1. nokhatronews24@gmail.com : ajkarsatkhiradarpan darpan : ajkarsatkhiradarpan darpan
  2. install@wpdevelop.org : sk ferdous :
সুন্দরবনে বেড়েছে বাঘের পদচারণা - আজকের সাতক্ষীরা দর্পণ
সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:৫৫ পূর্বাহ্ন
১৪ই আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ খবর :
📰প্রথম আলোর বিভ্রান্তিকর রিপোর্টের প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন ও স্মারকলিপি📰সদরের সাব রেজিষ্ট্রার অফিসের ঘুসের টাকা গ্রহনকারী মহসিনের ক্ষমতার উৎসাহ কোথায়? (১ম পর্ব)📰স্বামী-সন্তানকে ফেলে পরকীয়ায় রেহেনা এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভ📰পাইকগাছায় ইয়াবাসহ যুবক আটক📰পাইকগাছায় বিভিন্ন পূজামন্ডপে বিএনপির সিসি ক্যামেরার প্রদান📰শ্যামনগরের ৭০টি পূজা মন্দিরে বিএনপির উপহার হস্তান্তর📰সাগরে লঘুচাপ, তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত📰সাতক্ষীরায় “বিশ্ব গণমানুষের সেবা ফাউন্ডেশন”এর জেলা কমিটি অনুমোদন📰পিআরসহ ৫ দফা দাবিতে সাতক্ষীরা জামায়াতের বিক্ষোভ📰কালিগঞ্জে পুকুরে ডুবে দুই বছরের শিশুর মৃত্যু

সুন্দরবনে বেড়েছে বাঘের পদচারণা

প্রতিবেদকের নাম :
  • হালনাগাদের সময় : বৃহস্পতিবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ১০৬ সংবাদটি পড়া হয়েছে

ন্যাশনাল ডেস্ক: পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবনে বেড়েছে বাঘের পদচারণা। বনে ঘুরতে যাওয়া পর্যটক এবং বনকর্মীরা প্রায়ই বাঘ দেখতে পাচ্ছেন। অবশ্য বন বিভাগের দাবি, ৯০দিন বনে পর্যটক ও জেলে প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকা, বাঘের বাচ্চার প্রজনন বাড়া-মৃত্যুহার কমা, পিটিয়ে হত্যা নিয়ন্ত্রণ এবং অভয়রাণ্যের সীমানা বাড়ায় আগের তুলনায় বাঘের সংখ্যা বেড়েছে। পর্যটকরা জানান, বন্যপ্রাণী ও মাছের প্রজনন মৌসুমে তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে সুন্দরবনে পর্যটক প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। পরদিন দুপুরে ক্রাউন নামের একটি জলযানে সুন্দরবন ভ্রমণে যাওয়া পর্যটকরা একটি বাঘকে শরণখোলা রেঞ্জের কচিখালী এলাকার নদী সাঁতরে পার হতে দেখেন। ৩ সেপ্টেম্বর সকালে শরণখোলা রেঞ্জের কটকা এলাকায় সাঁতরে একটি বাঘকে নদী পার হতে দেখার দুর্লভ সুযোগ পান সাম্পান নামের আরেক জাহাজের পর্যটকরা। তাদের ভিডিও করা সেই দৃশ্য এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
এর আগে গত ৮ আগস্ট সকালে শরণখোলা রেঞ্জের কচিখালী অভয়ারণ্য কেন্দ্র অফিসের সামনে দেখা মিলেছিল বাঘের। বাঘটি বনরক্ষীদের ব্যারাকের খুব কাছে চলে আসে। এ সময় মোবাইলে বাঘটির ভিডিও ধারণ করেন এক বনরক্ষী। এ ছাড়া গত ৩ ফেব্রুয়ারি বনের সুপতি স্টেশনের চন্দেশ্বর ফরেস্ট অফিসের পুকুরপাড়ে প্রায় ২৪ ঘণ্টা তিনটি বাঘকে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। গত বছর ২৫ ফেব্রুয়ারি বন বিভাগের কর্মীরা কটকার কাছাকাছি দুটি বাচ্চাসহ মা বাঘ দেখতে পান। ১২ মার্চ বনের ছিটা কটকা এলাকায় একসঙ্গে চারটি বাঘ দেখতে পান পর্যটকরা। ৩০ মার্চ নুয়ে পড়া গাছের ওপর একটি বাঘের বাচ্চা দেখেন পর্যটকরা। এদিকে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত সুন্দরবনের সাতক্ষীরা ও খুলনা রেঞ্জে ক্যামেরা ট্র্যাপিং পদ্ধতিতে বাঘশুমারি করা হয়। ওই শুমারিতে বনের কয়েকটি স্থানে এবার বড় বাঘের সঙ্গে বাচ্চার ছবিও ধরা পড়েছে ক্যামেরায়। এ ছাড়া গোটা সুন্দরবনে খাল সার্ভের মাধ্যমে বাঘের পায়ের ছাপ সংগ্রহ করা হয়েছে।
জানা গেছে, আগামী নভেম্বর থেকে বনের চাঁদপাই ও শরণখোলা রেঞ্জে একই পদ্ধতিতে বাঘশুমারি করা হবে। প্রতিটি রেঞ্জের ১৪৫টি পয়েন্টে দুটি করে ক্যামেরা স্থাপন করা হবে, যা থাকবে ৪০ দিন। ক্যামেরা ট্র্যাপিং পদ্ধতিতে পাওয়া ছবি এবং বাঘের পায়ের ছাপ ঢাকায় ল্যাবে পর্যালোচনা করা হবে। এরপর ২০২৪ সালের ২৯ জুলাই বাঘ দিবসে বাঘশুমারির ফল প্রকাশ করার পরিকল্পনা রয়েছে। ক্যামেরা ট্র্যাপিংয়ের কাজে নিয়োজিতরা বলেন, আগে বনের যেসব এলাকায় বাঘের উপস্থিতি দেখা যায়নি, ক্যামেরা ট্র্যাপিংয়ে সেখানে এবার বাঘের আনাগোনা পাওয়া গেছে। সে কারণে মনে হচ্ছে, আগের তুলনায় বাঘের সংখ্যা বেড়েছে।
‘সুন্দরবন বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্পের’ পরিচালক ও সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মো. মহসিন হোসেন বলেন, ৯০ দিন বনে পর্যটক ও জেলে প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকায় বাঘ চলাফেরায় অবাধে চলাচল করেছে। সে কারণে পর্যটক প্রবেশ শুরু হওয়ার পর থেকে তারা বাঘ দেখতে পাচ্ছেন। কিছুদিনের মধ্যে বাঘ যখন পর্যটক-জেলেদের আনাগোনা দেখলে তখন বনের বেশ ভেতর চলে যাবে।
তিনি বলেন, অভয়ারণ্য আগে ছিল ২৩ শতাংশ এখন ৫২ শতাংশ। অর্থ্যাৎ অভয়রাণ্য বাড়ায় বাঘের প্রজননও বেড়েছে। এছাড়া আগে বাঘের বাচ্চার মৃত্যুহার বেশি ছিল। সে কারণে এখন বাঘ দেখা যাচ্ছে বেশি। এছাড়া বাঘ পিটিয়ে হত্যা কমেছে এবং দস্যুমুক্ত হওয়াতে বাঘের বাচ্চা বড় হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। সেকারণেও বাঘ বাড়ছে।
বিভাগীয় এই বন কর্মকর্তা বলেন, বনে বাঘের প্রধান শিকার চিত্রা হরিণ ও বন্য শূকরের সংখ্যা বেড়েছে। খাবারের সংকট না থাকায় বাঘের লোকালয়ে হানা দেওয়া কমেছে। আগের তুলনায় খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে বাঘ আসার প্রবণতা কমেছে। সে কারণে পিটিয়ে বাঘ হত্যার ঘটনাও কম। এছাড়া র‌্যাবের তৎপরতার কারণে সুন্দরবনে বনদস্যু ও বাঘ শিকারিদের তৎপরতা আগের তুলনায় কম। সে কারণে হয়তো বাঘের সংখ্যা বড়েছে। উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের শুমারি অনুযায়ী সুন্দরবনে বাঘ ছিল ১০৬টি। আর ২০১৮ সালে ক্যামেরা ট্র্যাপিং পদ্ধতিতে করা শুমারি অনুযায়ী সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ছিল ১১৪টি।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্ট শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর :

সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি:

এম এ কাশেম ( এম এ- ক্রিমিনোলজি).....01748159372

alternatetext

সম্পাদক ও প্রকাশক:

মো: তুহিন হোসেন (বি.এ অনার্স,এম.এ)...01729416527

alternatetext

বার্তা সম্পাদক: দৈনিক আজকের সাতক্ষীরা

সিনিয়র নির্বাহী সম্পাদক :

মো: মিজানুর রহমান ... 01714904807

© All rights reserved © 2020-2025
প্রযুক্তি সহায়তায়: csoftbd