তুহিন হোসেন সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে চলতি অর্থবছরের ১১ মাসে রসুন আমদানি গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৫০ শতাংশ কমেছে। ভোমরা শুল্ক স্টেশন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। ব্যবসায়ী ও আমদানিকারকরা বলছেন, ভারতে রসুনের সরবরাহ কমে গেছে। এছাড়া সেখানে মসলাপণ্যটির দামও বেশি। এ কারণেই মূলত আমদানি কমে গেছে। আমদানি কমায় পণ্যটির দাম লক্ষণীয় মাত্রায় বেড়েছে। বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের এ সময় জেলায় রসুনের দাম গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৩০ শতাংশ বেড়েছে। সাতক্ষীরা জেলা সদরের সুলতানপুর বড় বাজারের আড়তগুলোয় প্রতি কেজি রসুন ২০০-২৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এ বাজারের ব্যবসায়ী মতিয়ার রহমান বলেন, ‘গত বছরের এই সময় যে রসুন পাইকারি বাজারে বিক্রি হয়েছে ১৫০-১৫৫ টাকা কেজি দরে, তা বর্তমানে ১৯০-২৩০ টাকায় উঠেছে। রসুনের পাশাপাশি আদার দামও বেড়েছে। তাছাড়া সামনে কোরবানির ঈদ। ফলে চাহিদার তুলনায় বাজারে সরবরাহ কমলে সব ধরনের মসলার দাম আরো বাড়তে পারে।ভোমরা শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব বিভাগ থেকে জানা গেছে, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-মে মাস পর্যন্ত এ বন্দর দিয়ে রসুন আমদানি হয়েছে ১৪ হাজার ৯৭১ টন, যার আমদানি মূল্য ২৩৬ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। গত ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-মে পর্যন্ত আমদানি হয়েছিল ২৮ হাজার ৪০৬ টন, যার আমদানি মূল্য ছিল ৪২৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। সে হিসাব অনুযায়ী, আমদানি কমেছে ১৩ হাজার ৪৩৫ টন।
ভোমরা বন্দরের সিএন্ডএফ ব্যবসায়ী ও সিএন্ডএ্ফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শেখ এজাজ আহমেদ স্বপন দৈনিক আজকের সাতক্ষীরা দর্পণকে জানান, সম্প্রতি তার প্রতিষ্ঠানে রসুন আমদানি কমেছে অন্তত ৫০ শতাংশ। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘ভারতে সরবরাহ কমে যাওয়ার পাশাপাশি দাম বেশি হওয়ায় রসুন আমদানি কমেছে।’
সাতক্ষীরা জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা এসএম আব্দুল্লাহ জানান, আমদানিনির্ভর কিছু মসলার দাম বেড়েছে। সামনে কোরবানির ঈদ আসছে। বাজারে অসাধু ব্যবসায়ীরা যাতে মসলার দাম বাড়াতে না পারে, সে দিকে নজর রাখা হচ্ছে।
Leave a Reply