তুহিন হোসেন:
পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে শেষ মুহূর্তের কেনাকাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন সাতক্ষীরার মানুষরা। করোনা মহামারির কারণে গত দুই বছর বিক্রিতে কিছুটা ভাটা থাকলেও এবার ঈদের আগেই অনেকটা জমে ওঠে কেনাকাটা। সাধ্যের মধ্যে ভাল কিছু কিনতে নিম্নবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্তরা ছুটে আসছেন সাতক্ষীরা নিউ মার্কেটের ফুটপাত দোকানগুলোতে আর উচ্চবিত্তরা যাচ্ছেন নামি শপিংমলগুলোতে। ঈদে সুলভ মূল্যে অল্প আয়ের মানুষের কেনাকাটার ভরসাস্থল ফুটপাত। তাই ঈদের কেনাকাটায় শেষ মুহূর্তে সাতক্ষীরার ফুটপাতগুলোতে উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। ঈদকে কেন্দ্র করে মার্কেটের সামনের ফুটপাতে সারি সারি দোকান ক্রেতা সাধারণের ভিড়ে মুখরিত। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত বিপণিবিতানে ভিড় করছেন ক্রেতারা। অভিজাত বিপণিবিতান, বিভিন্ন মার্কেট, এমনকি ফুটপাতেও চলছে জমজমাট বেচাকেনা। বৈশাখের কাঠফাটা রোদ ও গরম উপেক্ষা করেও পরিবার-পরিজনের জন্য ঈদের পোশাকসহ অন্যান্য সামগ্রী কিনতে দেখা গেছে। ক্রেতা ধরতে পোশাকের গুণকীর্তনে ব্যস্ততা বেড়েছে বিক্রয়কর্মীদেরও।
দোকানিরাও বলছেন, ঈদকে সামনে রেখে তাদের বিক্রি ভালো হচ্ছে।
অন্যদিকে নামি-দামি শপিংমলগুলোতে শেষ মুহূর্তে ঈদের কেনাকাটা কিছুটা কম।
বিক্রেতারা আজমল হোসেন বলেন দিনে তিন সময় ক্রেতার উপস্থিতি বেশি থাকে মার্কেটে। বেলা ১১টা থেকে দুপুরের আগ পর্যন্ত, বিকেলে এবং সন্ধ্যার পর সাড়ে ৭টার দিক থেকে শুরু করে মাঝরাত পর্যন্ত। তবে সন্ধ্যার পরে সবচেয়ে বেশি ভিড় হয় কেনাকাটা করার জন্য। রোজার প্রথম দিকে বেচাকেনা কম ছিল, এখন বাড়ছে। করোনার কারণে গত দুই বছর তেমন একটা বেচাকেনা ছিল না, এখন যে বিক্রি চলছে, এভাবে থাকলে ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে আসবে।’
দুপুরের আগে এবং সন্ধ্যার পর কাস্টমার বেশি থাকে। মানুষ ইফতার করে আস্তে ধীরে বাজার করতে আসে। আমি নিজেও দোকানের স্থায়ী কর্মী নই। এটা আমার বন্ধুর দোকান, বিক্রি বাড়ায় আমি তারে সাহায্য করতে আসছি। চাঁদরাত পর্যন্ত এমন থাকলেই চলবে। আরো বাড়লে তো সেটা খুব ভালো। সেজান পয়েন্টে কেনাকাটা করতে আসা ক্রেতা আব্দুল মোমিন বলেন, শুধু ঈদেই আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে সুখ-দুঃখ বিনিময় হয়। পরিবারের প্রায় ১২-১৩ সদস্যের জন্য জামাকাপড় কিনতে হবে। দামটা একটু বেশি মনে হচ্ছে। তারপরও কিছু তো করার নেই, দুই বছর কাউকে তো তেমন কিছু দেওয়া হয়নি।
ফুটপাতের বিক্রেতা সোহারাফ বলেন, ফুটপাতে বেচাকেনা চলছে ভালোই। সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে পাঞ্জাবি। নানা ডিজাইনের পাঞ্জাবি রয়েছে আমাদের কাছে। দামও তুলনামূলক কম, তাই কাস্টমার বেশি নিচ্ছে।
Leave a Reply