1. nokhatronews24@gmail.com : ajkarsatkhiradarpan darpan : ajkarsatkhiradarpan darpan
  2. install@wpdevelop.org : sk ferdous :
পাইকগাছায় বারোমাসী আম: একডালে ফল আর অন্য ডালে ঝুলছে মুকুল - আজকের সাতক্ষীরা দর্পণ
সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:১১ পূর্বাহ্ন
১৪ই আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ খবর :
📰প্রথম আলোর বিভ্রান্তিকর রিপোর্টের প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন ও স্মারকলিপি📰সদরের সাব রেজিষ্ট্রার অফিসের ঘুসের টাকা গ্রহনকারী মহসিনের ক্ষমতার উৎসাহ কোথায়? (১ম পর্ব)📰স্বামী-সন্তানকে ফেলে পরকীয়ায় রেহেনা এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভ📰পাইকগাছায় ইয়াবাসহ যুবক আটক📰পাইকগাছায় বিভিন্ন পূজামন্ডপে বিএনপির সিসি ক্যামেরার প্রদান📰শ্যামনগরের ৭০টি পূজা মন্দিরে বিএনপির উপহার হস্তান্তর📰সাগরে লঘুচাপ, তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত📰সাতক্ষীরায় “বিশ্ব গণমানুষের সেবা ফাউন্ডেশন”এর জেলা কমিটি অনুমোদন📰পিআরসহ ৫ দফা দাবিতে সাতক্ষীরা জামায়াতের বিক্ষোভ📰কালিগঞ্জে পুকুরে ডুবে দুই বছরের শিশুর মৃত্যু

পাইকগাছায় বারোমাসী আম: একডালে ফল আর অন্য ডালে ঝুলছে মুকুল

প্রতিবেদকের নাম :
  • হালনাগাদের সময় : রবিবার, ২০ আগস্ট, ২০২৩
  • ৬৪ সংবাদটি পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার পাইকগাছা: পাইকগাছায় বারোমাসি আমের ফলন ভালো হয়েছে। বাগানে মুকুলের সঙ্গে শোভা পাচ্ছে আম। গাছের এক ডালে মুকুল তো অন্য ডালে আম ঝুলছে। আমের আকার এবং রংও হয়েছে বেশ আকর্ষণীয়। শরতের এই সময়ে তার বাগানে গাছ ভরা আম ছড়াচ্ছে আকর্ষণ ও সৌরভ। গাছে বারোমাস ধরে বলে এ আমের নাম রাখা হয়েছে বারোমাসি। গাছের আকৃতি ছোট। আম খেতে সুস্বাদু। একই গাছে মুকুল, গুটি ও পাঁকা আমের নজরকাড়া দৃশ্য দেখতে কৌতুহলীরা ভীড় করছে। বারোমাসি আমের ফলন ভালো হওয়ায আম বাগানের আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
পাইকগাছায় এখন যেসব আমগাছে মাত্র মুকুল ধরেছে, সেসব আমের গাছ থাইল্যান্ডের কাটিমন জাতের। এ জাতের গাছ থেকে বছরে তিনবার আম পাওয়া যায়। কাটিমন আম বারোমাসি জাতের বছরে তিনবার ফল প্রদান করে থাকে। নভেম্বর, ফেব্রুয়ারি ও মে মাসে গাছে মুকুল আসে এবং মার্চ-এপ্রিল, মে-জুন এবং জুলাই-আগস্ট মাসে ফল আহরণের উপযোগী হয়। ফল লম্বাটে এবং প্রতিটি আমের গড় ওজন ২০০-৩০০ গ্রাম হয়ে থাকে। কাঁচা অবস্থায় ত্বক হালকা সবুজ এবং পাকলে হলুদে সবুজ ভাব রং হয়। দেশে এখন অন্তত বারোমাসি সাতটি জাতের আম চাষ হচ্ছে, যেগুলোকে অসময়ের আম বলা হয়। কাটিমন ছাড়া বাকি জাতগুলো হলো বারি-১১, কিং অব চাকাপাত, কিউজাই, বানানা ম্যাঙ্গো, তাইওয়ান গ্রিন, মিয়াজাকি অর্থাৎ সূর্যডিম। এসব আমের যেমন বাহারি নাম, দেখতেও তেমন নজরকাড়া। বারি-১১ ও কাটিমন আমের জাত আবার বারোমাসি।অসময়ের আমের মধ্যে এখন দুটি জাতের বাগান বেশি হচ্ছে। থাই কাটিমন ও বারি-১১। বারি আম ১১ বারোমাসি জাতের আম সারা বছরই ফল দিয়ে থাকে। বছরে তিনবার ফল পাওয়া যায়। নভেম্বর, ফেব্রুয়ারি ও মে মাসে গাছে মুকুল আসে এবং মার্চ-এপ্রিল, মে-জুন এবং জুলাই-আগস্ট মাসে ফল আহরণের উপযোগী হয়। কাঁচা আমের ত্বক হালকা সবুজ। আর পাঁকলে ত্বক হয় হলুদাভ সুবজ।
আম গাছটির উচ্চতা ৬-৭ ফুট। গাছটির কোনো অংশে মুকুল, কিছু অংশে আমের গুটি, কিছু অংশে কাঁচা আম, আবার কোথাও পাঁকা আম। একটি গাছেই ফুটে উঠেছে আমের ‘জীবনচক্র’। এটি খেতে সুস্বাদু, তবে একটু আঁশ আছে। ফলের শাঁস গাঢ় হলুদ বর্ণের। এই জাতের ৪-৫ বছর বয়সী গাছ থেকে প্রতিবার ৬০-৭০টি আম আহরণ করা যায়। এছাড়াও এই জাতের একটি গাছে বছরে প্রায় ৫০ কেজি পর্যন্ত আম হয়ে থাকে। বারি আম ১১ এর এক বছর বয়সী গাছে আমের মুকুল আসে। আম গাছের একটি থোকার মধ্যে ৫-৬ টি আম থাকে। আমের উচ্চফলনশীল এই জাতটি বাংলাদেশের সব এলাকায় চাষ উপযোগী। আমের আকার এবং রং ও হয় বেশ আকর্ষণীয়।
উপজেলার কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এলাকায় বারোমাসি আমের একক কোন বাগান গড়ে উঠেনি। তবে বিভিন্ন গ্রামের গাছ লাগানো হয়েছে। আরও জানা গেছে, ১০/১২ বছর আগে নার্সারীর মালিক আক্তারুল দো-ফসলি আমের আবাদ করে এলাকায় সাড়া ফেল। এরপর পাইকগাছার রজনীগন্ধা নার্সারীর মালিক সুকনাথ পাল ২০২০ সালে বারোমাসি আমের চারা রোপণ করেন। রোপণের পরের বছরেই ফল ধরে।
এ বছর তার আম বাগান থেকে প্রায় ১০ মন আম বিক্রি করেছেন। তার নার্সারীতে প্রায় ২ হাজার বারোমাসি আমের ছোট ছোট চারা রয়েছে। ছোট চারা ৩০-৫০ টাকা দরে বিক্রয় করছেন। সততা নার্সারীর মালিক অশোক পালের নার্সারীতে বারোমাসি কাটিমন জাতের আমের ফলন ভালো হয়েছে। ৬/৭ ফুট একটি গাছে ১৫/২০ টি করে আম ধরেছে। তার নার্সারীতে প্রায় শতাধিত বারোমাসি আমের চারা রয়েছে। ছোট চারা ৫০ টাকা ও ৬/৭ ফুট উঁচু চারা ৩০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আমগাছগুলোতে সারা বছর আম ধরে। গাছে কখনো মুকুল, কখনো আমের গুটি আর কখনো বড় আম দেখা যায়। বাগানে আমের জাতের মধ্যে রয়েছে থাই কাটিমন, বারি-৪, কিউজাই ও ব্যানানা ম্যাঙ্গো।
পাইকগাছা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: জাহাঙ্গীর আলম দৈনিক আজকের সাতক্ষীরা দর্পণকে বলেন, বারি আম -১১ বা বারমাসি আমের এই জাতটি এখন বাংলাদেশের সব উদ্যানতত্ব গবেষণা কেন্দ্রে ও নার্সারীতে চাষ হচ্ছে। আমের এই জাতটি দেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য দেশের সকল আঞ্চলিক উদ্যানতত্ব কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কাজ করে যাচ্ছে।পাইকগাছার উপকূল এলাকায় যার উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে নার্সারী মালিকরা।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্ট শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর :

সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি:

এম এ কাশেম ( এম এ- ক্রিমিনোলজি).....01748159372

alternatetext

সম্পাদক ও প্রকাশক:

মো: তুহিন হোসেন (বি.এ অনার্স,এম.এ)...01729416527

alternatetext

বার্তা সম্পাদক: দৈনিক আজকের সাতক্ষীরা

সিনিয়র নির্বাহী সম্পাদক :

মো: মিজানুর রহমান ... 01714904807

© All rights reserved © 2020-2025
প্রযুক্তি সহায়তায়: csoftbd