নিজস্ব প্রতিনিধি: জাসদ সভাপতি ও তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপি বলেছেন,ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সংশোধনীর প্রয়োজন রয়েছে, যাতে করে মুলধারার গণমাধ্যমকর্মীরা আইনের অপপ্রয়োগ থেকে রক্ষা পায়। তিনি দুপুরে সাতক্ষীরা জেলা জাসদের সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আগে সাতক্ষীরা সার্কিট হাউজে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,দেশের ৫০টি জায়গায় সশস্ত্র সাম্প্রদায়িক হামলা হয়েছে। এই হামলার দায় প্রশাসনের ওপর বর্তায়। দেশে ক্ষণে ক্ষণে কখনো মন্দিরে,কখনো আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ওপর আবার কখনো সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা হচ্ছে। এটা দেশের জন্য শুভ লক্ষণ নয়। আগামীতে আর কোথাও সাম্প্রদায়িক হামলা হবেনা,এর গ্যারান্টি দেওয়ায় হ্েচছ রাজনৈতিক দল বা সরকারের প্রধান চ্যালেঞ্জ। সাম্প্রদায়িক কর্মচারীদের নিস্ক্রিয়তা ও অসাম্প্রদায়িক দলে সাম্প্রদায়িক শয়তানদের অনুপ্রবেশের ফলে ধর্মের নামে দেশে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ঘটছে। তিনি সাম্প্রদায়িক সহিংসতা রোধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান। তত্বাবধায়ক সরকার প্রশ্নে ইনু বলেন,বিএনপি নিরপেক্ষ নির্বাচন চায় নাকি সরকার বদল করতে চায় এ প্রশ্ন বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। তারা সাংবিধানিক সরকারকে হটিয়ে একটা অস্বাভাবিক ভুতের সরকার প্রতিষ্টার স্বপ্ন দেখে। পূজায় হামলা দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে ঘোলা করার ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেন তিনি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বিস্তারের মাধ্যমে একটি ডিজিটাল জগৎ তৈরি হয়েছে। সেই ডিজিটাল জগৎ সাম্প্রদায়িক শক্তির আক্রমনের মুখে। সাইবার অপরাধীদেও আক্রমনের মুখে। নারীর চরিত্র হনন করা হচ্ছে এই মাধ্যমে। সুতরাং সাইবার নিরাপত্তা এখন মানবাধিকার রক্ষার মৌলিক কাজ। তবে এর অপপ্রয়োগ হচ্ছে। এই অপপ্রয়োগ রোধে কিছু সংশোধনী আনা দরকার। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পাস দু’বছর পার হয়েছে। সময় এসেছে কিছু সংশোধনী এনে এটাকে সময়উপযোগী করা। যাতে কোন সাংবাদিক এই আইনের অপপ্রয়োগের শিকার না হন। ১৪ দলীয় জোটের প্রয়োজনীতা সম্পর্কে ইনু বলেন, জঙ্গীদেও ধ্বংস করা ও ঘর কাটা ইদুর এবং দুর্নীতিবাজদেও ধ্বংস করতে ১৪ দলের প্রয়োজনীতা রয়েছে। পরে বিকাল ৩টায় সাতক্ষীরা শিল্পকলা একাডেমিতে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে হাসানুল হক ইনু যোগদান করেন। এতে সভাপতিত্ব করেন সাতক্ষীরা জেলা জাসদ সভাপতি ওবায়দুস সুলতান বাবলু। সভায় আরো বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কার্যকরী সভাপতি এ্যাডঃ রবিউল ইসলাম আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী রিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ শফিউদ্দীন মোল্যা, কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুল্লাহীল কাইয়ুম। ওবাইদুর রহমান চুন্নু কৃষকজোট সম্পাদক সাবেক অধ্যক্ষ আশেক ই এলাহী, জাকির হোসেন লস্কর সেলি, মোঃ আহসান উল্লাহ, শরিফুজ্জামান বাপ্পী, মোঃ সালেউদ্দীন, সোহেল আহম্মেদ প্রমুখ।
Leave a Reply