নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা সদরের শিবপুর ইউনিয়নের পায়রাডাঙ্গা হাটখোলা থেকে মৃগীডাঙ্গা পর্যন্ত ৪.৩ কিলোমিটার রাস্তার বেহাল দশা। অতিবৃষ্টি হওয়ায় রাস্তাটি সংস্কার না করায় জনগন চলাচলের চরম দূভোগ দেখা দিয়েছে। রাস্তাটি সংস্ককরণের জন্য গত ১৮ই মে টেন্ডারের মাধ্যমে কাজটি করার দায়িত্ব পায় ঠিকাদার শেখ সিরাজুল ইসলাম। কাজ পাওয়ার পর ৪মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত কাজ শুরু করেননি। চার কিলোমিটার সড়কে ৪ টি কালর্ভাট সপন্ন হয়েছে। রাস্তা উপর কালভাট সপন্ন হলেও তার উপর দিয়ে কোন যানবাহন চলাচলের জন্য দুইধারে মাটি না দিয়ে সাইকেল-ভ্যান ও চলতে পারছেনা এই রাস্তা দিয়ে। গ্রামীন এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন কয়েকশত মানুষ শহরে যাতায়ত করে কিন্তুু ঠিকাদারের রাস্তা সংস্কারের ধীর গতির কারণে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে এলাকাবাসীর। খুলনা বিভাগ পল্লী অবকাঠোমো উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্প এই চার কিলোমিটার রাস্তার মাঝে ৪ টি কালর্ভাট নির্মাণে রড- সিমেন্ট কম দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে এলাকাবাসির এই ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। এলাকাবাসির অভিযোগ চারমাস রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে পারছিনা কেহ অসুস্থ হইলে শহরে যাওয়ার একটাই রাস্তা আমরা দ্রæত এই রাস্তটি সপন্ন করা দাবি জানাচ্ছি। পায়রাডাঙ্গার গ্রামবাসিন্দারা দৈনিক আজকের সাতক্ষীরা দর্পণকে বলেন, গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তাটি সংস্কার করা না হলে রাস্তাটি চলাচলের একেবারেই অযোগ্য হয়ে পড়বে। ঠিকাদার শেখ সিরাজুল হক সড়কটির সংস্কারে কোন অগ্রগতি নেই, রাস্তাটি বেহাল দশায় পরিণত হলেও সংস্কার করার কোন উদ্যোগ গ্রহন করেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ করতে দেখা যায় না। এই সড়কটি দিয়ে প্রতিনিয়তই অসংখ্য রোগী, স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ পাশ্ববর্তী গ্রামবাসী কয়েক হাজার লোক চলাচল করে পাশাপাশি এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন শহরে যাতায়াত করছে হাজারো মানুষ, তাদেরও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। বিশেষ করে হাসপাতালে রোগীদের আনা-নেওয়া করতে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন রোগীর স্বজনরা। স্থানীয়দের দাবি খুব শীগ্রই রাস্তাটির সংস্কার কাজ চালু হলে তাতে রোগীদের দুর্ভোগ কিছুটা কমবে। রাস্তা সংস্কারের কাজ বন্ধের বিষয় ঠিকাদার শেখ সিরাজুল হক বলেন ,বর্ষার মৌসুম না গেলে কাজ হবে না এজন্য মানুষ ভোগান্তিতে পড়বেই। ৪ টি কালর্ভাট সপন্ন করছেন কিন্তু তার দুপাশে মাটি না দেয়াই গ্রামবাসী চলাচল করতে পারছেনা এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন তাতে আমার কিছু করার নাই, কাজ যখন শুরু করবো তখন দেখবো আর আপনাদের যেটা মন চাই সেটা লেখেন। এ বিষয়ে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার ইয়াকুব আলী দৈনিক আজকের সাতক্ষীরা দর্পণকে বলেন,বৃষ্ঠির কারনে কাজ শুরু করতে পারি নাই,এবার কাজটি শুরু করবো এক সপ্তাহের মধ্যে। রাস্তা সংস্কার কাজ বন্ধ থাকার বিষয় সাতক্ষীরা জেলা এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী কামরুলজ্জামান কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান , এ বিষয়ে আমি অবগত নাই তবে আমি এখনি ব্যবস্থা নিচ্ছি।
Leave a Reply