নিজস্ব প্রতিনিধি: চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা কমানো হয়েছে। নির্ধারণকৃত নতুন লক্ষমাত্র করা হয়েছে ৮৫৩ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে এই লক্ষমাত্রা ছিল ১ হাজার ২৬ কোটি ২২ লাখ টাকা। সে হিসেবে গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরে ১৭২ কোটি টাকার ওপরে রাজস্ব আদায় লক্ষ্যমাত্রা কমানো হয়েছে। বন্দর সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, করোনাপরবর্তী সময়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি কমে যাওয়া, ব্যাংকে এলসি জটিলতা ও ডলারের মূল্যবৃদ্ধিসহ বিভিন্ন সংকটের কারণে বন্দরে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা কমানো হয়েছে। যদিও গত অর্থবছরের প্রথম মাসের তুলনায় চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসে ১৬ কোটি টাকার ওপরে রাজস্ব আয় বেড়েছে। ভোমরা শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব বিভাগের প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে এ বন্দরে রাজস্ব আয় হয়েছে ৬০ কোটি ৮৬ লাখ ৭ হাজার ৫৫২ টাকা। যা গত ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম মাসের তুলনায় অন্তত ১৬ কোটি টাকার বেশি। বিদায়ী অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাই ২০২২ সালে এ বন্দরে রাজস্ব আয় হয়েছিল ৪৪ কোটি ৭৪ লাখ ২৭ হাজার ৫৫১ টাকা। ভোমরা শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব শাখা থেকে জানা গেছে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কর্তৃক ভোমরা স্থলবন্দরের জন্য চলতি ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের জুলাই-জুন পর্যন্ত রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এর মধ্যে জুলাইয়ে ৪৫ কোটি ২৬ লাখ, আগস্টে ৬৬ কোটি ১ লাখ, সেপ্টেম্বরে ৭৭ কোটি ৩৮ লাখ, অক্টোবরে ৬৪ কোটি ২৩ লাখ, নভেম্বরে ৫২ কোটি ৬৯ লাখ, ডিসেম্বরে ৪৯ কোটি ৩ লাখ, জানুয়ারিতে ৭২ কোটি ২৮ লাখ, ফেব্রুয়ারিতে ৬৮ কোটি ৭১ লাখ, মার্চে ১১৫ কোটি ৯ লাখ, এপ্রিলে ৭৯ কোটি ১ লাখ, মে মাসে ৬৮ কোটি ৯৩ লাখ এবং জুনে ৯৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকা, যা গত অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ১৭২ কোটি ২৩ লাখ টাকা কম।
ভোমরা স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ব্যবসায়ী অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কাজী নওশাদ দিলওয়ার রাজু জানান, গত অর্থবছর এ বন্দরে মোটা অংকের রাজস্ব ঘাটতি ছিল। তবে চলতি অর্থবছরে যদি ব্যবসায়ীরা চাহিদামাফিক পণ্য আমদানি করতে পারে, তাহলে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। কাজী নওশাদ দেলওয়ার রাজু বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের সব ধরনের পণ্য আমদানির সুযোগ দিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।
ভোমরা শুল্ক স্টেশনের সিনিয়র রাজস্ব কর্মকর্তা মো. ইফতেখার উদ্দিন জানান, চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে রাজস্ব আয় বেড়েছে। এ ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে আশা করা হচ্ছে বন্দরটিতে চলতি অর্থবছরের জন্য এনবিআরের বেঁধে দেয়া লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে।
Leave a Reply