আজকের সাতক্ষীরা দর্পণ ডেস্ক: আদালতের আদেশ অমান্য করে পৌর নায়েবের বিরুদ্ধে অন্যের জমি আশরাফুর রহমান গংদের নামে নামজারি করিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে ভুক্তভোগী নলকুড়া গ্রামের মৃত. শাহাজাহান মিয়ার স্ত্রী মোছাঃ রাশিদা বেগম ১৯ নভেম্বর সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভুক্তভোগীর জামাতা শফিকুল ইসলাম। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার লাবসা মৌজার বিআরএস ২৫২ নং খতিয়ানের ৬.৯৫৭৫ একর জমি পৈতৃক সরেজমিনে আপোষ চিহ্নিত মতে ৩০৪৩ দাগে ০.০২০০ একর এবং ৩০৪৫ দাগের সমুদয় ০.২৬৭৫ একর জমির মালিক মোছাঃ রাশিদা বেগম।
বিগত বিআরএস জরিপে তার অপর ভ্রাতা ও ভগ্নিগন তার নাম বাদ দিয়ে রেকর্ড প্রস্তুত করালে তিনি বিজ্ঞ ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইবুনাল সাতক্ষীরা আদালতে মামলা করে নিজ নামে রেকর্ড সংশোধনের আদেশ প্রাপ্ত হয়। যার নং-১৬৮৯/২০। উক্ত মোকদ্দামার ০২/১০/২২ তারিখের রায় এবং ০৬/১০/২২ তারিখের ডিগ্রি বুনিয়াদে নিজে অনলাইনে ১২৮৯৫ ( ওঢ-ও) ২০২২-২৩ নং নামজারী মামলা দায়ের করলে সাতক্ষীরা পৌর ভূমি অফিসের ২০/০৩/২০২৩ তারিখের প্রস্তাবিত খতিয়ানের প্রেক্ষিতে ১১/০৪/২০২৩ তারিখে নিজ নামে রেকর্ড সংশোধনের আদেশ মঞ্জুর হয়। তদপ্রেক্ষিতে সাতক্ষীরা পৌর ভূমি অফিসের লাবসা মৌজার ১৬৬৩ নং পৃথক খতিয়ানে ১৬২৭ নং হোল্ডিং এ নিজ নামে খতিয়ানভুক্ত হয়। কিন্তু পরিতাপের বিষয় জেলা নেজারত শাখার প্রসেস সার্ভার মোঃ আশরাফুর রহমান বর্তমানে সাতক্ষীরা পৌর ভূমি অফিসের নায়েব মোস্তফা মনিরুজ্জামানকে অবৈধ উপায়ে বশীভুত করে নিজ নামীয় খতিয়ানের ৩০৪৫ দাগের ০.২৬৭৫ একর জমি থেকে ০.০৭২৮ একর জমি কোন প্রকার বুনিয়াদ বা আদেশ ছাড়াই উক্ত মৌজায় ১৮১২ নং খতিয়ানে তার দ্বারা পরবর্তীতে ০৩/১০/২০২৩ তারিখে প্রস্তাব দাখিল করায়ে ৭০৮৪ (ওঢ-ও) ২০২৩-২৪ নং একটি তঞ্চকী মতে সৃষ্ট নামজারি কেসে রেকর্ড প্রস্তুত করেন। উক্ত প্রকার তঞ্চকী মতে হাসিলি নামজারি কেসে সৃষ্ট রেকর্ডের ভিক্তিতে আশরাফুর রহমান নিজ নামীয় সম্পত্তি মারমুখি ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে জবর দখলের চেষ্টা করলে বিষয়টি জানতে পারে। বর্ণিত অবস্থার প্রেক্ষিতে তঞ্চকীমতে হাসিলী নামজারি কেসে সম্পৃক্ত সংশ্লিষ্ট ইউএলএও ও নায়েব মোস্তফা মনিরুজ্জান এবং জেলা নেজারত শাখার প্রসেস সার্ভার মোঃ আশরাফুর রহমানের বেআইনি তথা দুর্নীতিমূলক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এ বিষয়ে পৌর নায়েব মোস্তফা মনিরুজ্জামান জানান, আমার ভূল হয়েছে। রাশিদা বেগমের কাছ থেকে ১৫০ ধারামতে একটি আবেদন নিয়ে নামজারি রেকর্ড সংশোধন করিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করিয়ে দেবো।
Leave a Reply