নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার শ্যামনগরে মাদ্রাসা পড়–য়া ১৪ বছরের এক ছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার নয় দিন পর মঙ্গলবার রাতে শ্যামনগর থানা পুলিশ ‘ভিকটিম’ উদ্ধারসহ অভিযুক্ত তরুন মোস্তাকিম বিল্লাহ বাপ্পীকে গ্রেপ্তার করেছে। বাপ্পী উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের গাইনবাড়ী এলাকার আবুল হোসাইন গাইনের ছেলে।
একই এলাকায় নানার বাড়িতে অবস্থান করে ভিকটিম স্থানীয় জেএলএম মাদ্রাসায় লেখাপড়া করতো। ভিকটিমের মা বাদি হয়ে বাপ্পী, তার পিতা আবুল হোসাইন ও প্রতিবেশী ওবায়দুল্লাহ শেখসহ অজ্ঞাত দুই/তিন জনের নামে মামলা করেছেন। স্থানীয় সুত্র মতে একই এলাকায় বসবাসের সুযোগে বাপ্পীর সাথে মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণীতে পড়–য়া ঐ কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরিবার তাদের সম্পর্ক জানতে পেরে শাসন করায় গত ২৮ অক্টোবর দু’জন অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমায়। একপর্যায়ে পরিবারের আশ^াসে এলাকায় ফিরলে দু’জনকে অভিভাবকদের কাছে ফিরিয়ে দেয়া হয়। এসময় স্থানীয়রা বিয়ের উদ্যোগ নিলেও বাপ্পীর পরিবার সম্মত না হওয়ায় কিশোরীর মা বাদি হয়ে শ্যামনগর থানায় মামলা করেন। ভিকটিমের মা বলেন, মেয়েকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ফুসলিয়ে নিয়ে অপহরণ করা হয়। মঙ্গলবার রাতে মেয়েকে তিনি অপহরণস্থল থেকেই উদ্ধার করেন। অপহরণের পর ধর্ষণ করায় তিনি অভিযুক্ত বাপ্পীসহ আরও দু’জনের নামে মামলা করেছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মুহিদ বলেন, কিশোরীর মা মামলা করায় আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভিকটিমকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য সাতক্ষীরায় পাঠানো হয়েছে।
Leave a Reply