ইকবাল হোসেন শিবপুর: সাতক্ষীরা সদর উপজেলা ৫ নং শিবপুর ইউনিয়নের বোরো ধানের ব্লাস্ট রোগে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে,শিয়ালডাঙ্গা, জগনাথপুর,পায়রাডাঙ্গা, ঝিটকী, বারোপোতা,সোনাডাঙ্গা খানপুর, ডুমুরতলা, এইসব গ্রামের মাঠে
দূর থেকে দেখে মনে হবে ধান পেকে গেছে কিন্তু আসলে তা নয় ছত্রাক আর মাজরা পোকা ব্যাপক আক্রমণে বরো ধানের এই অবস্থা মাঠের পর মাঠ এই রোগের আক্রমণে দিশেহারা শিবপুরের কৃষকরা
কৃষকরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই এক রাতেই ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে ক্ষেতের ধান একের পরে এক বিভিন্ন কোম্পানির কীটনাশক ব্যবহার করেও মিলছে না কোন ফল, এভাবে ধান পাকার আগেই নষ্ট হয়ে যাওয়ায় শঙ্কিত কৃষকরা বিগত বর্ষা মৌসুমে অতিবৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার কারণে ব্যাপক ক্ষতি হয় শিবপুরের বিভিন্ন এলাকার আমন ধানের ক্ষেত সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আশায় বুক বাঁধে বোরোধানের দিকে কিন্তু সে গুড়ে বালি ভুক্তভোগী আনারুল ইসলাম নামে এক কৃষক বলেন দুই বিঘা ১৪ কাটা জমির মধ্যে দুই বিঘা শেষ হয়ে গেছে ব্লাস্ট রোগের আক্রমণে ঋণ করে স্যার এবং কীটনাশক ব্যবহার করেছি জমিতে এখন আমি নিঃস্ব, হামিদুল ইসলাম নামে এক কৃষকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন দফায় দফায় কীটনাশক ব্যবহার করেও সাত বিঘা জমি বোরো ধান বাঁচাতে পারেনি, এভাবেই শত শত কৃষকের মুখের হাসি কেড়ে নিয়েছে মাজরা পোকা ও ব্লাস্ট রোগে শিবপুরের বিভিন্ন কীটনাশক এর দোকানে ঘুরে রহমান ট্রেডার্স এর কীটনাশক ব্যবসায়ী সালাউদ্দিন জানান, কৃষকের চাহিদা মেটাতে আমরাও মর্মাহত কৃষকের এই বিপদে বিভিন্ন কোম্পানির কীটনাশক ব্যবহারে পরামর্শ দিয়ে আসে কিন্তু কোনো রকমেই কাজ হচ্ছে না এ বিষয়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা তাজুল ইসলামের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন,ব্রি ২৮ জাতের ধানের ব্লাস্ট রোগের আক্রমণ বেশি আমরা এ জাতের ধান চাষ থেকে কৃষকদের বিরত থাকার পরামর্শ দিয়ে আসছি এছাড়া ধানের পোকা দমনে কৃষি অফিসারের পক্ষ থেকে সব সময় পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে
Leave a Reply