স্টাফ রিপোর্টার: ভোমরা পূর্বপাড়া জামে মসজিদের পাশর্^ থেকে আশরাফুলের বাড়ি পর্যন্ত ইটের সোলিং রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটি সংস্কার বা মেরামত না করার ফলে ইটের সোলিং উঠে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত। এসব গর্তে যানবাহনের পাশাপাশি পথচারীদের চলাচলে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। ভাঙাচোরা রাস্তাটি প্রায়ই ছোটখাটো যানবাহন আটকে ঘটছে দুর্ঘটনা। পাঁচ বছর ধরে এ অবস্থা থাকলেও ভাঙা রাস্তাটি মেরামতে কোনো পদক্ষেপ নেই। দুর্ভোগ যেন বেড়েই চলছে।
জানা যায়, ২০১২ সালে একটি প্রকল্পের মাধ্যমে ভোমরা পূর্বপাড়া জামে মসজিদের পাশর্^ থেকে আশরাফুলের এর বাড়ি পর্যন্ত প্রায় ৬’শ ফুট ইটের সোলিং রাস্তাটি নির্মাণ করা হয়েছিল। তবে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে বেশি ওজনের ছোটখাটো যানবাহন চলাচলে রাস্তাটি দ্রুত ভেঙে ইটের সোলিং পুকুরের মধ্যে পড়ে যায়। এ রাস্তা দিয়ে এলাকার হাজারো মানুষ প্রতিদিন চলাচল করেন। এ রাস্তা ভেঙে যাওয়ার অন্যতম কারণ অতিরিক্ত ইট বোঝাই ট্রলি, ভ্যান, ইজিবাইক, মোটরসাইকেল, বাইসাকেল প্রভৃতি। রাস্তাটি প্রায় ৫ বছরের অধিক সময় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এই অনুপযোগী রাস্তাটি সংস্কার করার উদ্যোগ একটি প্রকল্পের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদ নিয়েছিল। কালক্রমে সেই উদ্যোগ আলোর মুখ দেখেনি। সরেজমিনে দেখা যায়, রাস্তাটিতে বড় বড় গর্ত। ধীরগতিতে রাস্তা দিয়ে মোটরসাইকেল ও বাইসাকেলসহ ছোটবড় অসংখ্য যানবাহন চলাচল করছে। ফলে ভাঙা রাস্তা আরও বেশি ভাঙছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় এলাকার বাসিন্দা সাংবাদিক আব্দুল গফ্ফার জানান, প্রতিদিনের ন্যায় বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল যোগে ভোমরা বাজারে গিয়েছিলাম। কাজ শেষে বাড়ি ফিরে ঐ রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম, হঠাৎ রাস্তা থেকে মোটরসাইকেলসহ পড়ে যাই। আমার মোটরসাইকেলসহ নিজে আহত হয়েছিলাম। প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে নিজে ভালো আছি। তবে অর্থের অভাবে মোটরসাইকেলটি মেরামত করতে পারিনি। এমন অবস্থার শুধু আমি না প্রতিদিন এলাকার অর্ধশত মানুষ ভুগছে। রাস্তাটি দ্রুত সংস্কারের উদ্যোগ যে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা গ্রহণ করে সেই প্রত্যাশা।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য সাজ্জাদ আলি জানান, ঐ রাস্তাটি আমার নির্বাচনী এলাকার মধ্যে পড়ে। দুই থেকে তিন বছর আগে রাস্তাটি সংস্কারের জন্য একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছিল ইউনিয়ন পরিষদ। তবে সেই প্রকল্পের টাকা ইউপি চেয়ারম্যান উত্তোলন করে পকেটস্থ করেছিল, তা ডিসি স্যারসহ সকলে জানতো। এরপরে আমাকে এলাকার মানুষ রাস্তাটি সংস্কার করে দেওয়ার কথা বললে নিজের অর্থ দিয়ে আংশিক সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছিলাম। সম্প্রতি বৃষ্টিপাতে সেই উদ্যোগও কাজে আসলো না। এখন রাস্তাটি সম্পূর্ণ চলাচলের অনুপোযোগী। আমার হাতে তো কিছু করার নেই। সবকিছু করতে পারে ইউপি চেয়ারম্যান। তিনিই রাস্তাটি এলাকার মানুষের চলাচলের উপযোগী করতে নতুন করে প্রকল্প প্রস্তাব পাঠাতে পারে। সেটি পাশ হলে রাস্তাটি সংস্কার হবে।
প্রকল্পের টাকা উত্তোলনের কথা অস্বীকার করে ইউপি চেয়ারম্যান ইসরায়েল গাজী জানান, আগের মতো দিন আর নেই। কোনো প্রকল্পের টাকা উত্তোলন করতে হলে তা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রতিনিধির যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে প্রতিবেদন উপর নির্ভর করে। সেই টাকা আমার উত্তোলনের তো কোনো প্রশ্নই উঠে না। তবে স্থানীয় ইউপি সদস্য সাজ্জাত আলি আমাকে হেয় করতে এ ধরণের অপপ্রচার চালাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ঐ ইটের সোলিং রাস্তাটি সম্পর্কে অবগত রয়েছি। আমরা দ্রুত রাস্তাটি সংস্কারের উদ্যোগ নেবো।
Leave a Reply