নিজস্ব প্রতিনিধি : সংস্কারের অভাবে ঠিকদারের অবহেলার কারনে প্রতিনিয়ত দুলবাহী রোগে আক্রান্ত কয়েক হাজার লোক বেহাল দশায় পড়ে আছে খালিসখালি ইউনিয়নবাসী। সাতক্ষীরার তালা উপজেলার পাটকেলঘাটা থেকে দলুয়ার জনবহুল সড়কটি।প্রায় ২ বছরের অধিক সময় ধরে সংষ্কারে জন্য প্রহর গুনছে এলাকার জনসাধারন । অভিযোগ রয়েছে ঠিকাদারের গাফিলতির কারনে সড়কটি তে এখন ধুলো বালি ছাড়া কিছুই দেখা মিলছেনা । এতে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে রাস্তায় চলাচল রত জনসাধারন। ভুগছে শ্বাসকষ্ট সহ নানা জটিল রোগে।দ্রুত সংস্কার সহ সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের লাইসেন্স বাতিলের দাবী জানান তারা।এদিকে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার তপন চক্রবর্তী কে এল জি ই ডি পক্ষ থেকে তিন বার শোকেজ করলে ও কর্নপাত করে নি ঐ ঠিকাদার বলে জানান এল জি ই ডি কর্তৃপক্ষ ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০২০ সালে ১ কোটি ৯৫ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা অর্থায়নে সাতক্ষীরা এল জি ই ডি সড়কটি সংস্কারে কাজ পান তালার রাকা এন্টার প্রাইজের সত্বাধিকারী তপন চক্রবর্তী নামে এক ব্যক্তি। কিন্তু ২০২১ সালে সড়কটি খুঁড়ে কিছু ইটের খোয়া দিয়ে নাম মাত্র সংস্কারের কাজ শুরু করেন তিনি । বর্তমানে তার অবহেলার কারনে সড়কটিতে দিন দিন চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে । বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন গনমাধ্যমে একাধিক সংবাদ প্রকাশিত হলেও কোন ফলপ্রসূ হয়নি। খলিষখালী খালী এলাকার কামরুল সরদার, ইউপি সদস্য উত্তাম দে, সবুজ সরদার, শফি মোল্লা, রবিউল ইসলাম তপন বাছাড়, কবির সরদার, সুজিত হোড় সহ অনেকে জানান, দলুয়া থেকে পাটকেলঘাটায় প্রতিনিয়ত হাজার হাজার যাত্রী চলা চল করে। রাস্তার বেহাল দশার কারনে প্রয় প্রতিনিহত ঘটেছে ছোট বড় দূর্ঘটনা। এছাড়া রাস্তায় প্রচন্ড ধুলাবালির কারনে স্বাস্থ্য ঝুকিতে রয়েছে শিশুরা। বিষয়টি নিয়ে ঠিকাদার সহ সড়ক বিভাগের কর্তৃপক্ষ জানালেও তারা কোন পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ করেন তারা। খলিষখালী ইউপি চেয়ারম্যান সাবীর হোসেন বলেন, রাস্তাটির কারনে জনগনের ভোগন্তির শেষ নেই।বার বার সংক্লিষ্ট ঠিকাদার সহ এল জি ই ডি কর্মকর্তাদের বলেছি তারা এখন পর্যান্ত কোন পদক্ষেপ নেয়নি। এর আগে বিষয়টি তালা কলারোয়ার মদ সংসদ সদস্য এড, মুস্তফা লুৎফুল্লাহ কে অবহিত করেছি। তিনি চাপ প্রয়োগ করাতে কিছুদিন সংস্কারের জন্য খোয়া রেখে রোলার দিয়ে সংস্কারের নাটক করে পালিয়ে যায় ওই ঠিকাদার। এবিষয়ে রাকা এন্টার প্রাইজের সত্তাধীকরী ঠিকাদার তপন চক্রবর্তীর সাথে কথা বললে তিনি জানান, হঠাৎ করে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারনে রাস্তাটি সংষ্কার করতে একটু দেরী হচ্ছে। বর্তমানে রাস্তাটির কাজ শেষ নামাতে আমার ৪০-৫০লক্ষটাকা লস গুনতে হবে। কিছুদিন আগে তালা এল জি ই ডি অফিসে লিখিত ভাবে অঙ্গিকার করে এসেছি। তাদের দেওয়া নির্ধারিত সময়ের আগে রাস্তাটির সংষ্কারের কাজ শেষ করা হবে বলে তিনি দাবী করেন। বিষয়টি নিয়ে তালা উপজেলা এল জি ই ডি প্রকৌশলী রথীন্দ্রনাথ হালদারের সাথে কথা বললে তিনি জানান, এ ব্যাপারে ঠিকাদারের সাথে কথা হয়েছে। দ্রুত রাস্তাটির সংষ্কার কাজ শুরু হবে।
Leave a Reply