ডালিম রেজা কেশবপুর : যশোরের কেশবপুরে ভরা মৌসুমেও দেখা নেই বৃষ্টির। খরায় আমনের খেত শুকিয়ে চৌচির হয়ে গেছে। ফলে আমন ধান চাষ নিয়ে বিপাকে রয়েছেন উপজেলার চাষিরা। এখন সেচের পানিই এক মাত্র ভরসা তাদের। সেচ সার কীটনাশকের দাম বৃদ্ধির কারনে এ বছর আমন চাষে বিঘপ্রতি খরচ বেশি হবে প্রায় ৫/৬ হাজার টাকা। ফলে ধান চাষ বাদ দিয়ে অন্য ফসল আবাদে ঝুকছেন অনেক চাষি। উপজেলা উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা রস্তোম আলী বলেন, উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন একটি পৌরসভা এলাকায় চলতি মৌসুমে আমন চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধরণ করা হয়েছে ৯১৩৪ হেক্টর জমিতে।
রবিবার ২৩ জুলাই পর্যন্ত রোপণ হয়েছে মাত্র ১০ হেক্টর জমি। আমনের চারা রোপণের উপযুক্ত সময় আষাড়ের ১৫ থেকে শ্রাবণ ১৫ পর্যন্ত। বৃষ্টি না হওয়ার কারণে ক্ষেতে আগাছা, রোগও পোকার আক্রমন বেড়ে যাবে। এতে ভালো ফলন না হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। উপজেলার মমিনপুর গ্রামের আমনচাষি আব্দুল গফুর বলেন, বৃষ্টি না হওয়ায় খতিগ্রস্থ হচ্ছে আমন ক্ষেত। শুকিয়ে চৌচির হয়ে গেছে ফলে আমন চাষ নিয়ে বিপাকে আছি আমাদের মতো কৃষকরা। ভালুকঘর গ্রামের আফসার সরদার বলেন, এ বার মৌসুমের শুরু থেকেই স্বাভাবিক বৃষ্টির দেখা নেই। তাই কৃষকদের ধানখেতে সেচ পানি দিয়ে ধান লাগাতে হচ্ছে তাতে করে প্রতি কৃষকের বাড়তি খরচ গুনতে হবে ৫/৬ হাজার টাকা।
বিগত বছরে আষাড়ের ৫/১০ তারিখের মধ্যে আমনের চারা রোপন শুরু করতেন। এবার প্রচন্ড খরার কারনে চলতি মৌসুমে দেরি হচ্ছে। দির্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় আমন খেতে সময়মতো চাষ দিতে পারছে না কৃষকরা। তীব্র তাপে প্রানিকুল ও জনজীবনে অতিষ্ট হয়ে পড়ছে। আর খাঁ খাঁ করছে ফসলী মাঠ। অন্যদিকে পাট জাগ দেওয়ার সময় হয়ে এসেছে কিন্তু কোথাও পানি না থাকায় পাট চাষিদের কপালেও পড়ছে চিন্তার ভাজ।
চালিতাবাড়িয়ার কৃষক আব্দুল লতিফ দৈনিক আজকের সাতক্ষীরা দর্পণকে বলেন, বৃষ্টি না হওয়ায় সময় মতো আমন চারা রোপন করা সম্ভব হচ্ছে না। অনেকে সেচ দিয়ে আমন চারা রোপন করছে। তাতেও থাকছে না বিদ্যুৎ। সেচ মটর মালিকরা মাঠে পানি দিতে হিমসিম খাচ্ছে। অনেক কৃষক জানান সেচ, সার, তেলও কীটনাশকের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ধান উৎপাদর খরচ বাড়লেও বিক্রি করতে হচ্ছে কম দামে। তাই অনেক কৃষক ধানের অবাদ বাদ দিয়ে ড্রাগন, পেয়ারা, পটল, বেগুন মরিচ ইত্যাদি আবাদের দিকে ঝুকছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার মাহমুদা খাতুন দৈনিক আজকের সাতক্ষীরা দর্পণকে বলেন এখনো সময় আছে, এখন বেশিরভাগ কৃষক আমন চারা তৈরি করছে। তবে এ ধরনের খরা যদি চলতে থাকে তাহলে সেচ মালিকদের সাথে বসে সেচ পানির খরচ কমানোর চেষ্ঠা করবো।
Leave a Reply