খুলনা প্রতিনিধি: খুলনায় বিশ্ব য²া দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও বর্ণাঢ্য র্যালির উদ্বোধন আজ (রবিবার) সকালে নগরীর শহিদ হাদিস পার্কে অনুষ্ঠিত হয়। দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘হ্যা আমরা য²া নির্মূল করতে পারি’। বর্ণাঢ্য র্যালির উদ্বোধন ও সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, য²া হলে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। নিয়মিত ঔষধ সেবন করলে এ থেকে সুস্থ হওয়া সম্ভব। তিনি বলেন, এক সময়ে য²া মানুষের অভিশাপ ছিলো। সেই সময়ে য²ার নাম শুনলে মানুষ আতঙ্কগ্রস্ত হতো। বাংলাদেশের মানুষ য²া কন্ট্রোল করে এনেছে। য²া একেবারে নিমূর্ল হয় না, য²া নির্মূলে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা জরুরি। সকলে সাবধানতা অবলম্বন করলে মানুষের পক্ষে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এবারের প্রতিপাদ্য নিয়ে আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে।
খুলনার সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ সবিজুর রহমানের সভাপতিত্বে স্বাস্থ্য দপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক ডাঃ মোঃ মনজুরুল মুরশিদ, কেসিসি’র প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা স্বপন কুমার হালদার, য²া বিশেষজ্ঞ ডাঃ মোঃ আনোয়ারুল আজাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তর, সিভিল সার্জন অফিস ও খুলনা সিটি কর্পোরেশন যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। উল্লেখ্য, জাতীয় য²া নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির অনুযায়ী ২০২৩ সালে য²ার উপসর্গ আছে এমন প্রায় ৩০ লাখ এর বেশি মানুষের য²া রোগ নির্ণয়ের পরীক্ষা করা হয়। যার মাধ্যমে ২০২৩ সালে বাংলাদেশে মোট তিন লাখ এক হাজার পাঁচশত ৬৪জন য²া রোগী শনাক্ত হয়েছে ও তাদের চিকিৎসার আওতায় আনা হয়েছে। ২০২৩ সালে দুই হাজার চারশত ৩৭ জন রোহিঙ্গার য²া রোগী শনাক্ত হয়েছে। য²া রোগ নির্ণয়ের জন্য সারাদেশব্যাপী উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত অত্যাধুনিক প্রযুক্তি যেমন- Genexpert Machine, TruezNat Machine, LED Microscopy, Liquid Culture, LPA, Digital X-Ray সরবরাহ করেছে। এছাড়া একটি ন্যাশনাল রেফারেন্স ল্যাবরেটরী ও পাঁচটি রিজিওনাল রেফারেন্স ল্যাবরেটরীর মাধ্যমে জাতীয় ও বিভাগীয় পর্যায়ে য²া রোগ শনাক্ত করা হয়। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে ২০২৩ সালে দুই হাজার সাতশত ২৯ জন ঔষধ প্রতিরোধী য²ার (গউজ ঞই) রোগী শনাক্তকরণ সম্ভব হয়েছে। সরকারি ৪৪টি বক্ষব্যাধি ক্লিনিক, সাতটি বক্ষ্যবাধি হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সদর হাসপাতাল, জেনারেল হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-এ আর্ন্তবিভাগ ও বর্হিবিভাগ এবং বিভিন্ন এনজিও ক্লিনিকে য²া রোগের চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে বিনামূল্যে য²া রোগী শনাক্তকরণ ও তাদের চিকিৎসা সেবার আওতায় নিয়ে ২০৩৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ য²ামুক্ত করার লক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
এর আগে মেয়রের নেতৃত্বে শহিদ হাদিস পার্কে বর্ণাঢ্য র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। র্যালিতে সরকারি বিভিন্ন দপ্তর, কেসিসিসহ এনজিওর প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।
Leave a Reply