স্টাফ রিপোর্টারঃ সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কদমতলা টু বৈকারী সড়কের জমিতে কোন অনুমতি ছাড়াই প্রকাশ্যে ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে রাস্তার পাশে থাকা কয়েকটি সরকারি গাছ কেটে বিক্রি করে দিয়েছে। গতকাল পলিথিন ও টিন দিয়ে ঘিরে কৌশলে অবৈধ স্থাপনাটি দ্রুত কাজ সেরে নেওয়ার পাঁয়তারা করছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, স্থাপনার কাজ চলমান রয়েছে। সাংবাদিক আসছে জানতে পেরে স্থাপনাটির মালিক গা ঢাকা দিয়েছে।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আগরদাঁড়ী ইউনিয়নের বাবুলিয়া বাজার সংলগ্ন পালপাড়ায় রাস্তার উত্তর পাশে স্থাপনাটি তৈরি হচ্ছে। জমির বতর্মান মালিক বাবুলিয়া গ্রামের রুপা ঘোষ। তার স্বামী মাস্টার রমেশ চন্দ্র ঘোষ স্থাপনাটি তৈরি করছেন। কোন সরকারি অনুমতি ছাড়াই অবৈধভাবে স্থাপনাটি তৈরি করছেন।
জানা যায়, রমেশ চন্দ্র ঘোষ গত চৈত্র মাসে বাবুলিয়া মৌজায় হাল ৪২ ও ৪৩ দাগে মৃত দুখী পালের ছেলে সুশীল পালের নিকট থেকে ২৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ১২ কাঠা জমি কিনে নেয় তার স্ত্রীর নামে। সুশীল পাল ২ কাঠা জমি কালি মন্দির স্থাপনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিক্রয় করে। জমির মালিক রুপার স্বামী মাস্টার রমেশ চন্দ্র ঘোষ ইতিমধ্যে আট কাঠা জমি বিক্রি করে দিয়েছেন। বাকী ২ কাঠা কালীমন্দির ও পথ বাবদ দেড় কাঠাসহ মোট সাড়ে ১১ কাটা পূর্ণ ব্যবহার হয়েছে। বাকি হাফ কাঠা ও সরকারি ৪ কাঠা জমিতে বৈধ কাগজ ছাড়া স্থাপনা নির্মাণ করছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রমেশ চন্দ্র ঘোষ জানান, এই জমি আমার। তাছাড়া পাউবোর এস ও সাইদুর রহমান বিষয়টি জানেন। তাকে এবং অবসরপ্রাপ্ত পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা আকরাম আলী কে সন্তুষ্ট করেছি। আপনি চুপ থাকেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এস ও সাইদুর রহমান জানান, আমি কোন কিছু জানি না।
Leave a Reply