নিজস্ব প্রতিনিধি: পরকীয়া প্রেমের সূত্র ধরে ভাইপোর হাত ধরে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমিয়েছেন দুই সন্তানের জননী। সাতক্ষীরা পাটকেলঘাটা থানার বড়বিলা গ্রামে এ চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে। স্থানীয়রা জানান, বড়বিলা গ্রামের মোঃ বাবলু মোড়লের ছেলে মোঃ ইসরাফিল মোড়ল (২০)এর সঙ্গে একই এলাকার আমিনুর মোড়ল (আমিন) স্ত্রী দুই সন্তানের জননী মোছাঃ হেনা বেগম (২৫) পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ঘটনার ১৫ দিন আগেও উক্ত বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে সালিশ হয়ে মুচলেকা দেয় প্রেমিক ইসরাফিল। এরই সূত্র ধরে গত শুক্রবার রাতে তারা অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমিয়েছেন।
অভিযোগ সুত্রে,বাদী মোঃ আমিনুর মোড়ল জানান, আমি একজন গরু ব্যবসায়ী। গত ৮/৯ বছর পূর্বে পাটকেলঘাটা থানার বকশিয়া গ্রামের মোঃ নুর ইসলাম মোল্যার মেয়ে মোছাঃ হেনা বেগমের সাথে ইসলামী বিধান মোতাবেক বিবাহ করিয়া সংসার করে আসছি। আমাদের বিবাহিত সংসার জীবনে দুইটি কন্যা সন্তান মোছাঃ হালিমা খাতুন (০৭), মোছাঃ ফতেমা খাতুন (০৬) রয়েছে । বিবাহের বেশ কিছুদিন পর আমি জানতে পারি যে, আমার স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্ক হয়েছে আমারই প্রতিবেশী ভইপো ইসরাফিল (বাবু) সাথে। তখন আমি আমার শ্বশুর শ্বাশুড়ীকে ঘটনার বিষয় জানাইলে তারা কোন পদক্ষেপ নেয় নাই। আমি স্থানীয় গন্যমান্য লোকদের জানাই এবং উক্ত বিষয় নিয়ে কয়েকবার শালিশ বসানো হয়। শালিশে মুচলেখা দেয় যে, আমার স্ত্রীর সহিত সে কোন সম্পর্ক রাখবে না। তাহার পরও আমার স্ত্রীর সাথে অবৈধ সম্পর্ক রাখে । গত ইং ১২/০৮/২২ তাং আমি গরু বিক্রয় করে রাত সাড়ে ৮ টার সময় আমি বাড়ীতে এসে দেখি একটি রুমের মধ্যে আমার দুইটি কন্যা সন্তান এবং আর একটি রুমের মধ্যে আমার স্ত্রী ও তার প্রেমিকা বসে কথা বার্তা বলাবলি করছে। তখন আমি গেটে তালা লাগিয়ে দিয়ে আমার শ্বশুর ও শ্বাশুড়ীকে ফোনের মাধ্যমে ঘটনা জানাই। ঐ সময় ইসরাফিল গেটের তালা খুলে ঘর থেকে বাহির হয়ে পালানোর সময় আমি তাহার পিছনে পিছনে গিয়া তাহার বাড়ীতে তুলে দিয়ে আসি। পরে বাড়ীতে এসে দেখি আমার স্ত্রী বাড়ীতে নাই এবং আমার ঘরে গরু ব্যবসার রক্ষিত নগদ ২,৭২,০০০/-টাকা এবং আমার স্ত্রীকে দেওয়া সর্বমোট ১,৭৫,০০০/-টাকার গহনা নাই। আমার স্ত্রী ও তার প্রেমিক ইসরাফিল উক্ত টাকা ও স্বর্ণের গহনা নিয়ে নিয়ে কোথাও আতœগোপন করেছে। আমার স্ত্রী,টাকা ও গহনা উদ্ধারের জন্য পাটকেলঘাটা থানায় অভিযোগ করেছি।
পাটকেলঘাটা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাঞ্চন কুমার রায় বলেন, এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ হয়েছে । তদন্ত চলছে অভিযোগ প্রমাণিত হলে সঠিক ব্যবস্তা গ্রহন করা হবে।
Leave a Reply