আবু সাঈদ সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরা জেলা আনসার ভি.ডি.পি অফিসার মোরশেদা খানম ও আশাশুনি উপজেলার আনসার ও ভি.ডি.পি কর্মকর্তা মোছাঃ হোসনেয়ারা বেগম বিউটি ও মহিলা প্রশিক্ষীকা মোছাঃ খাদিজা খাতুন এর বিরুদ্ধে নানান অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ। উক্ত বিষয়ে সম্প্রতি কয়েকজন ভুক্তভোগি মোরশেদা খানমের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেছেন। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, আনসার ভি.ডি.পি’র মৌলিক প্রশিক্ষণ যে ইউনিয়নে চলমান থাকে অত্র ইউনিয়নের দলপতি ও দলনেত্রীদের থাকার কথা থাকলেও জেলা ও উপজেলা অফিসাররা তাদেরকে অবগত না করে ইচ্ছে মতো আশাশুনির দূর্গাপুর গ্রামে মৌলিক প্রশিক্ষণ করেন। শুধু তাই নয়, আশাশুনি উপজেলার মহিলা টি.আই খাদিজা আশাশুনি ইউনিয়ন দুর্গাপুর গ্রামে ১০ দিনের মৌলিক প্রশিক্ষণ চলাকালিন আশাশুনি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে ব্যক্তি সংগ্রহ করে দুর্গাপুর গ্রামে মৌলিখ প্রশিক্ষণ করিয়েছে এবং ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে সার্টিফিকেট বিক্রয় করেছে বলে অনেকে অভিযোগ করে। মহিলা প্রশিক্ষিকা খাদিজা খাতুনের শ্বশুর বাড়ী খাজরা ইউনিয়নের তুয়ারডাঙ্গা গ্রামের, তার আত্মীয় সাইফুদ্দীন সবুজ ও তামিমা সুলতানার কাছে দু’টি সার্টিফিকেট বিক্রয় করেছে বলে একাধিক সূত্রে জানা যায়। এমনকি ঐ দুই ব্যক্তি মৌলিক প্রশিক্ষণে অংশগ্রহন না করেও সনদ পাওয়ার অভিযোগ করেন একাধিক ব্যক্তি। সাইফুদ্দীন সবুজকে ঐ সার্টিফিকেটের বিনিময়ে ইউনিয়ন দলপতি পদে নিয়োগ দিয়েছেন। এ বিষয় নিয়ে বার বার সাতক্ষীরা জেলা কমান্ড্যান্ট মোরশেদা খানম এর কাছে বলা হলেও তিনি আমাদের কথা গুরুত্ব না দিয়ে উপজেলা প্রশিক্ষীকা খাদিজার সহযোগিতায় সাইফুদ্দীন সবুজকে ৮ নং খাজরা ইউনিয়নের দলপতি পদে বহাল রাখেন। রাইসুল আরাফাত এর ২১ দিনের ট্রেইনিং সার্টিফিকেট থাকায় দলপতি পদে বাছাইয়ের জন্য গিয়েছিলেন কিন্তু তার অস্ত্র প্রশিক্ষনের সার্টিফিকেট থাকা শর্তেও তাকে বাদ দেওয়া হয় এবং সে ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি লম্বা এবং সাইফুদ্দীন সবুজ ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি লম্বা। মৌলিক প্রশিক্ষনের সার্টিফিকেট থাকায় কীভাবে জেলা কমাড্যান্ট মোরশেদা খানম তাকে দলপতি নিয়োগ দেন যাহা নিয়ম বহির্ভূত। আশাশুনি ইউনিয়নে দুর্গাপুর গ্রামে প্রাইমারী স্কুলে ১৬ অক্টোবর ২০২২ তারিখ হতে ২৭ অক্টোবর ২০২২ পর্যন্ত মৌলিক প্রশিক্ষণ হয়। সেখানে ইউনিয়ন দলপতি ও দলনেত্রীর বাধ্যতামূলক থাকার কথা। দলপতি সঞ্জয় কুমার মন্ডল ও দলনেত্রী রেহানা পারভীনকে বাদ দিয়ে অন্য লোক নিয়ে মহিলা প্রশিক্ষীকা খাদিজা খাতুন প্রশিক্ষণ কার্যক্রম করেন যাহা নিয়মনীতির সাংঘর্ষিক। এ বিষয়ে একাধিক ভি.ডি.পি সদস্য ও ইউনিয়ন দলপতি দলনেত্রীরা অভিযোগ করে এ প্রতিবেদককে বলেন, জেলা কমান্ড্যান্ট মোরশেদা খানম অন্যান্য ব্যক্তিদের দোষ ত্রæটি খুটিয়ে দেখেন। কিন্তু আশাশুনি উপজেলার মহিলা প্রশিক্ষীকা খাদিজা খাতুনের আত্মীয় এই সাইফুদ্দীন সবুজ এটা কি জেলা কমান্ড্যান্ট জানে না। শুধু তাই নয় আমরা জানিয়ে দেওয়া শর্তেও উনি আমাদের কথা গুরুত্ব দেন না। এ বিষয়ে আশাশুনি উপজেলা আনসার ভি.ডি.পি’র টিআই খাদিজার নিকট ফোন কলে যোগাযোগ করতে না পারায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। সার্বিক বিষয়ে কথা হয় সাতক্ষীরা জেলা আনসার ভি.ডি.পি কমাড্যান্ট মোরশেদা খানম এর সাথে। তিনি বলেন, আমি কখনো কোন বিষয়ে দূর্নীতি করি না এবং আমি যা করি আমার উর্দ্ধাতন কর্তৃপক্ষ অকিবল।
Leave a Reply