1. nokhatronews24@gmail.com : ajkarsatkhiradarpan darpan : ajkarsatkhiradarpan darpan
  2. install@wpdevelop.org : sk ferdous :
শুরু হলো মেঘবতী ঋতু বর্ষাকাল - আজকের সাতক্ষীরা দর্পণ
মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:২৬ পূর্বাহ্ন
১৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ খবর :
📰মহান বিজয়ের মাস শুরু📰ভালুকা চাঁদপুর পূর্ব পাড়া আহলে হাদিস জামে মসজিদের বিষয় নিয়ে আমার জবানবন্দি📰বেগম জিয়ার সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনায় কালিগঞ্জে প্রার্থনা📰কালিগঞ্জে দিনদুপুরে গৃহবধূ ও যুবক গুলিবিদ্ধ📰দেবহাটায় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া অনুষ্ঠান📰ফিজিশিয়ান স্যাম্পল বিক্রয়ের অভিযোগে ফার্মেসীকে জরিমানা📰সাতক্ষীরায় তারুণ্য নির্ভর নতুন বাংলাদেশ গঠনে এসো দেশ বদলাই’ শীর্ষক আলোচনা📰সাতক্ষীরা আদালতে নতুন ১৩ জন আইন কর্মকর্তা নিয়োগ📰সাতক্ষীরায় নতুন এসপি মোঃ আরেফিন জুয়েল’র যোগদান📰বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় সাতক্ষীরায় দোয়া অনুষ্ঠান

শুরু হলো মেঘবতী ঋতু বর্ষাকাল

প্রতিবেদকের নাম :
  • হালনাগাদের সময় : শুক্রবার, ১৬ জুন, ২০২৩
  • ৫৬ সংবাদটি পড়া হয়েছে

তুহিন হোসেন:

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছেন, গগনে গরজে মেঘ, ঘন বরষা/ কূলে একা বসে আছি, নাহি ভরসা /রাশি রাশি ভারা ভারা, ধান কাটা হল সারা/ ভরা নদী ক্ষুরধারা, খরপরশা/ কাটিতে কাটিতে ধান এল বরষা। কবিগুরুর কবিতার মতোই মেঘ বাদলের মধ্য দিয়েই ঋতুচক্রে শুরু হলো বর্ষাকাল।
ঋতুর হিসেবে বৈশাখ-জৈষ্ঠ্য গ্রীষ্মকাল, আর এরপরের মাস অর্থাৎ আষাঢ়ের পহেলা তারিখ থেকেই শুরু বর্ষাকাল। বর্ষাকালে বরিষণ দিয়েই তাই শুরু হয়েছে বর্ষার আমেজ। যাকে কাব্যের ভাষায় বলা যায়, মেঘবতী দিন।
বর্ষা আসার পর থেকেই সজীব আর সতেজ হয়ে উঠতে থাকে প্রকৃতি। শুধু প্রকৃতিই নয়, বর্ষার স্পর্শে প্রাণ ফিরে আসা জনজীবনেও। নতুন প্রাণের আনন্দে অঙ্কুরিত হয় গাছপালা, ফসলের মাঠ। চার পাশে অন্ধকার, মেঘের ঘনঘটা; হঠাৎ বৃষ্টির আলিঙ্গন। গাঢ় সবুজ পাতার ফাঁক গলিয়ে গাছে গাছে কদম ফুটেছে। রিমিঝিমি বৃষ্টিতে থই থই চারিধার, তীব্র তাপদাহে তপ্ত দেহে স্বস্তির ছোঁয়া নিয়ে হাজির হয় আষাঢ়। বৃষ্টি ভেজা সে ফুলের শোভা ছড়িয়ে পড়েছে গাছে গাছে। বলছিলাম নয়নাভিরাম সৌন্দর্যের স্বর্ণগোলক কদম ফুলের কথা। বর্ষার দূত বলা হয় কদম ফুলকে। এই বর্ষার আগমনের আগেই হাজির হয় কদম ফুল। গাছে গাছে ফুটে কদমসহ অনিন্দ্য সুন্দর ফুল। প্রকৃতিতে এনে দিবে নজরকাড়া সৌন্দর্য। বাংলার বর্ষা একেবারেই নিজস্ব। এটি এমনই এক ঋতু, যে কাউকে উদাস করে ফেলে। মনের ভেতরে লুকানো নিগূঢ় কোনো দুঃখবোধকে এক নিমিষে জাগিয়ে তুলতে পারে বর্ষা। আবার তা ধুয়েমুছে সাফও করে দিতে পারে। কবির মনেও গভীর ছায়া ফেলে এ ঋতু। তাইতো বর্ষাকে ঘিরে শত-সহস্র কবিতা লেখা হয়েছে বাংলা সাহিত্যে। আষাঢ় ও শ্রাবণ এই দু’মাস বর্ষাকাল হলেও আশ্বিন পর্যন্ত আমাদের দেশে প্রচুর বৃষ্টি হয়। গ্রীষ্মে সূর্যের প্রচণ্ড তাপে যখন নদী-নালা, খাল-বিল, পুকুর শুকিয়ে যায়, মানুষজন, পশু-পাখি অস্থির হয়ে পড়ে। গাছপালা শুকিয়ে মরার মত হয়ে যায়—তখন বর্ষা এসে সকলের মধ্যে নূতন প্রাণের জোয়ার এনে দেয়।
বর্ষায় ফোটে কদম ফুল যা বর্ষার রূপকে বাড়িয়ে দেয়। আরও ফোটে কেয়া ও কেতকী। শহরের একঘেয়ে যান্ত্রিক জীবনে বর্ষা কিছুটা হলেও প্রভাব ফেলে। বর্ষার বৃষ্টি শহরের আকাশে-বাতাসে থাকা ধুলোবালিকে বশ করে। তবে বর্ষায় শহরের রাস্তাঘাট অল্প বৃষ্টিতেই তলিয়ে যায়; যাতে মানুষের ভোগান্তি বাড়ে। বর্ষাকাল আমাদের শহুরে ও গ্রামীণ জীবনে ভিন্ন। তবে সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, যথাযথ বৃষ্টিপাত বাংলাদেশে প্রয়োজনীয় ফসল ফলাতে সহায়তা করে। অন্যদিকে অনাবৃষ্টি ও খরায় বাংলাদেশের কৃষি ভেঙে পড়ে। তাই বর্ষাকাল আমাদের জীবনে সামগ্রিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্ট শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর :

সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি:

এম এ কাশেম ( এম এ- ক্রিমিনোলজি).....01748159372

alternatetext

সম্পাদক ও প্রকাশক:

মো: তুহিন হোসেন (বি.এ অনার্স,এম.এ)...01729416527

সম্পাদক ও প্রকাশক:

সিনিয়র নির্বাহী সম্পাদক :

© All rights reserved © 2020-2025
প্রযুক্তি সহায়তায়: csoftbd