ন্যাশনাল ডেস্ক: নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার ৩০ বছর বয়সী মঞ্জুরুল হক স্থানীয় এনজিও অফিসে ঋণের জন্য গিয়ে জানতে পারেন জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী তার বয়স ১০৫ বছর। এদিকে তার বাবার বয়স ৭০। বাবার চেয়ে ছেলের বয়স ৩৪ বছর বেশি। জাতীয় পরিচয় পত্রে থাকা বয়সের এমন ভুলের কারণে ঋণ তো পাননি, উল্টো তাকে পড়তে হয়েছে নানা বিড়ম্বনায়। ভুক্তভোগীরা হলেন— জেলার দুর্গাপুর উপজেলার চণ্ডিগড় ইউনিয়নের নিলাখালী গ্রামের বাসিন্দা বাবা মুসলেম উদ্দীন ও ছেলে মঞ্জুরুল হক। জানা যায়, জাতীয় পরিচয়পত্রে বাবা মুসলেম উদ্দীনের জন্ম তারিখ ১৯৫২ সালের ১৭ অক্টোবর আর ছেলে মঞ্জুরুল হকের জন্ম তারিখ দেওয়া হয়েছে ১৯১৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি। সেই হিসাবে জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী বাবার বর্তমান বয়স ৭০ বছর আর ছেলের ১০৫ বছর। ফলে বাবার চেয়ে ৩৪ বছর ৮ মাস ১৫ দিন বেশি বয়স ছেলের। ভুক্তভোগী ছেলে মঞ্জুরুল হক বলেন, লেখাপড়া করিনি, তাই তেমন কিছুই বুঝি নাই। ডিজিটাল আইডি কার্ড অনেক আগেই পাইছি; কিন্তু এই সমস্যা বুঝিনি। এক মাস আগে এনজিও (ব্র্যাক) থেকে একটি ঋণ তুলতে গেলে এই বয়সের সমস্যাটা ধরা পড়ে। ভাবছি পরে ঠিক করে নেব। বাড়িতে ঘর তুলে ধারদেনা হয়ে গেছে। তাই চিন্তা করেছিলাম ব্র্যাক থেকে ঋণ নিয়ে সেগুলো পরিশোধ করব। এখন আমি ঋণ তুলতে পারিনি।
দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তপন চন্দ্র শীল বলেন, উপজেলায় শুধু ‘ক’ ক্যাটাগরির ভুল সংশোধন করা যায়। তবে এটি বয়স সংশোধনের বিষয়। এজন্য ‘গ’ ক্যাটাগরির আবেদন করলে ময়মনসিংহ বিভাগীয় অফিস বিষয়টি দেখবে। ভুল সমাধানে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবেন।
Leave a Reply