তুহিন হোসেন: তালের শাঁস পুষ্টিকর ও সুস্বাদু একটি খাবার। এতে রয়েছে সব ধরনের প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান। তালের নরম শাঁস খেতে কমবেশি সবাই পছন্দ করে। তালের শাঁস খাওয়ার উপযোগী হওয়াতে গাছ থেকে তাল পেড়ে বাজারে বিক্রির ধুম পড়ে গেছে। ক্রেতারা তালের শাঁস কিনতে হুমড়ি খেয়ে পড়েন। এই মাসের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে হরেক রকমের সুস্বাদু ফল। ফলের তালিকায় রয়েছে- আম, জাম, কাঠাল, লিচু ছাড়াও অন্যতম আরেকটি ভিন্নধর্মী ফল তালের শাস। তালের শাসের নরম অংশটি খুবই সুস্বাদু। গ্রাম্য ভাষায় এটি “তালকুই” নামে বেশি পরিচিত। প্রচন্ড গরমে তালের এই শাস মানুষের কাছে খুবই প্রিয়।
তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ মানুষ। গরমে অস্থির পথচারীদের এক মুহূর্তের জন্য হলেও তৃষ্ণা স্বস্তি এনে দিচ্ছে কচি তালের শাস। প্রচন্ড গরম বেড়ে যাওয়ায় মানুষের পিপাসা চাহিদা বেড়েছে। ডাবের দাম বেড়ে যাওয়ায়, ডাবের পানির পরিবর্তে কচি তালের শাস খেয়ে পানির চাহিদা পুরন করছে। বছরের শুরুতে মৌসুমি এ ফলের চাহিদা বেড়েছে। মিষ্টি ও রসালো পানির কারনে বিক্রিও হচ্ছে ভালো দামে। বিভিন্ন স্থানে এখন বিক্রি হচ্ছে কচি তাল শাস। ছোট বড় প্রকার ভেদে প্রতিটির দাম ১০ থেকে ২০ টাকা দরে বিক্রি করছে বিক্রেতারা।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার তাল বিক্রেতা হোসেন আলি বলেন, তারা গ্রামের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে গাছ চুক্তিতে তাল সংগ্রহ করি এবং তাদের লোকজন দিয়ে গাছ থেকে ফল কেটে এনে বাজারে বিক্রি করছি। গত বছরের চেয়ে এবার দামটা একটু বেশি। আকারভেদে প্রতি হাজার কচি তালের দাম ৫ হাজার থেকে ৭ হাজার টাকা।
বিক্রেতা আনোয়ার হোসেন জানান, তালগাছ থেকে ফল কেটে আনা একটি কষ্টকর বিষয়। কাটার জন্য অতিরিক্ত পারিশ্রমিক দিয়ে কেটে আনতে হয়। একটি গাছে ৩০০ থেকে ৩৫০ ফল পাওয়া যায়। জ্যৈষ্ঠ মাসের প্রথম দিকে বিক্রি আরো বেশি হবে বলে মনে করি, এবং চলবে পুরো মাস জুড়ে।
সাংবাদিক মোঃ আব্দুল মোমিন ও মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন,তালের শাসের পুষ্টি গুণ অনেক। প্রচন্ড গরমে কচি তালের শাস এবং এর ভেতরের মিষ্টি পানি তৃষ্ণা মিটিয়ে শরীরে এনে দেয় আরামদায়ক অনুভূতি। আরোও বলেন, তালের শাসে আশ থাকায় এটি হজমে সহায়ক। তালের শাস হাড় গঠনেও দারুণ ভূমিকা রাখে। কচি তালের শাস রক্তশূন্যতা দুর করে। মুখের রুচি বাড়ায়। এতে সুগার কম থাকায় ডায়াবেটিক রোগিরাও খেতে পারে।
Leave a Reply