আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর গ্রামের মেধাবী ছাত্র মোহাম্মদ উমর ফারুক একটি পা কেটে ফেলানোর ফলে ক্রেসে ভর করে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে মাদ্রাসায় যেতে কষ্টকর পরিস্থিতির শিকার হচ্ছে। সুহৃদ ও দয়াশীল ব্যক্তি বা সরকারি বে সরকারি প্রতিষ্ঠান ও কর্তৃপক্ষের কাছে একটি কৃত্রিম পায়ের আব্দার আকুতি নিয়ে সে ফ্যাল ফ্যাল করে চোখের পানি ফেলে যাচ্ছে।
প্রতাপনগর গ্রামের শাহাজান মোড়লের ছেলে উমর ফারুক প্রতাপনগর এবিএস ফাজিল মাদ্রাসার দাখিল ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। ক্লাসে সে অত্যন্ত নিয়মিত এবং মেধাবী ও বিনয়ী ছাত্র। প্রায় তিন বছর আগে চলন্ত ভেক্যুতে এক্সিডেন্ট করলে তার বাম পাটি কেটে ফেলা হয়। পিতা শাহজাহান অত্যন্ত গরীব দিন মজুর হওয়ায় চিকিৎসা চালানোর পরে ধার দেনা করে অতি কষ্টে একটি পা লাগাতে সক্ষম হন। কিন্তু অল্প কিছুদিন পর তা নষ্ট হয়ে যায়। ফলে ক্রেসে ভর করে চলা ছাড়া কোন উপায় নেই ততার। বাড়ি থেকে মাদ্রাসার দূরত্ব প্রায় তিন কিলোমিটার। এই দীর্ঘ পথ সে নিয়মিত ক্রেসে ভর করে মাদ্রাসায় যাতায়াত করে। যা তার জন্য খুবই কষ্টকর। উপরন্ত রাস্তাটি পীচের কার্পেটিং এর জন্য খুড়া হয়েছে। বর্তমানে ক্রেস দিয়ে মাদ্রাসায় আসা-যাওয়া তার জন্য খুবই কষ্টকর হয়ে পড়েছে। শিক্ষা গ্রহনে অত্যান্ত আগ্রহী উমর ফারুক হতাশ হয়ে পড়লেও আগ্রহ তাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তার আকুতি তাকে হেটে চলার সুযোগ সহজ করতে যদি কৃত্রিম পা পাইয়ে দিতে কেউ এগিয়ে আসবেন।
উমরের পরিবারের পক্ষ থেকে সমাজের বৃত্তবান ব্যক্তি, কোন এনজিও বা মানবিক সংগঠন অথবা সরকারি ভিবে এলমে দ্বীনের এই অসহায় শিক্ষার্থীর জন্য একটি কৃত্রিম পা সংযোজনের ব্যবস্থা করতে এগিয়ে আসতে আবেদন করা হয়েছে। সহৃদয় ব্যক্তিবর্গ ও সরকিরি বেসরকারি কোন প্রতিষ্ঠান তার পাশে দাড়াতে চাইলে মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ মুহাম্মদ অহিদুজ্জামান (মোবাঃ ০১৯১১ ০১৯৪৯ ১২৩১০৭) এর সাথে যোগাযোগ করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
Leave a Reply