কে এম রেজাউল করিম দেবহাটা ব্যুরো: সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা উপজেলায় ব্যস্ত সময় পার করছেন দেবহাটা কৃষকরা বোরো ধান রোপণে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। কৃষি প্রধান এই অঞ্চলে অর্থকরী ফসল হিসেবে ব্রি ধানই একমাত্র ভরসা। চারা রোপণের প্রতিটি কাজ ঠিকমতো হলেও ধানের ন্যায্য দাম পাওয়া নিয়ে সবাই চিন্তিত ও হতাশায় রয়েছেন।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, হাড় কাপানো শীতের মধ্যে জমির কাদা পানিতে নেমে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ধানের চারা রোপণ করছেন চাষিরা। কেউ জমি প্রস্তুত করছেন। আবার কেউ বীজতলা থেকে চারা তুলছেন। আর কৃষকদের মধ্যে বিভিন্ন গল্প আর হাসি ঠাট্টার মধ্যে দিয়ে চলছে রোপণের কাজ। বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে এযেনো কৃষকদের এক আনন্দঘন পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
দেবহাটা উপজেলার সিনিয়র কৃষি অফিসার শরীফ মোহাম্মদ তিতুমীর বলেন কৃষকদের সকল ধরনের পরামর্শ ও সহোযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও বলেন , চলতি মৌসুমে ৫ হাজার ৯’শত ২০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ৭০ শতাংশ জমিতে ধান রোপনের কাজ শুরু হয়েছে। ১ হাজার ৫ শত জন প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে ২ কেজি করে হাইব্রিড বীজ ধান বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও ১ হাজার ৮ শত জন প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে. DAP – ১০ কেজি, MOP – ১০ কেজি ও ৫ কেজি বিজ ধান বিতরণ করা হয়েছে।
উপজেলার গাজীমহল্লা গ্রামের কৃষক শেখ ওমর আলী বলেন, রাতদিন পরিশ্রম করে আবাদ করতে হয়। লাগানোর পরে নিয়মিত পরিচর্যাও করতে হয়। তেল-সারের দাম বৃদ্ধিতে গতবারের চেয়ে এবছর খরচটা বেশি হচ্ছে। তারপরও যদি ন্যায্য দাম না পায় তাহলে বিশাল ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। কোড়া গ্রামের আকবর আলী বলেন, এবছর তিনি ৮ বিঘা জমিতে ব্রি ধানের আবাদ করছেন। প্রতি বিঘা জমিতে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা খরচ হয়। তবে বর্গাচাষীদের ক্ষেত্রে ১৮ থেকে ২০হাজার টাকা খরচ হয়। ভালো ফলন হলে প্রতি বিঘায় ২৫-৩০ মণ ধান হবে।
Leave a Reply