1. nokhatronews24@gmail.com : ajkarsatkhiradarpan darpan : ajkarsatkhiradarpan darpan
  2. install@wpdevelop.org : sk ferdous :
কেন ভিক্ষুকের কাছে সন্তান ফেলে রেখে গিয়েছিলেন সেই মা - আজকের সাতক্ষীরা দর্পণ
রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:৩৩ অপরাহ্ন
১৩ই আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ খবর :
📰সদরের সাব রেজিষ্ট্রার অফিসের ঘুসের টাকা গ্রহনকারী মহসিনের ক্ষমতার উৎসাহ কোথায়? (১ম পর্ব)📰স্বামী-সন্তানকে ফেলে পরকীয়ায় রেহেনা এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভ📰পাইকগাছায় ইয়াবাসহ যুবক আটক📰পাইকগাছায় বিভিন্ন পূজামন্ডপে বিএনপির সিসি ক্যামেরার প্রদান📰শ্যামনগরের ৭০টি পূজা মন্দিরে বিএনপির উপহার হস্তান্তর📰সাগরে লঘুচাপ, তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত📰সাতক্ষীরায় “বিশ্ব গণমানুষের সেবা ফাউন্ডেশন”এর জেলা কমিটি অনুমোদন📰পিআরসহ ৫ দফা দাবিতে সাতক্ষীরা জামায়াতের বিক্ষোভ📰কালিগঞ্জে পুকুরে ডুবে দুই বছরের শিশুর মৃত্যু📰বিএনপি সবসময় জনগণের অধিকার আদায়ের পক্ষে কাজ করে আসছে- সাবেক ছাত্রনেতা রফিক

কেন ভিক্ষুকের কাছে সন্তান ফেলে রেখে গিয়েছিলেন সেই মা

প্রতিবেদকের নাম :
  • হালনাগাদের সময় : শুক্রবার, ৩ মার্চ, ২০২৩
  • ৩৪ সংবাদটি পড়া হয়েছে

ন্যাশনাল ডেস্ক: মোটা অঙ্কের কিস্তি, সন্তানদের লেখাপড়ার খরচ, বাড়ি ভাড়া, সাথে আছে পাঁচ সদস্যের সংসাসের বড় ব্যয়। অন্যদিকে সংসার খরচ দেন না প্রবাসী স্বামী। এসব কারণেই নাকি নিজের তিন মাসের শিশু পুত্রকে ভিক্ষুকের কাছে ফেলে রেখে গিয়েছিলেন লক্ষীপুরের এক মা। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে শিশুটির মাসহ পরিবারের লোকজন সদর থানায় আসেন ভিক্ষুকের কাছে রেখে যাওয়া পুত্র সন্তানটিকে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য। তবে বিষয়টি এখন আর থানার গন্ডিতে সীমাবদ্ধ নেই। এবার নিজের সন্তানকে ফেরত পেতে আদালতে যেতে হবে ওই মাকে।
শিশুটি এখন বেলাল হোসেন-নিশি আক্তার নামে এক নিঃসন্তান দম্পতির কাছে রয়েছে। তারা লক্ষীপুর পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। শিশুটির মায়ের নাম সুরমা বেগম। ওই নারীর আরও তিন মেয়ে আছে। শিশুপুত্রটির নাম মাহিন। বড় মেয়ের নাম নেহা (৭), মেজো মেয়ে নুহা (৫), ছোট মেয়ে মাহি (৩)। তাদের বাড়ি লক্ষীপুরের রামগতি উপজেলার চর বাদাম ইউনিয়নের চরসীতা গ্রামে। তাদের বাবার নাম মিরন, তিনি সৌদি প্রবাসী। শিশুটির মা জেলা শহরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের রেহান উদ্দিন ভূঁইয়া সড়কে সন্তানদের নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকেন। তিন মেয়েকে সেখানে একটি মাদরাসায় ভর্তি করিয়েছেন। সুরমার বাবার বাড়ি সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের চর উভূতি গ্রামে।
শিশুপুত্রকে বৃদ্ধা ভিক্ষুকের কাছে রেখে যাওয়ার কারণ পুলিশ ও সাংবাদিকদের জানিয়েছেন সুরমা। তার দাবি, ‘আমার স্বামী সৌদিতে থাকেন। চার সন্তান নিয়ে আমি জেলা শহরে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকি। প্রতি মাসে ১১ হাজার টাকা কিস্তি, সন্তানদের লেখাপড়ার খরচ, সংসারের খরচ লাগে। সবমিলিয়ে আমাকে হিমশিম খেতে হয়। মুদি দোকানে অনেক দেনা হয়ে আছি। তাদের বাবা কোনো খরচ দেয় না। তাই তার ওপর জিদ করে এ কাজটি করেছি। শিশু সন্তানকে ভিক্ষুকের কোলে দিয়ে অন্য সন্তানদের নিয়ে বাপের বাড়ি ভবানীগঞ্জের মিয়ারবেড়িতে চলে গিয়েছিলাম।’
কখন তার সুবোধ ফিরল সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন সুরমা। বলেছেন, ‘ছেলেকে না নিয়ে যাওয়ায় পরিবারের লোকজন আমাকে বকাঝকা শুরু করে। পরে বুঝতে পেরেছি, কাজটি ঠিক করিনি। বুকের ধনকে রেখে সারারাত ঘুমাতে পারিনি। ঘটনার পরদিন সকাল থেকে তাকে খুঁজতেছি। কোথাও পাইনি। পরে বিকেলের দিকে পরিচিত একজন ফেসবুকের মাধ্যমে শিশুটির বিষয়ে জানতে পারে। তার মাধ্যমে থানায় আসি।’ শিশুটির দাদা হাফিজ উল্যা জানান, ১০ থেকে ১২ বছর আগে তার ছেলের সঙ্গে সুরমার বিয়ে হয়। বিয়ের পর ছয় মাস তাদের বাড়িতে ছিলেন সুরমা। এরপর থেকে বাপের বাড়িতেই থাকতেন। তার ছেলে মিরন (৩৪) প্রায় সাড়ে পাঁচ বছর ধরে সৌদি আরবে থাকেন। আর তার পুত্রবধূ নাতি-নাতনিদের নিয়ে জেলা শহরে ভাড়া বাসায় থাকেন। তার ছেলে সংসারের খরচ পাঠান। তারপরও তার পুত্রবধূ মানসিক সমস্যার কারণে নাতিকে ভিক্ষুকের কাছে রেখে চলে যান। বিষয়টি তারা ঘটনার রাতে সুরমার বাবার কাছ থেকে ফোনে জানতে পারেন। এটা কোনো স্বাভাবিক মানুষের কাজ না। তবে নাতিকে ফিরে পেয়ে খুশি তিনি। এদিকে গত বুধবার বিকেলে পুলিশ শিশুটিকে ভিক্ষুকের কোল থেকে উদ্ধারের পর স্থানীয় কাউন্সিলর জসিম উদ্দিন মাহমুদের তত্ত্বাবধানে দেয়। কাউন্সিলর তার নিঃসন্তান আত্মীয়ের ঘরে লালন-পালনের জন্য রাখেন শিশুটিকে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে শিশুটিকে পুলিশ আদালতে সোপর্দ করে। তার দায়দায়িত্ব সমাজসেবা কার্যালয়কে দেওয়ার আবেদন করে পুলিশ। পরে ওই নিঃসন্তান দম্পতি আদালতের কাছে শিশুটিকে লালন-পালনের আবেদন জানালে শর্ত সাপেক্ষে তাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার রাতে শিশুটির মায়ের খোঁজ পাওয়ার পর ওই দম্পতি শিশুটিকে নিয়ে থানায় যান।
এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার মো. মাহফুজ্জামান আশরাফ সাংবাদিকদের বলেন, ‘শিশুটিকে পাওয়ার পর আমরা স্থানীয় কাউন্সিলরের জিম্মায় দিই। পরদিন আমরা শিশুটিকে আদালতে সোপর্দ করি। আদালত থেকে ওই দম্পতিকে লালন-পালনের দায়িত্ব দিলেও শর্ত ছিল শিশুটির পরিবারকে পাওয়া গেলে তাদের কাছে হস্তান্তর করতে হবে। এখন তার মা এবং পরিবারের খোঁজ মিলেছে। আমরা আদালতে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দেব। আইনি প্রক্রিয়ার ভিত্তিতে শিশুটিকে আদালতের মাধ্যমে নিতে পারবেন তার মা। তবে সে সময় পর্যন্ত শিশুটি ওই নিঃসন্তান দম্পতির কাছে থাকবে।’
গত বুধবার দুপুর ২টার দিকে লক্ষীপুর পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ মজুপুরের আধুনিক হাসপাতালের সামনে এক নারী ওয়াশরুমে যাওয়ার কথা বলে তার কোলের শিশুকে সালমা বেগম (৭০) নামে এক ভিক্ষুকের কোলে রেখে যান। কিন্তু এরপর আড়াই-তিন ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও ওই নারী আর ফিরে না আসায় পুলিশে খবর দেওয়া হয়।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্ট শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর :

সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি:

এম এ কাশেম ( এম এ- ক্রিমিনোলজি).....01748159372

alternatetext

সম্পাদক ও প্রকাশক:

মো: তুহিন হোসেন (বি.এ অনার্স,এম.এ)...01729416527

alternatetext

বার্তা সম্পাদক: দৈনিক আজকের সাতক্ষীরা

সিনিয়র নির্বাহী সম্পাদক :

মো: মিজানুর রহমান ... 01714904807

© All rights reserved © 2020-2025
প্রযুক্তি সহায়তায়: csoftbd