে। এতে ফসলহানির শঙ্কা রয়েছে। সঠিকভাবে মাটি ব্যবহার করতে না পারলে ফসল উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। ইটভাটা স্থাপনের আগে নির্ধারিত ফি দিয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে লাইসেন্স নিতে হয়। নীতিমালা অনুযায়ী, ইটভাটা স্থাপন করা হয় অনুৎপাদনশীল কৃষিজমিতে, অর্থাৎ যেখানকার মাটি কৃষিকাজের জন্য অনুপযোগী সে জমিতে। জমিটি হতে হবে অবশ্যই ফসলি জমি থেকে দূরে। কারণ কোনোভাবেই ইট বানাতে গিয়ে ফসলি জমি নষ্ট করা যাবে না।
এ ব্যাপারে পরিবেশ অধিদপ্তর সাতক্ষীরা জেলা সহকারী পরিচালক সরদার শরিফুল দৈনিক আজকের সাতক্ষীরা দর্পণ এর প্রতিবেদককে বলেন, পরিবেশ আইন বা নীতিমালা না মেনেই সাতক্ষীরায় ফসলি জমিতে ইটভাটা স্থাপন করা হয়েছে। জেলায় অন্তত ২০০টি ইটভাটা রয়েছে, যার ৭০ শতাংশই ফসলি জমি বা জনবসতি এলাকায়। এতে পরিবেশ যেমন হুমকির মুখে পড়ছে তেমন জমির উর্বরা শক্তি হারাচ্ছে, যা ফসলহানির কারণও বটে।’
সাতক্ষীরা জেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. রেজাউল ইসলাম জানান, আগামীতে যাতে ফসলি জমিতে নতুন কোনো ইটভাটা স্থাপন করা না হয়, সে লক্ষ্যে সমিতির পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে যেসব ভাটা ফসলি জমির ওপর করা হয়েছে, তা সরিয়ে নদীর আশপাশে নেয়ার জন্য সরকারের কাছে সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। ফসলি জমিতে স্থাপিত এসব ইটভাটা ফসল উৎপাদনে হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতি বছরই বাড়ছে ইটভাটা। খাদ্যনিরাপত্তার বিষয়টা বিবেচনায় এনে দ্রুত এসব ভাটা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানিয়েছেন কৃষক নেতারা।
এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ আশরাফুজ্জামান আশু দৈনিক আজকের সাতক্ষীরা দর্পণ এর প্রতিবেদককে বলেন- কৃষি সমৃদ্ধ জেলা সাতক্ষীরায় বারো মাসই ফসল উৎপাদন হয়। কিন্তু ফসলি জমি নষ্ট করে ইটভাটা স্থাপন কোনোভাবেই মেনে নেয়া হবে না। দ্রুত এসব ইটভাটার ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্ট শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর :

সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি:

এম এ কাশেম ( এম এ- ক্রিমিনোলজি).....01748159372

alternatetext

সম্পাদক ও প্রকাশক:

মো: তুহিন হোসেন (বি.এ অনার্স,এম.এ)...01729416527

সম্পাদক ও প্রকাশক:

সিনিয়র নির্বাহী সম্পাদক :

© All rights reserved © 2020-2025
প্রযুক্তি সহায়তায়: csoftbd