1. nokhatronews24@gmail.com : ajkarsatkhiradarpan darpan : ajkarsatkhiradarpan darpan
  2. install@wpdevelop.org : sk ferdous :
সাতক্ষীরা থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে ‘গরিবের এসি ঘর’ - আজকের সাতক্ষীরা দর্পণ
মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২:৩৩ অপরাহ্ন
১৫ই আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ খবর :
📰আশাশুনিতে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই ঘটকসহ আহত-৩📰সাংবাদিকের জানে মেরে দেবো সাতক্ষীরা সাব রেজিস্টারের অমায়িক বাবুর হুমকি📰তানযীমুল উম্মাহ হিফয মাদরাসা সাতক্ষীরা শাখার বার্ষিক পুরস্কার বিতরণ📰সাতক্ষীরায় ডিবি পুলিশের অভিযানে অনলাইন জুয়া চক্রের এজেন্টসহ গ্রেফতার- ২📰প্রথম আলোর বিভ্রান্তিকর রিপোর্টের প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন ও স্মারকলিপি📰সদরের সাব রেজিষ্ট্রার অফিসের ঘুসের টাকা গ্রহনকারী মহসিনের ক্ষমতার উৎসাহ কোথায়? (১ম পর্ব)📰স্বামী-সন্তানকে ফেলে পরকীয়ায় রেহেনা এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভ📰পাইকগাছায় ইয়াবাসহ যুবক আটক📰পাইকগাছায় বিভিন্ন পূজামন্ডপে বিএনপির সিসি ক্যামেরার প্রদান📰শ্যামনগরের ৭০টি পূজা মন্দিরে বিএনপির উপহার হস্তান্তর

সাতক্ষীরা থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে ‘গরিবের এসি ঘর’

প্রতিবেদকের নাম :
  • হালনাগাদের সময় : মঙ্গলবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৩
  • ৫০ সংবাদটি পড়া হয়েছে

তুহিন হোসেন:

হারিয়ে যাচ্ছে সাতক্ষীরা জেলা থেকে ‘গরিবের এসি ঘর’ গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী মাটির ঘর। সবুজ শ্যামল ছায়া ঘেরা সাতক্ষীরা জেলার সদর উপজেলার রাস্তার দুপাশে একের পর এক দেখা যেত নজরকাড়া মাটির ঘর। শীত ও গরম উভয় মৌসুমে আরামদায়ক এই মাটির ঘর। তাই এই ঘরকে বলা হয় ‘গরিবের এসি ঘর’। ঘরগুলো দেখতে মনোরম। পরিবেশবান্ধব ঘর বলে অনেকে বিমুগ্ধও হন। আধুনিকতার ছোঁয়ায় দিন দিন মাটির ঘরের কদর এখন হারিয়ে যেতে বসেছে। সচরাচর এখন আর মাটির ঘর চোখে পড়ে না। ঐতিহ্যের এই অংশটি এখনও কালের স্বাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে কিছু জায়গায়। জানা গেছে, গত পাঁচ থেকে ছয় দশক আগেও দেশে মাটির ঘরের প্রচলন ছিল হরহামেশা। গরিব ও মধ্যবিত্ত পরিবারের অধিকাংশ মানুষ নির্মাণ করতেন মাটির ঘর। সারাদেশের মতো সাতক্ষীরা জেলার সদর উপজেলার বিভিন্ন বাড়িতে দেখা যেত এমন মাটির ঘর। বিশেষে করে সদর উপজেলাসহ বিভিন্ন উপজেলার বা গ্রামে ছিল মাটির ঘর। ওইসব গ্রামের হাতেগোনা কিছু বাড়িতে এখন মাটির ঘর থাকলেও অধিকাংশ বাড়িতে নির্মাণ করা হয়েছে পাকা ও সেমিপাকা ঘর। জনশ্রæতি আছে, ‘মাটির ঘর গরিবের বালাখানা’।
এলাকাবাসী দৈনিক আজকের সাতক্ষীরা দর্পণকে জানান, সাতক্ষীরা সদর থানার আগরদাড়ি বাশদাহ ও কুশখালী প্রত্যেক ইউনিয়নে এঁটেল মাটি দিয়ে মাটির ঘর বানানো হতো। এঁটেল মাটি ভিজিয়ে প্রথমে প্যাক করা হতো। সেই প্যাক দিয়ে তৈরি হতো ২০-৩০ ইঞ্চি চওড়া দেয়াল। প্রতিবার দুই-তিন ফুট উঁচু দেয়াল করে তা পাঁচ-ছয় দিন রোদে শুকানো হতো। এভাবে পর্যায়ক্রমে ১০-১২ ফুট উঁচু দেয়াল নির্মাণ করা হতো। পরে দেয়ালের ওপর খড় বা টিনের চালা বা ছন দিয়ে ছাউনি করা হতো। প্রতিটি ঘর নির্মাণে সময় লাগত দুই-তিন মাস। বিশেষ প্রক্রিয়ায় ঘরের ভিতরের দিকে ধানের তুষ দিয়ে দেয়ালের ওপর প্রলেপ দেওয়া হতো। বাইরের দিকে দেওয়া হতো চুনের প্রলেপ। বন্যা বা ভূমিকম্প না হলে এসব ঘর শতাধিক বছর পর্যন্ত টিকে থাকত। এই মাটির ঘর ভূমিকম্প বা বন্যা না হলে এর স্থায়িত্ব শতবছরও হতে পারে বলে জানিয়েছেন মাটির ঘর ব্যবহারকারীরা।
স্থানীয় কাশেমপুর ও শিকড়ী থেকে একাধিক ব্যক্তি দৈনিক আজকের সাতক্ষীরা দর্পণকে বলেন জন্মসূত্রে মাটির তৈরির ঘর পেয়েছি। বাপ-দাদা পূর্ব পুরুষও জীবন কাটিয়ে গেছেন। তাইতো এখনও পূর্ব পুরুষের রেওয়াজ অনুযায়ী ভাঙেনি মাটির ঘর। ভাঙতে চান না কেউ কেউ।
কাশেমপুর থেকে মোমিন ও শহিদুর রহমান দৈনিক আজকের সাতক্ষীরা দর্পণকে বলেন, প্রত্যেক গ্রামে মাটির ঘর ছিল। ইট-পাথরের তৈরি পাকা দালানের সংখ্যা ছিল গ্রামে হাতেগোনা। সেই দিন বদলে গেছে। এখন হাতেগোনা দু’একটি মাটির ঘর দেখা যায়। অধিকাংশ বাড়ি এখন ইট পাথরের তৈরি। এক সময় মাটির ঘরের কথা ইতিহাস হয়ে থাকবে, স্মৃতি খুঁজে পাওয়াও দুষ্কর হয়ে যাবে। হাজার বছরের ঐতিহ্যের ধারক-বাহক মাটির ঘর এখনও টিকে আছে। তবে সাধারণভাবে গ্রাম-বাংলা থেকে মাটির ঘর প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছে।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্ট শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর :

সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি:

এম এ কাশেম ( এম এ- ক্রিমিনোলজি).....01748159372

alternatetext

সম্পাদক ও প্রকাশক:

মো: তুহিন হোসেন (বি.এ অনার্স,এম.এ)...01729416527

alternatetext

বার্তা সম্পাদক: দৈনিক আজকের সাতক্ষীরা

সিনিয়র নির্বাহী সম্পাদক :

মো: মিজানুর রহমান ... 01714904807

© All rights reserved © 2020-2025
প্রযুক্তি সহায়তায়: csoftbd