নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ধুলিহর ইউনিয়নের দামারপোতা গ্রামে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে হাটু পর্যন্ত কাদামাটির মধ্যে ২মহিলার ধ্বস্তাধস্তির ঘটনায় প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে থানায় ধর্ষনের চেষ্টার নাটক সাজিয়ে মিথ্যা অভিযোগ করায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। জানা গেছে, দামারপোতা গ্রামের প্রবাসী জাহারুল ইসলামের স্ত্রী ১সন্তানের জননী কুলসুম(৩০) এর বাড়ির পাশে একটি পরিত্যক্ত ডোবার মধ্যে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশী শাহাদাৎ হোসেনের স্ত্রী ফারজানা(৩২)এর মধ্যে হাঁটুপর্যন্ত কাদা পানিতে ১৭ফেব্রুয়ারি সোমবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার সময় ধ্বস্তাধস্তি হয়।পরে ফারজানার স্বামী শাহাদাৎ হোসেন ও স্থানীয় কবির হোসেনসহ স্থানীয় লোকজন তাদেরকে ছাড়িয়ে দেয়। এঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই রাতে স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ আ.রাজ্জাকসহ একাধিক ব্যক্তিকে বিষয়টি জানান।কিন্তু পরবর্তীতে বিষয়টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়ার জন্য শাহাদাৎ হোসেন কতৃক কুলসুম খাতুনকে ধর্ষনের চেষ্টার অভিযোগ এনে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করলে এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।বিষয়টি জানতে শুক্রবার কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মী সরেজমিনে গেলে শতশত গ্রামবাসীরা জানান- কুলসুম ও ফারজানার মধ্যে মাছধরাকে কেন্দ্র করে ধ্বস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে।সম্পূর্ণ তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রাম্য পলিটিক্সের কারনে থানায় মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। কুলসুমের স্বামী বিদেশে থাকায় টাকার গরমে একটি বিশেষ মহলের প্ররোচনায় শাহাদাৎ কে ফাঁসাতে মিথ্যা অভিযোগ করেছে। এব্যাপারে কথিত ওই ভিকটিম কুলসুমের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান- শাহাদাৎ হোসেন দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন সময় আমাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল।সোমবার রাত আনুমানিক সাড়ে এগারো টার সময় শাহাদাৎ আমার ঘরে প্রবেশ করে জোরপূর্বক ধর্ষনের চেষ্টা করে। আমি তখন বাঁধা দিয়ে ডাকচিৎকার দিলে সে ও তার স্ত্রী ফারজানা খাতুন আমাকে টেনে হিঁচড়ে বাড়ির পাশে ডোবার মধ্যে নিয়ে মারধর করে। এসময় তারা ১ভরি ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন, কানের দুল ছিড়ে নিয়েছে।
Leave a Reply